ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মদনা স. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াছ নবীর বিরুদ্ধে : বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭
  • / ৩২৭ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: মদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ গ্রামবাসী।
জানা গেছে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মদনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। নিয়মানুযায়ী প্রধান শিক্ষক সভায় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুলসহ অন্যান্য সদস্যদের বরাদ্দের বিষয়ে অবহিত করেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি ব্যস্ত থাকায় ঐ সভায় একটি ৫ সদস্যের ক্রয় ও খরচ কমিটি গঠন করে দেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক খরচ কমিটির সদস্যদের না জানিয়েই তিনি একাই ৪০ হাজার টাকা খরচ করে এর ভাউচারে সভাপতির স্বাক্ষর নিতে যান। এ সময় সভাপতি ক্রয়কৃত মালামাল সরেজমিনে দেখে ক্রয়কৃত মালামালের সাথে ব্যয়ের গরমিল দেখতে পান। এ নিয়ে গতকাল সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক উত্তেজনাকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সভাপতি আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। মালামাল ক্রয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন মালের ভাউচার দেখান, যাতে টাকার সাথে কোন মালের মিল নেই। এ বিষয়ে সভাপতি মনিরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে স্কুল কমিটির অভিভাবক সদস্যসহ গ্রামের সাধারন মানুষেরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে যাবে বলে জানায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মদনা স. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াছ নবীর বিরুদ্ধে : বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৪:২১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭

দর্শনা অফিস: মদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ গ্রামবাসী।
জানা গেছে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মদনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। নিয়মানুযায়ী প্রধান শিক্ষক সভায় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুলসহ অন্যান্য সদস্যদের বরাদ্দের বিষয়ে অবহিত করেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি ব্যস্ত থাকায় ঐ সভায় একটি ৫ সদস্যের ক্রয় ও খরচ কমিটি গঠন করে দেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক খরচ কমিটির সদস্যদের না জানিয়েই তিনি একাই ৪০ হাজার টাকা খরচ করে এর ভাউচারে সভাপতির স্বাক্ষর নিতে যান। এ সময় সভাপতি ক্রয়কৃত মালামাল সরেজমিনে দেখে ক্রয়কৃত মালামালের সাথে ব্যয়ের গরমিল দেখতে পান। এ নিয়ে গতকাল সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক উত্তেজনাকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সভাপতি আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। মালামাল ক্রয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন মালের ভাউচার দেখান, যাতে টাকার সাথে কোন মালের মিল নেই। এ বিষয়ে সভাপতি মনিরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে স্কুল কমিটির অভিভাবক সদস্যসহ গ্রামের সাধারন মানুষেরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে যাবে বলে জানায়।