ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মন্দ ভাষী ও বাঁচাল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:২২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৪০৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের স্বাভাবিক অভ্যাস হলো, কর্তা কিংবা প্রতাপশালীর সামনে বিনয় প্রকাশ করে আদেশ পালন করা। কিন্তু প্রকৃত বিনয়, ভদ্রতা ও প্রশংসনীয় অভ্যাস হলোÑ নিজের সমপর্যায়ের লোকদের সঙ্গে এবং নিজের থেকে ছোটদের সঙ্গে ভদ্রতাপূর্ণ ও বিনয়সুলভ আচরণ করা। ইসলাম মানুষকে এমন আচরণের ব্যাপারে উৎসাহী করে। নবী করিম (সা.) সুন্দর আচরণের মাধ্যমেই পথহারা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে এনেছেন। তাদের শিক্ষা দিয়েছেন উত্তম আচরণ। সুন্দর আচরণ আল্লাহতায়ালাও অত্যন্ত পছন্দ করেন। একটি ভালো কথা, সুন্দর আচরণ একটি ভালো গাছের মতো। সুন্দর আচরণকারীর সামনে-পেছনে মানুষ তার প্রশংসা করে। তার জন্য মন খুলে দোয়া করে। ফলে আল্লাহ এবং আসমান-জমিনের ফেরেশতারাও তাকে অত্যন্ত পছন্দ করে। অনেক হাদিসে নবী করীম (সা.) উন্নত নৈতিক চরিত্র অর্জন ও খারাপ চরিত্র বর্জনের জন্য উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। ঈমানের উচ্চ আসনে আসীন হওয়ার জন্য উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আচার ব্যবহারের ন্যায় আর কোনো আমল নেই। কোরানে কারিমেও সুন্দর আচরণের বিষয়ে ব্যাপক তাগিদ রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের জন্য আপনি আপনার ডানা অবনমিত করুন অর্থাৎ কোমল আচরণ করুন’ Ñসূরা হিজর: ৮৮। কোরানে কারিমে আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ যখন তোমাকে সৌজন্যমূলক সম্ভাষণ জানাবে প্রতি উত্তরে তুমি তাকে তার চাইতে সুন্দর ধরনের সম্ভাষণ জানাও, কিংবা অন্তত ততটুকুই জানাও’ Ñসূরা নিসা: ৮৬। পবিত্র কোরানের পাশাপাশি হাদিসেও সবার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে এবং দয়া, সহানুভূতি ও কোমলভাবে কথা বলতে বলা হয়েছে। সুন্দর আচরণের ফলে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। প্রেম-প্রীতি সুদৃঢ় হয় এবং অনেক সময় চিরশত্রু বন্ধু হয়ে যায়। সুন্দর আচরণের ফলে পিতা-মাতা, ভাই-বোন, উস্তাদ, পাড়া-প্রতিবেশী এমনকি সবাই তাকে ভালোবাসে। তার আগমনে মানুষ খুশি হয়। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, মুমিন ব্যক্তি কখনো অভিশাপকারী, তিরষ্কারকারী হতে পারে না। অশ্লীল বাক্য ব্যয়ী ও অহেতুক বাক্য ব্যয়ীও হয় না Ñতিরমিজি। হাদিসে আরো ইরশাদ হয়েছে, পরিপূর্ণ মুমিন সে নয়, যে উপহাস করে, অভিশাপ দেয়, মন্দ ভাষায় কথা বলে এবং যে বাঁচাল। বর্তমান সময়ে মানুষের এই গুণগুলোর বড় অভাব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মন্দ ভাষী ও বাঁচাল

আপলোড টাইম : ০২:২২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের স্বাভাবিক অভ্যাস হলো, কর্তা কিংবা প্রতাপশালীর সামনে বিনয় প্রকাশ করে আদেশ পালন করা। কিন্তু প্রকৃত বিনয়, ভদ্রতা ও প্রশংসনীয় অভ্যাস হলোÑ নিজের সমপর্যায়ের লোকদের সঙ্গে এবং নিজের থেকে ছোটদের সঙ্গে ভদ্রতাপূর্ণ ও বিনয়সুলভ আচরণ করা। ইসলাম মানুষকে এমন আচরণের ব্যাপারে উৎসাহী করে। নবী করিম (সা.) সুন্দর আচরণের মাধ্যমেই পথহারা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে এনেছেন। তাদের শিক্ষা দিয়েছেন উত্তম আচরণ। সুন্দর আচরণ আল্লাহতায়ালাও অত্যন্ত পছন্দ করেন। একটি ভালো কথা, সুন্দর আচরণ একটি ভালো গাছের মতো। সুন্দর আচরণকারীর সামনে-পেছনে মানুষ তার প্রশংসা করে। তার জন্য মন খুলে দোয়া করে। ফলে আল্লাহ এবং আসমান-জমিনের ফেরেশতারাও তাকে অত্যন্ত পছন্দ করে। অনেক হাদিসে নবী করীম (সা.) উন্নত নৈতিক চরিত্র অর্জন ও খারাপ চরিত্র বর্জনের জন্য উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। ঈমানের উচ্চ আসনে আসীন হওয়ার জন্য উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আচার ব্যবহারের ন্যায় আর কোনো আমল নেই। কোরানে কারিমেও সুন্দর আচরণের বিষয়ে ব্যাপক তাগিদ রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের জন্য আপনি আপনার ডানা অবনমিত করুন অর্থাৎ কোমল আচরণ করুন’ Ñসূরা হিজর: ৮৮। কোরানে কারিমে আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ যখন তোমাকে সৌজন্যমূলক সম্ভাষণ জানাবে প্রতি উত্তরে তুমি তাকে তার চাইতে সুন্দর ধরনের সম্ভাষণ জানাও, কিংবা অন্তত ততটুকুই জানাও’ Ñসূরা নিসা: ৮৬। পবিত্র কোরানের পাশাপাশি হাদিসেও সবার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে এবং দয়া, সহানুভূতি ও কোমলভাবে কথা বলতে বলা হয়েছে। সুন্দর আচরণের ফলে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। প্রেম-প্রীতি সুদৃঢ় হয় এবং অনেক সময় চিরশত্রু বন্ধু হয়ে যায়। সুন্দর আচরণের ফলে পিতা-মাতা, ভাই-বোন, উস্তাদ, পাড়া-প্রতিবেশী এমনকি সবাই তাকে ভালোবাসে। তার আগমনে মানুষ খুশি হয়। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, মুমিন ব্যক্তি কখনো অভিশাপকারী, তিরষ্কারকারী হতে পারে না। অশ্লীল বাক্য ব্যয়ী ও অহেতুক বাক্য ব্যয়ীও হয় না Ñতিরমিজি। হাদিসে আরো ইরশাদ হয়েছে, পরিপূর্ণ মুমিন সে নয়, যে উপহাস করে, অভিশাপ দেয়, মন্দ ভাষায় কথা বলে এবং যে বাঁচাল। বর্তমান সময়ে মানুষের এই গুণগুলোর বড় অভাব।