ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভয়াবহতা বাড়ছেই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
  • / ২০৪ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাস দেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪১
সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশে করোনাবাইরাসের ভয়াবহতা বাড়ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো পাঁচজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১৭। এ ছাড়া, নতুন শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪১ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গত তিন দিন ৯, ১৮, ৩৫ জ্যামিতিক হারে বাড়ার পর গতকালও করোনার ভয়াবহতা ধরে রেখে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪১ জন। গতকাল মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট শনাক্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে কোভিড-১৯’র সংক্রমণ রয়েছে, এরকম সংখ্যা ৪১। গত ৮ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৬৪। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন আরো পাঁচজন, যাদের মধ্যে কোভিড-১৯’র সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৭। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন মোট ৩৩ জন।
ডা. মীরজাদী ফ্লোরা বলেন, নতুন আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন ও নারী ১৩ জন। এদের মধ্যে ১০ বছর বয়সের নিচে একজন, ১১-২০ বছর বয়সের মধ্যে চার জন, ২১-৩০ বছর বয়সের মধ্যে ১০ জন, ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে পাঁচজন, ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে নয়জন, ৫১-৬০ বছর বয়সের মধ্যে সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন পাঁচজন। এই ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার। এ ছাড়া, ঢাকার বাইরে আমরা ইতোমধ্যে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ আমাদের জন্য একটা নতুন ক্লাস্টার হিসেবে আইডেনটিফাই হয়েছে। এই ৪১ জনের মধ্যে ১৫ জন নারায়ণগঞ্জের। এ ছাড়া, কুমিল্লায় একজন, কেরানীগঞ্জে একজন এবং চট্টগ্রামে একজন শনাক্ত হয়েছেন। যে পাঁচটি মৃত্যুর কথা আমরা বলেছি, তার মধ্যে পুরুষ চার জন, নারী একজন। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব দুইজন, ৫০-৬০ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছেন দুইজন এবং ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে একজন। পাঁচজনের মধ্যে দু’জন ঢাকার, বাকি তিনজন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করেছি ৭৯২টি। এরমধ্যে ঢাকায় আইপিএইচে ২০২টি, আইইডিসিআরে ১৫৭টি, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরী মেডিসিনে ১৩৭টি, আইসিডিডিআরবি ৫৭, আইদেশী ৩৪, বিএসএমএমইউ ২৮, ঢাকা মেডিক্যাল ১৫, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ১১ এবং আর্মড ফোর্সেস ইন্সটিটিউট অব প্যাথলজিতে ৬ টি নমুনাসহ ৬৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার বাইরে রংপুর মেডিক্যালে ৫৩, রাজশাহী মেডিক্যালে ৩১, কক্সবাজার মেডিক্যালে ২৫, বিআইটিআইডি ১৮ এবং ময়মনসিংহ মেডিক্যালে ১৮টি সহ সর্বমোট ১৪৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বিতরণের প্রয়োজন হয় নাই। অদ্যাবধি ছয় লাখ ২৬ হাজার ৩৯৭টি পিপিই আমরা সংগ্রহ করেছি এবং ৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪টি পিপিই বিতরণ করেছি। এখন আমাদের হাতে মজুদ রয়েছে একলাখ ৬৪ হাজার ৫০৩টি পিপিই। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৬০৬ জন, এ পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৪৪৮ জন। ছাড় পেয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনের ৫৬ হাজার ৯২৭ জন এবং হাসপাতাল ও অন্যান্য ২০৫ জন। সর্বমোট ৫৭ হাজার ১৩২ জন। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৩২ জন, এ পর্যন্ত ৩৩১ জন। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১০ হাজার ১৯০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে রয়েছেন ১২৬ জন উল্লেখ করেন তিনি।
অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত তথ্যে জানানো হয়, মজুদ থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কিট সরবরাহ প্রয়োজন হয়নি। কিট সংগ্রহে আছে ৯২ হাজার। এ পর্যন্ত ২১ হাজার বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে মজুদ রয়েছে ৭১ হাজার। তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩০ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৩৭ জন। এ পর্যন্ত মোট ৪৭৩ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়। ছাড় পেয়েছেন ৩৩৬ জন। সূত্র মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে মোট ফোন কলের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৯০৪টি। এ পর্যন্ত মোট ফোন কল এসেছে ১৬ লাখ ১ হাজার ৬৭৭টি। উল্লেখ, গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করা যায়নি। এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং পোষা প্রাণির সংস্পর্শ এড়িয়ে যেতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে। বাংলাদেশের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের হট লাইন ০১৯৪৪৩৩৩২২২ নম্বরে যোগাযোগের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দেশে আরও ১০টি ল্যাব স্থাপন:
এদিকে গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও কেন্দ্রীয় ওষুধাগারে (সিএমএসডি) দেশের বিভিন্ন উপজেলার মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জিপগাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত ১৭ থেকে ১৮টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরো ১০টি ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। তিনি বলেন, যত বেশি করোনা টেস্ট করা হবে তত বেশি শনাক্ত করে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে। মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসকদের এখন পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় চিকিৎসকদের আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন তিনি। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯৭টি জিপ বিতরণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই জিপ ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়, স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতেই এসব গাড়ি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, সিএমএসডি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।২০

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভয়াবহতা বাড়ছেই

আপলোড টাইম : ১২:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাস দেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪১
সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশে করোনাবাইরাসের ভয়াবহতা বাড়ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো পাঁচজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১৭। এ ছাড়া, নতুন শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪১ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গত তিন দিন ৯, ১৮, ৩৫ জ্যামিতিক হারে বাড়ার পর গতকালও করোনার ভয়াবহতা ধরে রেখে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪১ জন। গতকাল মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট শনাক্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে কোভিড-১৯’র সংক্রমণ রয়েছে, এরকম সংখ্যা ৪১। গত ৮ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৬৪। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন আরো পাঁচজন, যাদের মধ্যে কোভিড-১৯’র সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৭। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন মোট ৩৩ জন।
ডা. মীরজাদী ফ্লোরা বলেন, নতুন আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন ও নারী ১৩ জন। এদের মধ্যে ১০ বছর বয়সের নিচে একজন, ১১-২০ বছর বয়সের মধ্যে চার জন, ২১-৩০ বছর বয়সের মধ্যে ১০ জন, ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে পাঁচজন, ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে নয়জন, ৫১-৬০ বছর বয়সের মধ্যে সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন পাঁচজন। এই ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার। এ ছাড়া, ঢাকার বাইরে আমরা ইতোমধ্যে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ আমাদের জন্য একটা নতুন ক্লাস্টার হিসেবে আইডেনটিফাই হয়েছে। এই ৪১ জনের মধ্যে ১৫ জন নারায়ণগঞ্জের। এ ছাড়া, কুমিল্লায় একজন, কেরানীগঞ্জে একজন এবং চট্টগ্রামে একজন শনাক্ত হয়েছেন। যে পাঁচটি মৃত্যুর কথা আমরা বলেছি, তার মধ্যে পুরুষ চার জন, নারী একজন। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব দুইজন, ৫০-৬০ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছেন দুইজন এবং ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে একজন। পাঁচজনের মধ্যে দু’জন ঢাকার, বাকি তিনজন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করেছি ৭৯২টি। এরমধ্যে ঢাকায় আইপিএইচে ২০২টি, আইইডিসিআরে ১৫৭টি, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরী মেডিসিনে ১৩৭টি, আইসিডিডিআরবি ৫৭, আইদেশী ৩৪, বিএসএমএমইউ ২৮, ঢাকা মেডিক্যাল ১৫, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ১১ এবং আর্মড ফোর্সেস ইন্সটিটিউট অব প্যাথলজিতে ৬ টি নমুনাসহ ৬৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার বাইরে রংপুর মেডিক্যালে ৫৩, রাজশাহী মেডিক্যালে ৩১, কক্সবাজার মেডিক্যালে ২৫, বিআইটিআইডি ১৮ এবং ময়মনসিংহ মেডিক্যালে ১৮টি সহ সর্বমোট ১৪৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বিতরণের প্রয়োজন হয় নাই। অদ্যাবধি ছয় লাখ ২৬ হাজার ৩৯৭টি পিপিই আমরা সংগ্রহ করেছি এবং ৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪টি পিপিই বিতরণ করেছি। এখন আমাদের হাতে মজুদ রয়েছে একলাখ ৬৪ হাজার ৫০৩টি পিপিই। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৬০৬ জন, এ পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৪৪৮ জন। ছাড় পেয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনের ৫৬ হাজার ৯২৭ জন এবং হাসপাতাল ও অন্যান্য ২০৫ জন। সর্বমোট ৫৭ হাজার ১৩২ জন। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৩২ জন, এ পর্যন্ত ৩৩১ জন। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১০ হাজার ১৯০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে রয়েছেন ১২৬ জন উল্লেখ করেন তিনি।
অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত তথ্যে জানানো হয়, মজুদ থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কিট সরবরাহ প্রয়োজন হয়নি। কিট সংগ্রহে আছে ৯২ হাজার। এ পর্যন্ত ২১ হাজার বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে মজুদ রয়েছে ৭১ হাজার। তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩০ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৩৭ জন। এ পর্যন্ত মোট ৪৭৩ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়। ছাড় পেয়েছেন ৩৩৬ জন। সূত্র মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে মোট ফোন কলের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৯০৪টি। এ পর্যন্ত মোট ফোন কল এসেছে ১৬ লাখ ১ হাজার ৬৭৭টি। উল্লেখ, গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করা যায়নি। এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং পোষা প্রাণির সংস্পর্শ এড়িয়ে যেতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে। বাংলাদেশের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের হট লাইন ০১৯৪৪৩৩৩২২২ নম্বরে যোগাযোগের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দেশে আরও ১০টি ল্যাব স্থাপন:
এদিকে গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও কেন্দ্রীয় ওষুধাগারে (সিএমএসডি) দেশের বিভিন্ন উপজেলার মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জিপগাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত ১৭ থেকে ১৮টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরো ১০টি ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। তিনি বলেন, যত বেশি করোনা টেস্ট করা হবে তত বেশি শনাক্ত করে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে। মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসকদের এখন পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় চিকিৎসকদের আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন তিনি। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯৭টি জিপ বিতরণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই জিপ ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়, স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতেই এসব গাড়ি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, সিএমএসডি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।২০