ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভেঙে ফেলা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার প্রথম সিনেমা হল ‘রুপছায়া’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৩:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৪২ বার পড়া হয়েছে

নির্মিত হবে অত্যাধুনিক মাল্টি কমপ্লেক্স ও সিনেপ্লেক্স : দিলীপ কুমার আগরওয়ালা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পান্না (রুপছায়া) সিনেমা হলের স্থানে নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক মাল্টি কমপ্লেক্স ও সিনেপ্লেক্স। পান্না (রুপছায়া) সিনেমা হলের পুরোনো ভবনটি ভাঙার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আজ রোববার হল থেকে মেশিনপত্র ও সার্ভার খুলে নেবে জাজ মাল্টিমিডিয়া। জেলার ১৪টি সিনেমা হলের মধ্যে চালু থাকা শেষ তিনটি সিনেমা হলের মধ্যে অন্যতম ছিল সিনেমা হলটি। পূর্বে এটি রূপছায়া সিনেমা হল নামে পরিচিত ছিল।
স্থানীয়রা জানান, সিনেমা হলের পরিবেশ, রুচিসম্মত ছবির অভাব, আকাশ সংস্কৃতির দাপট আর ঘরে ঘরে টেলিভিশন চলে আসায় এ ব্যবসায় ধস নেমে গেছে অনেক আগেই। অথচ এক সময় এ সিনেমা হলটিই ছিল সীমান্তবর্তী এ জেলার মানুষের আনন্দ-বিনোদনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সেইসঙ্গে সিনেমা হলটিতে কর্মসংস্থান ছিল এ এলাকার বহু মানুষের। সর্বশেষ সিনেমা হল ব্যবসার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে মহামারি করোনাভাইরাস।
এ প্রসঙ্গে পান্না সিনেমা হলের কর্ণধার দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘পান্না সিনেমা হল ভেঙে সেখানে মাল্টি কমপ্লেক্স ও সিনেপ্লেক্স তৈরি করা হবে। এ জন্যই পুরোনো হলটি ভেঙে ফেলতে হচ্ছে।’
হলটির ব্যবস্থাপক আব্দুর রশিদ হীরা বলেন, ১৯৫০ সালে দূর্গা দাশ আগরওয়ালার হাত ধরে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম ‘রূপছায়া’ সিনেমা হল নির্মিত হয়। কালের আবর্তে ব্যবসায়িক ধারা আর উত্তরাধিকার সূত্রে মালিকানা পরিবর্তন হয়ে ‘পান্না’ সিনেমা হল হিসেবে নামকরণ করা হয়। যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে আরও আধুনিকায়ন করতেই সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখানে মাল্টিকমপ্লেক্স ও সিনেপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা জেলাতে মোট সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ১৪টি। এরমধ্যে মাত্র তিনটি সিনেমা হল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। বাকি ১১টি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। নামকাওয়াস্তে চালু থাকা সিনেমা হলগুলো হচ্ছে- চুয়াডাঙ্গা শহরের পান্না সিনেমা (রূপছায়া) ও নাণ্টুরাজ সিনেমা এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের টকিজ সিনেমা। আর ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, আলমডাঙ্গার শিলা সিনেমা, জনি সিনেমা, মুন্সিগঞ্জের রকি, সরোজগঞ্জের মিতালি, হাটবোয়ালিয়ার শিল্পী, দামুড়হুদার ছবিঘর, কার্পাসডাঙ্গার মিণ্টুরাজ, জীবননগর উপজেলার আধুনিক ও মহানগর এবং দর্শনার দর্শন ও হীরা সিনেমা হল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভেঙে ফেলা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার প্রথম সিনেমা হল ‘রুপছায়া’

আপলোড টাইম : ০৯:১৩:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নির্মিত হবে অত্যাধুনিক মাল্টি কমপ্লেক্স ও সিনেপ্লেক্স : দিলীপ কুমার আগরওয়ালা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পান্না (রুপছায়া) সিনেমা হলের স্থানে নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক মাল্টি কমপ্লেক্স ও সিনেপ্লেক্স। পান্না (রুপছায়া) সিনেমা হলের পুরোনো ভবনটি ভাঙার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আজ রোববার হল থেকে মেশিনপত্র ও সার্ভার খুলে নেবে জাজ মাল্টিমিডিয়া। জেলার ১৪টি সিনেমা হলের মধ্যে চালু থাকা শেষ তিনটি সিনেমা হলের মধ্যে অন্যতম ছিল সিনেমা হলটি। পূর্বে এটি রূপছায়া সিনেমা হল নামে পরিচিত ছিল।
স্থানীয়রা জানান, সিনেমা হলের পরিবেশ, রুচিসম্মত ছবির অভাব, আকাশ সংস্কৃতির দাপট আর ঘরে ঘরে টেলিভিশন চলে আসায় এ ব্যবসায় ধস নেমে গেছে অনেক আগেই। অথচ এক সময় এ সিনেমা হলটিই ছিল সীমান্তবর্তী এ জেলার মানুষের আনন্দ-বিনোদনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সেইসঙ্গে সিনেমা হলটিতে কর্মসংস্থান ছিল এ এলাকার বহু মানুষের। সর্বশেষ সিনেমা হল ব্যবসার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে মহামারি করোনাভাইরাস।
এ প্রসঙ্গে পান্না সিনেমা হলের কর্ণধার দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘পান্না সিনেমা হল ভেঙে সেখানে মাল্টি কমপ্লেক্স ও সিনেপ্লেক্স তৈরি করা হবে। এ জন্যই পুরোনো হলটি ভেঙে ফেলতে হচ্ছে।’
হলটির ব্যবস্থাপক আব্দুর রশিদ হীরা বলেন, ১৯৫০ সালে দূর্গা দাশ আগরওয়ালার হাত ধরে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম ‘রূপছায়া’ সিনেমা হল নির্মিত হয়। কালের আবর্তে ব্যবসায়িক ধারা আর উত্তরাধিকার সূত্রে মালিকানা পরিবর্তন হয়ে ‘পান্না’ সিনেমা হল হিসেবে নামকরণ করা হয়। যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে আরও আধুনিকায়ন করতেই সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখানে মাল্টিকমপ্লেক্স ও সিনেপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা জেলাতে মোট সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ১৪টি। এরমধ্যে মাত্র তিনটি সিনেমা হল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। বাকি ১১টি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। নামকাওয়াস্তে চালু থাকা সিনেমা হলগুলো হচ্ছে- চুয়াডাঙ্গা শহরের পান্না সিনেমা (রূপছায়া) ও নাণ্টুরাজ সিনেমা এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের টকিজ সিনেমা। আর ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, আলমডাঙ্গার শিলা সিনেমা, জনি সিনেমা, মুন্সিগঞ্জের রকি, সরোজগঞ্জের মিতালি, হাটবোয়ালিয়ার শিল্পী, দামুড়হুদার ছবিঘর, কার্পাসডাঙ্গার মিণ্টুরাজ, জীবননগর উপজেলার আধুনিক ও মহানগর এবং দর্শনার দর্শন ও হীরা সিনেমা হল।