ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভ্রাম্যমাণ আদালতে হোটেল মেহমান সিলগালা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় টিটিসি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত বাংলাদেশিদের মানহীন খাবার সরবরাহ করাই হোটেল মেহমানকে সিলগালা করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিম্নমানের খাবার সরবরাহকারী হোটেল মেহমানে অভিযান পরিচালনা করে হয়। অভিযানে টিটিসি কোয়ারেন্টিনে নিম্নমানের খাবার সরবরাহের সত্যতা পাওয়ায় সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠের সামনে অবস্থিত মেহমান হোটেলটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রকোপে বন্ধ রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এর মধ্যে জরুরি চিকিৎসা নিতে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে স্থলপথে ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফেরানো হচ্ছে। গত ১৬ মে থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করে বাংলাদেশিরা। তবে শর্ত অনুযায়ী দেশে ফেরা সবাইকে ১৪ দিনের বিশেষ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন বিষয়টি তদারকি করছেন। সেই অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরা প্রায় ৫ শ ভারতফেরত অবস্থান করছেন চুয়াডাঙ্গার চারটি সরকারি ভবন ও তিনটি আবাসিক হোটেলের অস্থায়ী কোয়ারেন্টিন সেন্টারে।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী থাকা-খাওয়ার সব খরচ বহন করতে হচ্ছে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকেই। আবাসন নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ না পাওয়া গেলেও সরবরাহকৃত খাবারের মান নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন তাঁরা। গত বুধবার টিটিসি কোয়ারেন্টিনে সেন্টারে সেই ক্ষোভ রূপ নেয় বিক্ষোভে। অনেকে টিটিসি ভবনের জানালা দিয়ে ফেলে দেন খাবার।
কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরতদের অভিযোগ, গত বুধবার রাতে যে মাছ খেতে দেওয়া হয়েছিল, তা পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত। পরে এই পচা খাবার সরবরাহের প্রতিবাদে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত বাংলাদেশিদের খাবারসহ ব্যবস্থাপনার তদারকিতে থাকা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) আমজাদ হোসেন জানান, ‘মান যাচাই করে চুয়াডাঙ্গা শহরের তিনটি রেস্তোরাঁকে পর্যায়ক্রমে খাবার সরবরাহের কাজ দেওয়া হয়েছে। বড় বাজারের হোটেল আল আমিন, ভোজন বিলাস এবং মেহমান হোটেল থেকে তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ভারতফেরতদের মানহীন খাবার সরবরাহ করাই সত্যতা পাওয়া গেছে মেহমান হোটেলের বিরুদ্ধে। পরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার মেহমান হোটেলটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সিলগালা করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভ্রাম্যমাণ আদালতে হোটেল মেহমান সিলগালা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় টিটিসি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত বাংলাদেশিদের মানহীন খাবার সরবরাহ করাই হোটেল মেহমানকে সিলগালা করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিম্নমানের খাবার সরবরাহকারী হোটেল মেহমানে অভিযান পরিচালনা করে হয়। অভিযানে টিটিসি কোয়ারেন্টিনে নিম্নমানের খাবার সরবরাহের সত্যতা পাওয়ায় সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠের সামনে অবস্থিত মেহমান হোটেলটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রকোপে বন্ধ রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এর মধ্যে জরুরি চিকিৎসা নিতে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে স্থলপথে ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফেরানো হচ্ছে। গত ১৬ মে থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করে বাংলাদেশিরা। তবে শর্ত অনুযায়ী দেশে ফেরা সবাইকে ১৪ দিনের বিশেষ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন বিষয়টি তদারকি করছেন। সেই অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরা প্রায় ৫ শ ভারতফেরত অবস্থান করছেন চুয়াডাঙ্গার চারটি সরকারি ভবন ও তিনটি আবাসিক হোটেলের অস্থায়ী কোয়ারেন্টিন সেন্টারে।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী থাকা-খাওয়ার সব খরচ বহন করতে হচ্ছে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকেই। আবাসন নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ না পাওয়া গেলেও সরবরাহকৃত খাবারের মান নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন তাঁরা। গত বুধবার টিটিসি কোয়ারেন্টিনে সেন্টারে সেই ক্ষোভ রূপ নেয় বিক্ষোভে। অনেকে টিটিসি ভবনের জানালা দিয়ে ফেলে দেন খাবার।
কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরতদের অভিযোগ, গত বুধবার রাতে যে মাছ খেতে দেওয়া হয়েছিল, তা পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত। পরে এই পচা খাবার সরবরাহের প্রতিবাদে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত বাংলাদেশিদের খাবারসহ ব্যবস্থাপনার তদারকিতে থাকা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) আমজাদ হোসেন জানান, ‘মান যাচাই করে চুয়াডাঙ্গা শহরের তিনটি রেস্তোরাঁকে পর্যায়ক্রমে খাবার সরবরাহের কাজ দেওয়া হয়েছে। বড় বাজারের হোটেল আল আমিন, ভোজন বিলাস এবং মেহমান হোটেল থেকে তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ভারতফেরতদের মানহীন খাবার সরবরাহ করাই সত্যতা পাওয়া গেছে মেহমান হোটেলের বিরুদ্ধে। পরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার মেহমান হোটেলটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সিলগালা করা হয়।