ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বৈধ পথে বিদেশ যাবেন, রেমিটেন্স বাড়াবেন; আরো উন্নত হবে দেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মার্চ ২০১৮
  • / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা টিটিসিতে সচেতনতা/উদ্বুদ্ধকরণ ও মাদকবিরোধী আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস (এলডিসি) থেমে নি¤œমধ্যম আয়ের রাষ্ট্রের তালিকায় উত্তরণের সাফল্যে নিরাপদ অভিবাসন সংক্রান্ত সচেতনতামূলক/উদ্বুদ্ধকরণ ও মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় টিটিসি সম্মেলন কক্ষে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথ ভাবে এ আয়োজন করে।
চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে, এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মোটা অংকের বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ নিয়ে যায় দালালরা। এ সময় আপনারা সহায়তা চাইতে প্রশাসনের কাছে আসেন। এরআগেই আপনাকে সচেতন হওয়া উচিত। যে দেশেই যান- দক্ষতা এবং ভাষা রপ্ত করে যান। আপনার আগাম সহযোগিতার ক্ষেত্রে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। বিদেশ থেকে পাঠানো আপনার কষ্টসাধ্য টাকা যেন বিফলে না যায়। বৈধ পথে বিদেশ যাবেন, রেমিটেন্স বাড়াবেন; আরো উন্নত হবে দেশ। প্রবাসীদের রেমিটেন্স দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বড় শক্তি; এ শক্তির বিরাট অংশে আমাদের তরুণদের ভূমিকা রয়েছে।’
দেশের অর্থনৈতিক ও সার্বিক উন্নয়নের অতীত এবং বর্তমান তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন বাবার ফুল প্যান্ট কেটে হাফ প্যান্ট বানিয়ে দুই ভাই পরেছি। লাইনে দাড়িয়ে রেশনের চাল/ডাল/ তেল নিয়েছি। ব্যাগপ্যাক ছিলনা; বগলের নিচে কখনও ঘাড়ে বই চাপিয়ে স্কুলে গিয়েছি। স্কুলে দেয়া ছাতু, বিস্টুট আর দুধ খেয়েছি অনেকদিন। সেন্ডেল ছিড়ে গেলে মুচির কাছে যেতে পারতাম না; আগুন ও পেরেক দিয়ে নিজের সেন্ডেল নিজেই ঠিক করে পরেছি। বাজার খরচ কমাতে কমদামে আলু পেয়াজ রসুন এসব কিনে খাটের নিচে রেখে দিতে হতো; যাতে সারা বছর চলে যায়। এই জিনিসগুলো এখন শুধুই স্মৃতি; কিন্তু বাস্তবতা। দেশের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক ভাবে উন্নয়ন একই সাথে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কারণে এই জিনিসগুলো কালের বিবর্তনে স্মৃতি হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আজ দেশ স্বল্পোন্নত থেকে নি¤œমধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হয়েছে।’
বিদেশগামী পুরুষ ও নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দক্ষতা অর্জন করে প্রবাসে যেতে হবে। এতে করে ভালো কাজ ও ভালো বেতন দুটোই পাওয়া যাবে। মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। মাদক গ্রহণে কোন সুফল নেই; শুধুই ধ্বংস।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি থেকে মাদকের কূফল ও এর পরিণতি নিয়ে আলোচনা করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আসলাম হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (গার্মেন্টস) আলামিন বিশ্বাস।
আলোচনা সভা শেষে স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস (এলডিসি) থেমে নি¤œমধ্যম আয়ের রাষ্ট্রের তালিকায় উত্তরণের সাফল্য অর্জনে বিশেষ প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বৈধ পথে বিদেশ যাবেন, রেমিটেন্স বাড়াবেন; আরো উন্নত হবে দেশ

আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মার্চ ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা টিটিসিতে সচেতনতা/উদ্বুদ্ধকরণ ও মাদকবিরোধী আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস (এলডিসি) থেমে নি¤œমধ্যম আয়ের রাষ্ট্রের তালিকায় উত্তরণের সাফল্যে নিরাপদ অভিবাসন সংক্রান্ত সচেতনতামূলক/উদ্বুদ্ধকরণ ও মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় টিটিসি সম্মেলন কক্ষে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথ ভাবে এ আয়োজন করে।
চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে, এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মোটা অংকের বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ নিয়ে যায় দালালরা। এ সময় আপনারা সহায়তা চাইতে প্রশাসনের কাছে আসেন। এরআগেই আপনাকে সচেতন হওয়া উচিত। যে দেশেই যান- দক্ষতা এবং ভাষা রপ্ত করে যান। আপনার আগাম সহযোগিতার ক্ষেত্রে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। বিদেশ থেকে পাঠানো আপনার কষ্টসাধ্য টাকা যেন বিফলে না যায়। বৈধ পথে বিদেশ যাবেন, রেমিটেন্স বাড়াবেন; আরো উন্নত হবে দেশ। প্রবাসীদের রেমিটেন্স দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বড় শক্তি; এ শক্তির বিরাট অংশে আমাদের তরুণদের ভূমিকা রয়েছে।’
দেশের অর্থনৈতিক ও সার্বিক উন্নয়নের অতীত এবং বর্তমান তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন বাবার ফুল প্যান্ট কেটে হাফ প্যান্ট বানিয়ে দুই ভাই পরেছি। লাইনে দাড়িয়ে রেশনের চাল/ডাল/ তেল নিয়েছি। ব্যাগপ্যাক ছিলনা; বগলের নিচে কখনও ঘাড়ে বই চাপিয়ে স্কুলে গিয়েছি। স্কুলে দেয়া ছাতু, বিস্টুট আর দুধ খেয়েছি অনেকদিন। সেন্ডেল ছিড়ে গেলে মুচির কাছে যেতে পারতাম না; আগুন ও পেরেক দিয়ে নিজের সেন্ডেল নিজেই ঠিক করে পরেছি। বাজার খরচ কমাতে কমদামে আলু পেয়াজ রসুন এসব কিনে খাটের নিচে রেখে দিতে হতো; যাতে সারা বছর চলে যায়। এই জিনিসগুলো এখন শুধুই স্মৃতি; কিন্তু বাস্তবতা। দেশের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক ভাবে উন্নয়ন একই সাথে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কারণে এই জিনিসগুলো কালের বিবর্তনে স্মৃতি হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আজ দেশ স্বল্পোন্নত থেকে নি¤œমধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হয়েছে।’
বিদেশগামী পুরুষ ও নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দক্ষতা অর্জন করে প্রবাসে যেতে হবে। এতে করে ভালো কাজ ও ভালো বেতন দুটোই পাওয়া যাবে। মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। মাদক গ্রহণে কোন সুফল নেই; শুধুই ধ্বংস।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি থেকে মাদকের কূফল ও এর পরিণতি নিয়ে আলোচনা করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আসলাম হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (গার্মেন্টস) আলামিন বিশ্বাস।
আলোচনা সভা শেষে স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস (এলডিসি) থেমে নি¤œমধ্যম আয়ের রাষ্ট্রের তালিকায় উত্তরণের সাফল্য অর্জনে বিশেষ প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ।