ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ : এমপির কাজ বন্ধের নির্দেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১
  • / ৪৮ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার
গাংনী অফিস:
মেহেরপুর গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন। গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি সরেজমিনে সংস্কার কাজ পরিদর্শনে যান। এবং কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়লে নতুন ভবনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। তারপরও স্থান সংকুলান না হওয়ায় করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম ভবনটিতেই চলতে থাকে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ঐঊউ) পুরাতন ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পুরাতন ভবন সংস্কার বাবদ বরাদ্দ দেয় ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ৩১১ টাকা। কাজ শুরু হয় ২৯ এপ্রিল। নিয়োগকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলনার দৌলতপুরের রাজীব মোর্টস সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করছে। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ‘এ’ গ্রেডের টাইল্স, ফ্রেশ সিমেন্ট ও ১.৫ এফএম বালু ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্যাদেশ উপেক্ষা করে সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের এসব সামগ্রী। তা ছাড়া বালু ও সিমেন্টের সংমিশ্রণ সঠিক মাত্রায় করা হচ্ছে না। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন কাজ পরিদর্শন করেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় তিনি সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহম্মেদ রায়হান শরীফ ও হাসপাতালের অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তবে কাজের সাইডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। এসময় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউও উপস্থিত ছিলেন না। ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিক দিয়ে ইচ্ছামত সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তদারকির কেউ উপস্থিত না থাকায় নিম্নমানের এসব সামগ্রী শ্রমিকরা না বুঝে অনেক সহজেই ব্যবহার করছে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান আল মামুনের মোবাইলে কল দিয়ে অনিয়মের বিষয়টি জানতে চাইলে, কাজের প্রাক্কলিত ব্যয়সহ দরপত্রের কোনো তথ্য নেই বলে কৌশলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি জরুরি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা হবে।’ এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলতে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে আসছে। বালু, টাইলস থেকে শুরু করে প্রায় সব উপকরণই নিম্নমানের। নিম্নমানের সাগ্রমী কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নহে। তাই এ অনিয়মের সাথে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বশীল দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ : এমপির কাজ বন্ধের নির্দেশ

আপলোড টাইম : ০৮:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

মেহেরপুর গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার
গাংনী অফিস:
মেহেরপুর গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন। গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি সরেজমিনে সংস্কার কাজ পরিদর্শনে যান। এবং কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়লে নতুন ভবনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। তারপরও স্থান সংকুলান না হওয়ায় করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম ভবনটিতেই চলতে থাকে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ঐঊউ) পুরাতন ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পুরাতন ভবন সংস্কার বাবদ বরাদ্দ দেয় ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ৩১১ টাকা। কাজ শুরু হয় ২৯ এপ্রিল। নিয়োগকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলনার দৌলতপুরের রাজীব মোর্টস সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করছে। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ‘এ’ গ্রেডের টাইল্স, ফ্রেশ সিমেন্ট ও ১.৫ এফএম বালু ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্যাদেশ উপেক্ষা করে সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের এসব সামগ্রী। তা ছাড়া বালু ও সিমেন্টের সংমিশ্রণ সঠিক মাত্রায় করা হচ্ছে না। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন কাজ পরিদর্শন করেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় তিনি সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহম্মেদ রায়হান শরীফ ও হাসপাতালের অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তবে কাজের সাইডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। এসময় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউও উপস্থিত ছিলেন না। ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিক দিয়ে ইচ্ছামত সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তদারকির কেউ উপস্থিত না থাকায় নিম্নমানের এসব সামগ্রী শ্রমিকরা না বুঝে অনেক সহজেই ব্যবহার করছে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান আল মামুনের মোবাইলে কল দিয়ে অনিয়মের বিষয়টি জানতে চাইলে, কাজের প্রাক্কলিত ব্যয়সহ দরপত্রের কোনো তথ্য নেই বলে কৌশলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি জরুরি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা হবে।’ এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলতে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে আসছে। বালু, টাইলস থেকে শুরু করে প্রায় সব উপকরণই নিম্নমানের। নিম্নমানের সাগ্রমী কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নহে। তাই এ অনিয়মের সাথে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বশীল দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।