ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বড় ভাইয়ের গলায় পোচ, ছোট ভাই জখম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় পিতার দোকানে যাওয়া নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে বড় ভাই হারুনূর রশীদের (৩১) গলায় ছুরি দিয়ে পোচ ও ইটের আঘাতে ছোট ভাই রাইহান হোসেনের মাথায় (২১) জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়ার দক্ষীনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা আহত দুই ভাইকেই হাসপাতালের জরুরি নেয়। গলায় ছুরির পোচে গলায় গুরুতর জখম হওয়ায় হারুনূর রশীদকে সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। আহত দুই ভাই হারুনূর রশীদ ও রাইহান হোসেন দৌলতদিয়ার দক্ষীনপাড়ার মুরাদ হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার নিচের বাজারে মুরাদ হোসেনের ‘মুরাদ স্টোর’ নামে একটি দোকান রয়েছে। মুরাদ হোসেনসহ তিন ভাই এই দোকানের দেখাশোনা করে। তবে গত দুইদিন যাবত তিন ভায়ের মধ্যে বড় ভাই হারুন দোকানে না যাওয়ায় গতকাল হুরুন ও রাইহানের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে হারুন একটি দিয়ে রাইহানের মাথায় আঘাত করে জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা রাইহানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে রাইহান তার মেজভাই ইমরান হোসেনকে জখমের বিষয়ে জানায়। এসময় ইমরান ও রাইহান দুইভাই হারুনের ঘরে গেলে তিন ভায়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ইমরান তার হাতে থাকা একটি ধারালো ছুরি দিয়ে হারুনের গলায় পোচ দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় হুরুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন।
জখম হারুনের স্ত্রী আসিয়া খাতুন জানায়, দোকানে যাওয়া নিয়ে হারুন ও তাঁর ছোট ভায়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে হারুন রাইহানের দিকে একটি ছোট ইট ছুড়ে মাড়লে তা রাইহানের মাথায় লাগে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসে মেজ ভাই ইমরানকে সঙ্গে নিয়ে রাইহান আমাদের ঘরে আসে। এসময় তিন ভায়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে ইমরানন একটি ছুরি দিয়ে হারুনের গলায় পোচ দিয়ে জখম করে। এসময় তাঁরা দ্রুত হারুনকে উদ্ধার করে সদর হানপাতালে ভর্তি করে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারানা আনোয়ার বলেন, ‘তিন ভায়ের মধ্যে বিরোধের জেরে দুই ভাই জরুরি বিভাগ আসে। আহতদের মধ্যে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত একজনকে জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয় এবয় গলায় ছুরি জাতীয় ধারালো অত্রে আঘাতে গুরুতর জখম হওয়ায় অপরজনকে জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন দৌলতদিয়াড়ে তিন ভায়ের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে বড় ভায়ের গলায় ছুড়ি দিয়ে পোচ দিয়ে জখম করার একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি, মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বড় ভাইয়ের গলায় পোচ, ছোট ভাই জখম

আপলোড টাইম : ০৯:০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় পিতার দোকানে যাওয়া নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে বড় ভাই হারুনূর রশীদের (৩১) গলায় ছুরি দিয়ে পোচ ও ইটের আঘাতে ছোট ভাই রাইহান হোসেনের মাথায় (২১) জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়ার দক্ষীনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা আহত দুই ভাইকেই হাসপাতালের জরুরি নেয়। গলায় ছুরির পোচে গলায় গুরুতর জখম হওয়ায় হারুনূর রশীদকে সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। আহত দুই ভাই হারুনূর রশীদ ও রাইহান হোসেন দৌলতদিয়ার দক্ষীনপাড়ার মুরাদ হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার নিচের বাজারে মুরাদ হোসেনের ‘মুরাদ স্টোর’ নামে একটি দোকান রয়েছে। মুরাদ হোসেনসহ তিন ভাই এই দোকানের দেখাশোনা করে। তবে গত দুইদিন যাবত তিন ভায়ের মধ্যে বড় ভাই হারুন দোকানে না যাওয়ায় গতকাল হুরুন ও রাইহানের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে হারুন একটি দিয়ে রাইহানের মাথায় আঘাত করে জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা রাইহানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে রাইহান তার মেজভাই ইমরান হোসেনকে জখমের বিষয়ে জানায়। এসময় ইমরান ও রাইহান দুইভাই হারুনের ঘরে গেলে তিন ভায়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ইমরান তার হাতে থাকা একটি ধারালো ছুরি দিয়ে হারুনের গলায় পোচ দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় হুরুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন।
জখম হারুনের স্ত্রী আসিয়া খাতুন জানায়, দোকানে যাওয়া নিয়ে হারুন ও তাঁর ছোট ভায়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে হারুন রাইহানের দিকে একটি ছোট ইট ছুড়ে মাড়লে তা রাইহানের মাথায় লাগে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসে মেজ ভাই ইমরানকে সঙ্গে নিয়ে রাইহান আমাদের ঘরে আসে। এসময় তিন ভায়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে ইমরানন একটি ছুরি দিয়ে হারুনের গলায় পোচ দিয়ে জখম করে। এসময় তাঁরা দ্রুত হারুনকে উদ্ধার করে সদর হানপাতালে ভর্তি করে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারানা আনোয়ার বলেন, ‘তিন ভায়ের মধ্যে বিরোধের জেরে দুই ভাই জরুরি বিভাগ আসে। আহতদের মধ্যে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত একজনকে জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয় এবয় গলায় ছুরি জাতীয় ধারালো অত্রে আঘাতে গুরুতর জখম হওয়ায় অপরজনকে জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন দৌলতদিয়াড়ে তিন ভায়ের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে বড় ভায়ের গলায় ছুড়ি দিয়ে পোচ দিয়ে জখম করার একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি, মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’