ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মমতা বনাম সিবিআই : উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে রাজপথে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে সমর্থন দিয়েছে ভারতের বেশিরভাগ বিরোধীদল। গণতন্ত্র রক্ষায় মমতার পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এ নিয়ে গতকাল দিনভর উত্তাল ছিল ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভা। বিক্ষোভের জেরে উভয় কক্ষেই অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এদিকে আদালতের নির্দেশে কলকাতার পুলিশ কমিশনার তদন্তে সহযোগিতা না করায় এবং তার বিরুদ্ধে তদন্তের তথ্য-উপাত্ত নষ্টের অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দারস্থ হয়েছে সিবিআই। গতকাল শুনানিতে প্রধান বিচারপতি পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আনা তথ্য-উপাত্ত নষ্টের অভিযোগ প্রমাণে প্রমাণ পেশ করতে বলেছেন। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে।
গত রবিবার ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে দুর্নীতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে তার বাসভবনে যাওয়ার পর থেকেই ঘটনার শুরু। চাঞ্চল্যকর সারদা ও রোজভ্যালি দুর্নীতি মামলায় জেরা করতে আগে থেকে কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে সিবিআই-এর গোয়েন্দারা রাজীব কুমারের বাসভবনে যান। প্রথমে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সিবিআই কর্মকর্তাদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ সিবিআই কর্মকর্তাদের টেনে-হিচড়ে গাড়িতে তুলে স্থানীয় থানায় নিয়ে যায় এবং তাদেরকে সেখানে আটক করে রাখে।
এই ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে সরাসরি পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। সেখানে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি তার বাহিনী দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের হেনস্থার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক কলকাতার ধর্মতলায় অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন তিনি। মমতার এই অবস্থানের পর পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
গতকাল সোমবার মমতা দিনভার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তবে গতকাল ছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট। তারপরও মমতা ঘোষণা দেন যে মঞ্চ থেকে তিনি কোথাও যাবেন না। এরপর বাজেট নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অবস্থান ধর্মঘট মঞ্চের পাশেই একটি পুলিশ আউট পোস্টে অনুষ্ঠিত হয়। মমতা বলেন, যারা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক কাঠামোয় বিশ্বাস করেন, তারাই এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। মমতা বলেন, এটা আসলে সত্যাগ্রহ। প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে মোদী সরকার। নোট বাতিলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। সারা দেশ আমাদের পাশে আছে। আশা করি আইন আইনের পথে চলবে। গত রবিবার রাত পৌনে নয়টায় শুরু হওয়া অবস্থান ধর্মঘটে টানা ছিলেন মমতা। গতকাল সেখানে মঞ্চ তৈরি করা হয়। তার পাশেই আরেকটি মঞ্চ বানানো হয়েছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সেরা কর্মীদের পুলিশ পদক তুলে দেন মমতা। পাশাপাশি জানিয়েছেন, ৮ ফেব্রুয়ারির পরও চলবে ধর্না। তবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মঞ্চে মাইক বাজবে না।
সব বিরোধী দলের সমর্থন: গতকাল সোমবার মমতা বিক্ষোভ মঞ্চে এসে কর্মসূচিতে সংহতি জানান উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ ও বিহারের বিরোধী দলীয় নেতা তেজস্বী যাদব। সংহতি জানিয়ে মমতাকে ফোন করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়গে, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদীর পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব প্রমুখ। অনেক নেতা পশ্চিমবঙ্গে এসে মমতার সঙ্গে বিক্ষোভে বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই: কলকাতার পুলিশ কমিশনার তদন্তে সহযোগিতা না করায় এবং তার বিরুদ্ধে তদন্তের তথ্য-উপাত্ত নষ্টের অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দারস্থ হয়েছে সিবিআই। গোয়েন্দা সংস্থাটির আবেদনের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার শুনানি হবে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, কলকাতা পুলিশ কমিশনার তথ্য নষ্ট করে থাকলে আদালতে তার নথি পেশ করুন। আমরা এমন ব্যবস্থা নেব যাতে ভবিষ্যতে তাকে অনুতপ্ত হতে হয়। কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে রবিবার কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত রিপোর্ট, ভিডিও ফুটেজ নিয়ে দিল্লি গেছেন সিবিআই’র দুই কর্মকর্তা। তবে, ঘটনার গতি-প্রকৃতি বলছে, যে নথি ও তথ্য সিবিআই আদালতে পেশ করেছে তা রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে যথেষ্ট নয়।
হাইকোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকার: সিবিআই ও কলকাতা পুলিশ দ্বন্দ্ব নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সারদা চিটফান্ড কা-ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার-সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সিবিআই সেই রায়ের অবমাননা করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে। এদিকে, সোমবার সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে নোটিস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
অচল সংসদ: পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতার রেশ দিল্লিতেও দেখা গেছে। গতকাল সোমবার দিনভর এ নিয়ে উত্তপ্ত ছিল ভারতের সংসদের দুই কক্ষ। সকাল থেকেই সংসদের উভয় কক্ষে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল সংসদ সদস্যরা। তৃণমূল সদস্যদের বিক্ষোভের জেরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লোকসভা মুলতবি করে দেন স্পিকার। ফের অধিবেশন শুরু হল তৃণমূলের এমপি সৌগত রায় দাবি করেন, অভূতপূর্ব এই ঘটনার ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে দিতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মমতা বনাম সিবিআই : উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ

আপলোড টাইম : ০২:১২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে রাজপথে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে সমর্থন দিয়েছে ভারতের বেশিরভাগ বিরোধীদল। গণতন্ত্র রক্ষায় মমতার পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এ নিয়ে গতকাল দিনভর উত্তাল ছিল ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভা। বিক্ষোভের জেরে উভয় কক্ষেই অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এদিকে আদালতের নির্দেশে কলকাতার পুলিশ কমিশনার তদন্তে সহযোগিতা না করায় এবং তার বিরুদ্ধে তদন্তের তথ্য-উপাত্ত নষ্টের অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দারস্থ হয়েছে সিবিআই। গতকাল শুনানিতে প্রধান বিচারপতি পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আনা তথ্য-উপাত্ত নষ্টের অভিযোগ প্রমাণে প্রমাণ পেশ করতে বলেছেন। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে।
গত রবিবার ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে দুর্নীতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে তার বাসভবনে যাওয়ার পর থেকেই ঘটনার শুরু। চাঞ্চল্যকর সারদা ও রোজভ্যালি দুর্নীতি মামলায় জেরা করতে আগে থেকে কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে সিবিআই-এর গোয়েন্দারা রাজীব কুমারের বাসভবনে যান। প্রথমে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সিবিআই কর্মকর্তাদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ সিবিআই কর্মকর্তাদের টেনে-হিচড়ে গাড়িতে তুলে স্থানীয় থানায় নিয়ে যায় এবং তাদেরকে সেখানে আটক করে রাখে।
এই ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে সরাসরি পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। সেখানে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি তার বাহিনী দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের হেনস্থার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক কলকাতার ধর্মতলায় অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন তিনি। মমতার এই অবস্থানের পর পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
গতকাল সোমবার মমতা দিনভার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তবে গতকাল ছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট। তারপরও মমতা ঘোষণা দেন যে মঞ্চ থেকে তিনি কোথাও যাবেন না। এরপর বাজেট নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অবস্থান ধর্মঘট মঞ্চের পাশেই একটি পুলিশ আউট পোস্টে অনুষ্ঠিত হয়। মমতা বলেন, যারা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক কাঠামোয় বিশ্বাস করেন, তারাই এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। মমতা বলেন, এটা আসলে সত্যাগ্রহ। প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে মোদী সরকার। নোট বাতিলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। সারা দেশ আমাদের পাশে আছে। আশা করি আইন আইনের পথে চলবে। গত রবিবার রাত পৌনে নয়টায় শুরু হওয়া অবস্থান ধর্মঘটে টানা ছিলেন মমতা। গতকাল সেখানে মঞ্চ তৈরি করা হয়। তার পাশেই আরেকটি মঞ্চ বানানো হয়েছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সেরা কর্মীদের পুলিশ পদক তুলে দেন মমতা। পাশাপাশি জানিয়েছেন, ৮ ফেব্রুয়ারির পরও চলবে ধর্না। তবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মঞ্চে মাইক বাজবে না।
সব বিরোধী দলের সমর্থন: গতকাল সোমবার মমতা বিক্ষোভ মঞ্চে এসে কর্মসূচিতে সংহতি জানান উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ ও বিহারের বিরোধী দলীয় নেতা তেজস্বী যাদব। সংহতি জানিয়ে মমতাকে ফোন করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়গে, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদীর পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব প্রমুখ। অনেক নেতা পশ্চিমবঙ্গে এসে মমতার সঙ্গে বিক্ষোভে বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই: কলকাতার পুলিশ কমিশনার তদন্তে সহযোগিতা না করায় এবং তার বিরুদ্ধে তদন্তের তথ্য-উপাত্ত নষ্টের অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দারস্থ হয়েছে সিবিআই। গোয়েন্দা সংস্থাটির আবেদনের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার শুনানি হবে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, কলকাতা পুলিশ কমিশনার তথ্য নষ্ট করে থাকলে আদালতে তার নথি পেশ করুন। আমরা এমন ব্যবস্থা নেব যাতে ভবিষ্যতে তাকে অনুতপ্ত হতে হয়। কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে রবিবার কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত রিপোর্ট, ভিডিও ফুটেজ নিয়ে দিল্লি গেছেন সিবিআই’র দুই কর্মকর্তা। তবে, ঘটনার গতি-প্রকৃতি বলছে, যে নথি ও তথ্য সিবিআই আদালতে পেশ করেছে তা রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে যথেষ্ট নয়।
হাইকোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকার: সিবিআই ও কলকাতা পুলিশ দ্বন্দ্ব নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সারদা চিটফান্ড কা-ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার-সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সিবিআই সেই রায়ের অবমাননা করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে। এদিকে, সোমবার সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে নোটিস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
অচল সংসদ: পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতার রেশ দিল্লিতেও দেখা গেছে। গতকাল সোমবার দিনভর এ নিয়ে উত্তপ্ত ছিল ভারতের সংসদের দুই কক্ষ। সকাল থেকেই সংসদের উভয় কক্ষে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল সংসদ সদস্যরা। তৃণমূল সদস্যদের বিক্ষোভের জেরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লোকসভা মুলতবি করে দেন স্পিকার। ফের অধিবেশন শুরু হল তৃণমূলের এমপি সৌগত রায় দাবি করেন, অভূতপূর্ব এই ঘটনার ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে দিতে হবে।