ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভিজিএফ-এর চাল নিয়ে হট্টগোল, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
  • / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদের সংবাদ সম্মেলন, পৌর আওয়ামী লীগের বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ভিজিএফ-এর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে হট্টগোলের। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু ও প্রতিবাদ বিবৃতিতে চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ একে অপরের প্রতি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছে। জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ব্যাপক হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী:
বিকেল ৫টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলন করে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে। সংবাদ সম্মেলনে পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসী তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমিসহ বর্তমান পরিষদকে নির্বাচিত করেছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে আমিসহ আমার বর্তমান পরিষদ জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে চলেছি। আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির ৮০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছি। কিছু কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
আজ অনেক ভারাক্লান্ত মনে আপনাদের সামনে কিছু ঘটনা বলতে চাই। বিগত কয়েক বছরে পৌরসভার নানা উন্নয়ন কাজে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এমনকি উন্নয়ন কাজ বন্ধ করতেও নানাভাবে কাজ করেছেন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তারপরও আমরা চুপচাপ থেকেছি। জেলার মুরব্বি ও আমাদের নেতা হিসেবে সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করেছি। গত ২২ জুলাই মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জরুরি সভায় সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন গরীবদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল বিতরণে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্য সভায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
এরপর আজ মঙ্গলবার (গতকাল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সশরীরে এসে পৌরসভার লোকজনের ওপর চড়াও হন। এ সময় তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে লাঞ্ছিত ও লাথি মেরে পৌরসভায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মহোদয় ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার আওতায় ৪ হাজার ৬২১টি কার্ডের বিপরীতে ৪৬ হাজার ২১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ প্রদান করেন। উক্ত বরাদ্দকৃত চাল গত ১৬/০৭/২০২০ তারিখ অনুষ্ঠিত ৪২ নম্বর বিশেষ সভায় পুন:বণ্টনকৃত পত্র মাননীয় সংসদ সদস্য ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ এর নিকট প্রেরণ করা হয়।
উক্ত বরাদ্দকৃত চালের ডিও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক মেয়র, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নামে। স্থানীয় খাদ্যগুদাম হতে আমার প্রতিনিধির মাধ্যমে উত্তোলন করে পৌরসভায় সংরক্ষিত রাখা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নামে বরাদ্দকৃত চালের অর্ধেক দাবি করে গত ২২/০৭/২০২০ইং তারিখে চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা চেয়ে পত্র দেন। যেহেতু আসন্ন ঈদুল আজহার মাত্র আর কয়েকদিন বাকি। তাই সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ভিজিএফ বরাদ্দকৃত চাল পৌরসভার ১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে বিতরণের তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ করা হয়। উক্ত পত্রের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ মাননীয় সংসদ সদস্য ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ ও তাঁর প্রতিনিধিকে দেওয়া হয়।
পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (গতকাল) সকাল থেকেই কয়েক শ দুস্থ ও অসহায় মানুষ ভিজিএফ চাল নিতে পৌরসভা চত্বরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে মাননীয় সংসদ সদস্য সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন পৌরসভা চত্বরে এসে চড়াও হন। এ সময় সংসদ সদস্য উচ্চস্বরে চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। আমার লোকদেরকে ধাক্কা ও লাথি মারতে থাকে। এ সময় পৌরসভা তালা মেয়ে বন্ধ করে দেওয়ার হুঁমকি দেন। মোবাইলে ঘটনা অবহিত হয়ে আমি দ্রুত পৌরসভায় চলে আসি। আমি আমার লোকদেরকে শান্ত থাকতে বলি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করি। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে মাননীয় সংসদ সদস্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পৌরসভার সেবক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও তাঁর লোকজন কীভাবে আমাদেরকে হয়রানি করছেন, উন্নয়নে কাজে বাধা দিচ্ছেন, তা অনেকে জানেন। আমরা মনে করি, এ ধরণের কাজ জাতীয় সংসদকে অবমাননার শামিল। আমরা আজকের ঘটনার বিচার দাবি করি। খুব শিগগিরই আমরা গোটা ঘটনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করব। আপনাদের কাছে প্রত্যাশা, সংসদ সদস্যের এমন ন্যাক্কারজনক কাজ বন্ধে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জাতির সামনে তুলে ধরবেন।
সংবাদ সম্মেলনকালে উপস্থিত ছিলেন পানেল মেয়র মুন্সি রেজাউল করিম খোকন, পৌর সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর সুলতানারা রত্না, সিরাজুল ইসলাম, রাসেদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, শাহিনা আক্তার, আবুল হোসেন, নাজরিন পারভীন, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম মোস্তফা ও শেফালী খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের বিবৃতি:
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ-এর চাল বিতরণ কাজে অনিয়মের বিরুদ্ধে পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা স্বাক্ষরিত এ প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ-এর চাল বিতরণ কাজের সহযোগিতা করার জন্য গত ২২/০৭/২০২০ তারিখে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর মাননীয় সংসদ সদস্য চুয়াডাঙ্গা-১ এর দুইজন প্রতিনিধি ১. এ বি এম মো. জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, সভাপতি পৌর আওয়ামী লীগ ২. মো. আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) পৌর আওয়ামী লীগের নাম প্রেরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক মহোদয় উক্ত দুইজন প্রতিনিধির নাম ২৩/০৭/২০২০ তারিখে মেয়র চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা বরাবর প্রেরণ করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদ্বয় পৌর মেয়র ও সচিবের সঙ্গে ভিজিএফ-এর চাল বণ্টনের বিষয়ে আলোচনা করেন। মেয়র ও সচিব প্রতিনিধিদ্বয়কে মৌখিকভাবে বলেন যে এ বিষয়ে আপনাদেরকে পরবর্তীতে জানানো হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৭/০৭/২০২০ তারিখে মেয়র স্বাক্ষরিত ভিজিএফ-এর চাল বণ্টননামা চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্যের প্রতিনিধির কাছে প্রেরণ করেন। উক্ত প্রেরিত পত্রে চাল বিতরণের সময় উল্লেখ নেই। বিধি মোতাবেক ভিজিএফ-এর চাল বিতরণ কমিটির সম্মানিত সব সদস্যের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সাপেক্ষে বিতরণের নির্দেশ থাকলেও মেয়র ও সচিব বিতরণ সংক্রান্ত কোনো মিটিং না করেই একক সিদ্ধান্তে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণের কাজ শুরু করেন। আজ (গতকাল) সকালে সকাল সাড়ে ৯টার সময় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি মো. আলাউদ্দিন হেলা পৌরসভায় উপস্থিত হয়ে দেখতে পান যে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণের কথা থাকালেও বিতরণ কমিটির মিটিং ছাড়ায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও ভিজিএফ-এর চাল ওজনে কম দেওয়ায় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে চাল বিতরণের কাজ বন্ধ করতে বলেন। আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এর সঙ্গে ১, ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এরই একপর্যায়ে পৌর মেয়রের ভাড়াটিয়া মাস্তানদ্বারা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ হোসেন জোয়ার্দ্দার অলককে গালিগালাজ ও দূর্ব্যবহার করে এবং ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল মতিনকেও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে ও মুখ থেকে মাস্ক টেনে ছিড়ে নেই এবং ধাক্কা দিয়ে জোর করে গাড়ির গ্যারেজের মধ্যে আটকে রাখে এবং পৌরসভার অফিসের দ্বিতীয় তলায় অবস্থানের সময় আমাকেও (মো. আলাউদ্দিন হেলা) অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য চুয়াডাঙ্গা পাঁচ মাইল নামক স্থানে মিটিং শেষ করে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছিয়ে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় প্রবেশ করে ভাড়াটিয়া মাস্তানকর্তৃক আটকিয়ে রাখা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্ধার করেন।
উল্লেখ থাকে যে, বিগত দুই বছর পূর্বে ঈদুল আজহার চার দিন আগে রাতের আধারে চুয়াডাঙ্গার বর্তমান মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু ত্রাণের চাল পাচার করাকালীন সময়ে স্থানীয় জনগণ ট্রাকভর্তি চাল আটক করে এবং ওই ট্রাকভর্তি চাল তিন দিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আটক রাখে। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়ে এই মেয়র চাল চুরির অপরাধ থেকে রক্ষা পায়।
বর্তমানে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে সরকারকর্তৃক হাজার হাজার কেজি ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই বরাদ্দপ্রাপ্ত চালের মধ্য থেকে এক কেজি চালও দিনের আলোতে বিতরণ করা হয় নাই। চালের মধ্য সামান্য কিছু চাল রাতের আধারে বিতরণ করা হলেও বেশির ভাগ চাল আত্মসাৎ করে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদুল আজহার আগে বরাদ্দপ্রাপ্ত ভিজিএফ-এর চাল আত্মসাতের খেলায় মত্ত হয়েছে। পৌরবাসীসহ পৌর আওয়ামী লীগ মনে করে এই অদক্ষ্য, অযোগ্য, চাল চোর ও দুর্নীতিবাজ মেয়রের হাত থেকে পৌরবাসীসহ পৌরসভাকে রক্ষা করা প্রয়োজন। চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র কর্তৃক চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মাননীয় সংসদ এর বিরুদ্ধে যে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসীসহ পৌর আওয়ামী লীগ এর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
এদিকে, এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক বলেন, পৌরসভার চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটি হট্টগোল হয়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণ করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফরকরুল আলম খান জানান, ‘চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ভিজিএফ-এর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝির একপর্যায়ে এমপি সাহেবের প্রতিনিধিকে আটকে রাখার একটি সংবাদ পাই। জানতে পারি এমপি সাহেবও পৌরসভায় গেছেন। তৎক্ষণাৎ সেখানে গেলে দেখি এমপি সাহেব পৌরসভা চত্বরে এবং মেয়র সাহেব নিজ কক্ষে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি ছিল উভয়পক্ষ মুখোমুখী প্রায়। তবে আমরা সেখানে এমপি সাহেবকে অনুরোধ করলে তিনি পৌরসভা থেকে প্রস্থান করেন। উভয়পক্ষই শান্তিপূর্ণ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছেন। ফলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি শান্ত হলেও উভয়পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুনেছি পরে মেয়র সাহেব সংবাদ সম্মেলন এবং পৌর আওয়ামী লীগ বিবৃতি প্রদান করেছে। তবে এ বিষয়ে লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভিজিএফ-এর চাল নিয়ে হট্টগোল, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৯:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০

চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদের সংবাদ সম্মেলন, পৌর আওয়ামী লীগের বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ভিজিএফ-এর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে হট্টগোলের। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু ও প্রতিবাদ বিবৃতিতে চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ একে অপরের প্রতি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছে। জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ব্যাপক হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী:
বিকেল ৫টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলন করে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে। সংবাদ সম্মেলনে পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসী তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমিসহ বর্তমান পরিষদকে নির্বাচিত করেছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে আমিসহ আমার বর্তমান পরিষদ জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে চলেছি। আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির ৮০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছি। কিছু কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
আজ অনেক ভারাক্লান্ত মনে আপনাদের সামনে কিছু ঘটনা বলতে চাই। বিগত কয়েক বছরে পৌরসভার নানা উন্নয়ন কাজে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এমনকি উন্নয়ন কাজ বন্ধ করতেও নানাভাবে কাজ করেছেন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তারপরও আমরা চুপচাপ থেকেছি। জেলার মুরব্বি ও আমাদের নেতা হিসেবে সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করেছি। গত ২২ জুলাই মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জরুরি সভায় সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন গরীবদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল বিতরণে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্য সভায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
এরপর আজ মঙ্গলবার (গতকাল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সশরীরে এসে পৌরসভার লোকজনের ওপর চড়াও হন। এ সময় তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে লাঞ্ছিত ও লাথি মেরে পৌরসভায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মহোদয় ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার আওতায় ৪ হাজার ৬২১টি কার্ডের বিপরীতে ৪৬ হাজার ২১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ প্রদান করেন। উক্ত বরাদ্দকৃত চাল গত ১৬/০৭/২০২০ তারিখ অনুষ্ঠিত ৪২ নম্বর বিশেষ সভায় পুন:বণ্টনকৃত পত্র মাননীয় সংসদ সদস্য ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ এর নিকট প্রেরণ করা হয়।
উক্ত বরাদ্দকৃত চালের ডিও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক মেয়র, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নামে। স্থানীয় খাদ্যগুদাম হতে আমার প্রতিনিধির মাধ্যমে উত্তোলন করে পৌরসভায় সংরক্ষিত রাখা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নামে বরাদ্দকৃত চালের অর্ধেক দাবি করে গত ২২/০৭/২০২০ইং তারিখে চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা চেয়ে পত্র দেন। যেহেতু আসন্ন ঈদুল আজহার মাত্র আর কয়েকদিন বাকি। তাই সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ভিজিএফ বরাদ্দকৃত চাল পৌরসভার ১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে বিতরণের তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ করা হয়। উক্ত পত্রের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ মাননীয় সংসদ সদস্য ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ ও তাঁর প্রতিনিধিকে দেওয়া হয়।
পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (গতকাল) সকাল থেকেই কয়েক শ দুস্থ ও অসহায় মানুষ ভিজিএফ চাল নিতে পৌরসভা চত্বরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে মাননীয় সংসদ সদস্য সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন পৌরসভা চত্বরে এসে চড়াও হন। এ সময় সংসদ সদস্য উচ্চস্বরে চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। আমার লোকদেরকে ধাক্কা ও লাথি মারতে থাকে। এ সময় পৌরসভা তালা মেয়ে বন্ধ করে দেওয়ার হুঁমকি দেন। মোবাইলে ঘটনা অবহিত হয়ে আমি দ্রুত পৌরসভায় চলে আসি। আমি আমার লোকদেরকে শান্ত থাকতে বলি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করি। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে মাননীয় সংসদ সদস্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পৌরসভার সেবক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও তাঁর লোকজন কীভাবে আমাদেরকে হয়রানি করছেন, উন্নয়নে কাজে বাধা দিচ্ছেন, তা অনেকে জানেন। আমরা মনে করি, এ ধরণের কাজ জাতীয় সংসদকে অবমাননার শামিল। আমরা আজকের ঘটনার বিচার দাবি করি। খুব শিগগিরই আমরা গোটা ঘটনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করব। আপনাদের কাছে প্রত্যাশা, সংসদ সদস্যের এমন ন্যাক্কারজনক কাজ বন্ধে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জাতির সামনে তুলে ধরবেন।
সংবাদ সম্মেলনকালে উপস্থিত ছিলেন পানেল মেয়র মুন্সি রেজাউল করিম খোকন, পৌর সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর সুলতানারা রত্না, সিরাজুল ইসলাম, রাসেদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, শাহিনা আক্তার, আবুল হোসেন, নাজরিন পারভীন, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম মোস্তফা ও শেফালী খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের বিবৃতি:
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ-এর চাল বিতরণ কাজে অনিয়মের বিরুদ্ধে পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা স্বাক্ষরিত এ প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ-এর চাল বিতরণ কাজের সহযোগিতা করার জন্য গত ২২/০৭/২০২০ তারিখে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর মাননীয় সংসদ সদস্য চুয়াডাঙ্গা-১ এর দুইজন প্রতিনিধি ১. এ বি এম মো. জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, সভাপতি পৌর আওয়ামী লীগ ২. মো. আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) পৌর আওয়ামী লীগের নাম প্রেরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক মহোদয় উক্ত দুইজন প্রতিনিধির নাম ২৩/০৭/২০২০ তারিখে মেয়র চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা বরাবর প্রেরণ করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদ্বয় পৌর মেয়র ও সচিবের সঙ্গে ভিজিএফ-এর চাল বণ্টনের বিষয়ে আলোচনা করেন। মেয়র ও সচিব প্রতিনিধিদ্বয়কে মৌখিকভাবে বলেন যে এ বিষয়ে আপনাদেরকে পরবর্তীতে জানানো হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৭/০৭/২০২০ তারিখে মেয়র স্বাক্ষরিত ভিজিএফ-এর চাল বণ্টননামা চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্যের প্রতিনিধির কাছে প্রেরণ করেন। উক্ত প্রেরিত পত্রে চাল বিতরণের সময় উল্লেখ নেই। বিধি মোতাবেক ভিজিএফ-এর চাল বিতরণ কমিটির সম্মানিত সব সদস্যের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সাপেক্ষে বিতরণের নির্দেশ থাকলেও মেয়র ও সচিব বিতরণ সংক্রান্ত কোনো মিটিং না করেই একক সিদ্ধান্তে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণের কাজ শুরু করেন। আজ (গতকাল) সকালে সকাল সাড়ে ৯টার সময় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি মো. আলাউদ্দিন হেলা পৌরসভায় উপস্থিত হয়ে দেখতে পান যে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণের কথা থাকালেও বিতরণ কমিটির মিটিং ছাড়ায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও ভিজিএফ-এর চাল ওজনে কম দেওয়ায় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে চাল বিতরণের কাজ বন্ধ করতে বলেন। আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এর সঙ্গে ১, ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এরই একপর্যায়ে পৌর মেয়রের ভাড়াটিয়া মাস্তানদ্বারা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ হোসেন জোয়ার্দ্দার অলককে গালিগালাজ ও দূর্ব্যবহার করে এবং ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল মতিনকেও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে ও মুখ থেকে মাস্ক টেনে ছিড়ে নেই এবং ধাক্কা দিয়ে জোর করে গাড়ির গ্যারেজের মধ্যে আটকে রাখে এবং পৌরসভার অফিসের দ্বিতীয় তলায় অবস্থানের সময় আমাকেও (মো. আলাউদ্দিন হেলা) অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য চুয়াডাঙ্গা পাঁচ মাইল নামক স্থানে মিটিং শেষ করে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছিয়ে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় প্রবেশ করে ভাড়াটিয়া মাস্তানকর্তৃক আটকিয়ে রাখা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্ধার করেন।
উল্লেখ থাকে যে, বিগত দুই বছর পূর্বে ঈদুল আজহার চার দিন আগে রাতের আধারে চুয়াডাঙ্গার বর্তমান মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু ত্রাণের চাল পাচার করাকালীন সময়ে স্থানীয় জনগণ ট্রাকভর্তি চাল আটক করে এবং ওই ট্রাকভর্তি চাল তিন দিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আটক রাখে। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়ে এই মেয়র চাল চুরির অপরাধ থেকে রক্ষা পায়।
বর্তমানে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে সরকারকর্তৃক হাজার হাজার কেজি ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই বরাদ্দপ্রাপ্ত চালের মধ্য থেকে এক কেজি চালও দিনের আলোতে বিতরণ করা হয় নাই। চালের মধ্য সামান্য কিছু চাল রাতের আধারে বিতরণ করা হলেও বেশির ভাগ চাল আত্মসাৎ করে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদুল আজহার আগে বরাদ্দপ্রাপ্ত ভিজিএফ-এর চাল আত্মসাতের খেলায় মত্ত হয়েছে। পৌরবাসীসহ পৌর আওয়ামী লীগ মনে করে এই অদক্ষ্য, অযোগ্য, চাল চোর ও দুর্নীতিবাজ মেয়রের হাত থেকে পৌরবাসীসহ পৌরসভাকে রক্ষা করা প্রয়োজন। চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র কর্তৃক চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মাননীয় সংসদ এর বিরুদ্ধে যে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসীসহ পৌর আওয়ামী লীগ এর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
এদিকে, এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক বলেন, পৌরসভার চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটি হট্টগোল হয়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণ করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফরকরুল আলম খান জানান, ‘চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ভিজিএফ-এর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝির একপর্যায়ে এমপি সাহেবের প্রতিনিধিকে আটকে রাখার একটি সংবাদ পাই। জানতে পারি এমপি সাহেবও পৌরসভায় গেছেন। তৎক্ষণাৎ সেখানে গেলে দেখি এমপি সাহেব পৌরসভা চত্বরে এবং মেয়র সাহেব নিজ কক্ষে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি ছিল উভয়পক্ষ মুখোমুখী প্রায়। তবে আমরা সেখানে এমপি সাহেবকে অনুরোধ করলে তিনি পৌরসভা থেকে প্রস্থান করেন। উভয়পক্ষই শান্তিপূর্ণ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছেন। ফলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি শান্ত হলেও উভয়পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুনেছি পরে মেয়র সাহেব সংবাদ সম্মেলন এবং পৌর আওয়ামী লীগ বিবৃতি প্রদান করেছে। তবে এ বিষয়ে লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি’