ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বড় দলকে হারিয়েই সেমিতে যাবে বাংলাদেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯
  • / ২৯২ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক:
ব্রিস্টলে তিনটি দিন শুধু বেড়ানোই হলো বাংলাদেশ দলের। খেলতে এসে কেবল একদিন অনুশীলন করে আরেক শহরে চলে যাওয়াটাকে তো বেড়ানোই বলতে হয়! বৃষ্টিতে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে আজ দল যাবে টন্টনে। সঙ্গে যাবে ১ পয়েন্ট খোয়ানোর হতাশা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে ম্যাচটা জিতবে বলেই ভেবেছিল বাংলাদেশ দল! তবে সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ পয়েন্ট কম পাওয়াটাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না। তিনি মানছেন, ম্যাচটা হলে ব্রিস্টল থেকে জয় নিয়ে টন্টন যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে না হওয়ায় যে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড় থেকে অনেক পিছিয়ে গেছে, তা মনে করছেন না, ‘আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, কোনো নির্দিষ্ট দলকে টার্গেট করে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারব না। আমাদের শক্তিশালী দলকেও হারাতে হবে। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের মতো দলের বিপক্ষে খেলা বাকি। সেগুলোতেও জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে হবে।’ শুধু লক্ষ্য বেঁধে দিয়েই শেষ করেননি হাবিবুল। তাঁর বিশ্বাস বড় দলকে হারানোর সামর্থ্যও আছে মাশরাফি-সাকিবদের, ‘কাগজ-কলমে হয়তো শ্রীলঙ্কাকে আমাদের পক্ষে হারানো সহজ ছিল। সেদিক দিয়ে হয়তো আমরা একটা পয়েন্ট মিস করেছি। কিন্তু খেলা যেহেতু হয়নি, এখন তো কিছু করার নেই। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছি। আমার বিশ্বাস অন্য বড় দলকে হারানোরও সামর্থ্য আমাদের আছে।’ আয়ারল্যান্ড সফর থেকেই দলের সঙ্গে থেকে হাবিবুলের উপলব্ধি—এই দলের অন্তত আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। দলের ম্যানেজার আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদেরও একই বিশ্বাস, ‘বিশ্বকাপের জন্য আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো। একটি ম্যাচ জিতলেও আমরা কিন্তু এর পরের ম্যাচেও ভালো খেলেছি। ছেলেদের ওপর বাড়তি চাপ দিতে চাই না। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলেই ওরা পরের ম্যাচগুলোতে ভালো খেলবে।’ ব্রিস্টলে খেলা না হওয়ায় এখন পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে মরিয়া বাংলাদেশ। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেন, হাবিবুলের মতো মাহমুদের চোখও অন্য বড় দলগুলোর দিকে, ‘সব মিলিয়ে আমাদের অন্তত ৯টি ম্যাচ খেলতে হবে। ফরম্যাটটা খুব কঠিন। সেমিফাইনালে যেতে হলে আমাদের বিশ্বসেরা দলগুলোকে হারিয়েই যেতে হবে। আফগানিস্তানকে তো হারাতেই হবে।’ সেমিফাইনালে যেতে হলে পাঁচটি ম্যাচ অন্তত বাংলাদেশকে জিততেই হবে। তার মানে বাকি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে জিততে হবে কমপক্ষে চারটিতে। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান ও আরেক সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের কথায়ও লক্ষ্যটা পরিষ্কার, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের পুরো পয়েন্ট নিতেই হবে। সঙ্গে বড় একটা দলকেও হারাতে হবে।’ তবে ব্রিস্টল থেকে পুরো ২ পয়েন্ট নিয়ে যেতে না পারায় একটু আফসোস আছে তাঁর, ‘আমাদের কিছু টার্গেট করা দল আছে, যাদের আমরা হারাতে চাই। আশা ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতব। তবে বৃষ্টির ওপর তো কারও হাত নেই। আইসিসি রিজার্ভ ডে রাখেনি। এ নিয়ে কিছু বলারও নেই।’ না পাওয়ার হতাশা থাকবেই। কিন্তু বাংলাদেশ দলের লক্ষ্যটা যেহেতু অনেক বড়, হতাশা ঝেড়ে ফেলে সামনে তাকানোটাই এখন সময়ের দাবি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বড় দলকে হারিয়েই সেমিতে যাবে বাংলাদেশ

আপলোড টাইম : ০৯:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯

খেলাধুলা ডেস্ক:
ব্রিস্টলে তিনটি দিন শুধু বেড়ানোই হলো বাংলাদেশ দলের। খেলতে এসে কেবল একদিন অনুশীলন করে আরেক শহরে চলে যাওয়াটাকে তো বেড়ানোই বলতে হয়! বৃষ্টিতে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে আজ দল যাবে টন্টনে। সঙ্গে যাবে ১ পয়েন্ট খোয়ানোর হতাশা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে ম্যাচটা জিতবে বলেই ভেবেছিল বাংলাদেশ দল! তবে সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ পয়েন্ট কম পাওয়াটাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না। তিনি মানছেন, ম্যাচটা হলে ব্রিস্টল থেকে জয় নিয়ে টন্টন যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে না হওয়ায় যে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড় থেকে অনেক পিছিয়ে গেছে, তা মনে করছেন না, ‘আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, কোনো নির্দিষ্ট দলকে টার্গেট করে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারব না। আমাদের শক্তিশালী দলকেও হারাতে হবে। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের মতো দলের বিপক্ষে খেলা বাকি। সেগুলোতেও জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে হবে।’ শুধু লক্ষ্য বেঁধে দিয়েই শেষ করেননি হাবিবুল। তাঁর বিশ্বাস বড় দলকে হারানোর সামর্থ্যও আছে মাশরাফি-সাকিবদের, ‘কাগজ-কলমে হয়তো শ্রীলঙ্কাকে আমাদের পক্ষে হারানো সহজ ছিল। সেদিক দিয়ে হয়তো আমরা একটা পয়েন্ট মিস করেছি। কিন্তু খেলা যেহেতু হয়নি, এখন তো কিছু করার নেই। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছি। আমার বিশ্বাস অন্য বড় দলকে হারানোরও সামর্থ্য আমাদের আছে।’ আয়ারল্যান্ড সফর থেকেই দলের সঙ্গে থেকে হাবিবুলের উপলব্ধি—এই দলের অন্তত আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। দলের ম্যানেজার আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদেরও একই বিশ্বাস, ‘বিশ্বকাপের জন্য আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো। একটি ম্যাচ জিতলেও আমরা কিন্তু এর পরের ম্যাচেও ভালো খেলেছি। ছেলেদের ওপর বাড়তি চাপ দিতে চাই না। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলেই ওরা পরের ম্যাচগুলোতে ভালো খেলবে।’ ব্রিস্টলে খেলা না হওয়ায় এখন পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে মরিয়া বাংলাদেশ। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেন, হাবিবুলের মতো মাহমুদের চোখও অন্য বড় দলগুলোর দিকে, ‘সব মিলিয়ে আমাদের অন্তত ৯টি ম্যাচ খেলতে হবে। ফরম্যাটটা খুব কঠিন। সেমিফাইনালে যেতে হলে আমাদের বিশ্বসেরা দলগুলোকে হারিয়েই যেতে হবে। আফগানিস্তানকে তো হারাতেই হবে।’ সেমিফাইনালে যেতে হলে পাঁচটি ম্যাচ অন্তত বাংলাদেশকে জিততেই হবে। তার মানে বাকি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে জিততে হবে কমপক্ষে চারটিতে। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান ও আরেক সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের কথায়ও লক্ষ্যটা পরিষ্কার, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের পুরো পয়েন্ট নিতেই হবে। সঙ্গে বড় একটা দলকেও হারাতে হবে।’ তবে ব্রিস্টল থেকে পুরো ২ পয়েন্ট নিয়ে যেতে না পারায় একটু আফসোস আছে তাঁর, ‘আমাদের কিছু টার্গেট করা দল আছে, যাদের আমরা হারাতে চাই। আশা ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতব। তবে বৃষ্টির ওপর তো কারও হাত নেই। আইসিসি রিজার্ভ ডে রাখেনি। এ নিয়ে কিছু বলারও নেই।’ না পাওয়ার হতাশা থাকবেই। কিন্তু বাংলাদেশ দলের লক্ষ্যটা যেহেতু অনেক বড়, হতাশা ঝেড়ে ফেলে সামনে তাকানোটাই এখন সময়ের দাবি।