ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ, উৎপত্তিস্থল আসাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
ঢাকাসহ দেশের উত্তবঙ্গে গতকাল সকালে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সকাল ৮টা ২১ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। আবহাওয়া অধিদফতরের ভূকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী সৈয়দ সামসুজ্জামান সানু জানান, রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আসামে। এর উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৯৭ কিলোমিটার উত্তরে রেকর্ড করেছে অধিদফতরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার জানান, তীব্র মাত্রার এ ভূমিকম্প আসামের উৎপত্তিস্থলের ২০ কিলোমিটার গভীরে এর কেন্দ্র (ইপিসেন্টার)। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলে ৬.২ মাত্রার তীব্র ভূকম্পন হলেও এর মাত্রা ঢাকায় ৩, সিলেটে ৪ ও উত্তরবঙ্গের রাজশাহী, দিনাজপুরসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫ মাত্রার অনুভূত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত আর্থ অবজারভেটরি সেন্টার থেকে ৪০৬ কিলোমিটার উত্তরে এর উৎপত্তিস্থল রেকর্ড করা হয়। মনিপুর অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রবণতা রয়েছে; সেখানে বেশ ভূমিকম্প হয়। ১০-১৫ বছরের নিকট অতীতে আসামের এ অঞ্চলে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পের রেকর্ড নেই।
সিলেটে ভূমিকম্প : সিলেটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা ২১ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, সিলেট অঞ্চলে ২৫ সেকেন্ড এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। উৎপত্তিস্থলে এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৩৪ কিলোমিটার। সকালে ভূকম্পনের সময় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বাসা-বাড়ি ছেড়ে খোলা স্থানে বের হয়ে আসেন। ভূমিকম্পে ভারতের আসামের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাটে ফাটল ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে সিলেটে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
রংপুরের ভূমিকম্প : রংপুরসহ আশপাশ এলাকা ভূমিকম্পের প্লেট বাউন্ডারি কাছাকাছি অবস্থান করছে। বুধবার সকালের ভূমিকম্প প্লেট বাউন্ডারি কাছাকাছি চলে এসেছিল। রিখটার স্কেলের মাত্রা আরেকটু বেশি হলে ভয়ানক ক্ষতির মুখে পরতে হতো ডেঞ্জারজোন হিসেবে খ্যাত রংপুর অঞ্চলকে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তফিজার রহমান জানান, ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এ অঞ্চলে ৯৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুরে রংপুর জেলায়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। স্থায়িত্ব ছিল ২৫-৩০ সেকেন্ড। ওই বছরের ৫ জানুয়ারি ভোরে দুই দফায় ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রংপুর নগরী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ, উৎপত্তিস্থল আসাম

আপলোড টাইম : ০৯:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

সমীকরণ প্রতিবেদন:
ঢাকাসহ দেশের উত্তবঙ্গে গতকাল সকালে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সকাল ৮টা ২১ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। আবহাওয়া অধিদফতরের ভূকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী সৈয়দ সামসুজ্জামান সানু জানান, রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আসামে। এর উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৯৭ কিলোমিটার উত্তরে রেকর্ড করেছে অধিদফতরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার জানান, তীব্র মাত্রার এ ভূমিকম্প আসামের উৎপত্তিস্থলের ২০ কিলোমিটার গভীরে এর কেন্দ্র (ইপিসেন্টার)। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলে ৬.২ মাত্রার তীব্র ভূকম্পন হলেও এর মাত্রা ঢাকায় ৩, সিলেটে ৪ ও উত্তরবঙ্গের রাজশাহী, দিনাজপুরসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫ মাত্রার অনুভূত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত আর্থ অবজারভেটরি সেন্টার থেকে ৪০৬ কিলোমিটার উত্তরে এর উৎপত্তিস্থল রেকর্ড করা হয়। মনিপুর অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রবণতা রয়েছে; সেখানে বেশ ভূমিকম্প হয়। ১০-১৫ বছরের নিকট অতীতে আসামের এ অঞ্চলে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পের রেকর্ড নেই।
সিলেটে ভূমিকম্প : সিলেটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা ২১ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, সিলেট অঞ্চলে ২৫ সেকেন্ড এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। উৎপত্তিস্থলে এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৩৪ কিলোমিটার। সকালে ভূকম্পনের সময় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বাসা-বাড়ি ছেড়ে খোলা স্থানে বের হয়ে আসেন। ভূমিকম্পে ভারতের আসামের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাটে ফাটল ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে সিলেটে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
রংপুরের ভূমিকম্প : রংপুরসহ আশপাশ এলাকা ভূমিকম্পের প্লেট বাউন্ডারি কাছাকাছি অবস্থান করছে। বুধবার সকালের ভূমিকম্প প্লেট বাউন্ডারি কাছাকাছি চলে এসেছিল। রিখটার স্কেলের মাত্রা আরেকটু বেশি হলে ভয়ানক ক্ষতির মুখে পরতে হতো ডেঞ্জারজোন হিসেবে খ্যাত রংপুর অঞ্চলকে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তফিজার রহমান জানান, ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এ অঞ্চলে ৯৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুরে রংপুর জেলায়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। স্থায়িত্ব ছিল ২৫-৩০ সেকেন্ড। ওই বছরের ৫ জানুয়ারি ভোরে দুই দফায় ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রংপুর নগরী।