ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘বেশিরভাগ সময়ই নতুন করে আবার শুরু করেছি’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:২৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৮৯১ বার পড়া হয়েছে

fffবিনোদন ডেস্ক: চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী সুচরিতা। তার আসল নাম বেবী হেলেন। ১৯৬৯ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘বাবলু’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন। বড় বোন বেবী রিটার হাত ধরে অভিনয়ে তার পথচলা শুরু। ১৯৭২ সালে আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘স্বীকৃতি’ ছবিতে প্রথম নায়িকা হিসেবে কাজ করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশী’ ছবিটি তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। ইলিয়াস কাঞ্চন, ওয়াসিম এবং উজ্জলের সঙ্গে বেশ কিছু রোমান্টিক চলচ্চিত্রে তার সঙ্গে জুটি গড়ে ওঠে। ‘জীবন নৌকা’, ‘জনি’, ‘রঙ্গীন জরিনা সুন্দরী’, ‘ডাকু মনসুর’, ‘এখোনো অনেক রাত’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘কথা দিলাম’, ‘সমাধি’, ‘ত্রাস’, ‘দ্য ফাদার’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘আপনজন’, ‘নাগর দোলা’, ‘বাল্যশিক্ষা’, ‘বদলা’, ‘রকি’, ‘মাস্তান’, ‘তাল বেতাল’, ‘জানোয়ার’, ‘আসামী’, ‘তুফান’, ‘নদের চাঁদ’, ‘ঘর-সংসার’, ‘সাক্ষী’, ‘আঁখি মিলন’, ‘দাঙ্গা’, ‘অস্তিত্ব’সহ আরও অনেক ছবিতে জনপ্রিয়তার সঙ্গে কাজ করেছেন এ অভিনেত্রী। বর্তমানেও কাজ করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সুচরিতা মানবজমিনকে বলেন, বর্তমানে এ কে সোহেলের ‘পবিত্র ভালোবাসা’ ছবিতে কাজ করছি। এছাড়া মিনহাজ অভির ‘মেঘকন্যা’ ছবির কাজ শেষ করলাম। আর ড্যানি সিডাকের নির্দেশনায় সরকারি অনুদানের ছবি ‘কাসার থালায় রূপালী চাঁদ’-এও কাজ করেছি। এ ছবিগুলো সামনে আসবে। এখন তো শখে কাজ করি। কাজটাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। প্রয়াত গুণী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের নির্দেশনায় ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন সুচরিতা। সেই সময়ে অনেকেই এ ছবিতে তার অভিনয় দেখে কান্নায় চোখ ভিজিয়েছিলেন। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। এছাড়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে চারবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির পুরস্কার লাভ করেন তিনি। সুচরিতা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত আলোচিত ছবি ছিলো মোস্তাাফিজুর রহমান মানিকের ‘মা আমার চোখের মণি’। এই ছবিতে তিনি শাবনূরের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিতে সুচরিতার অনবদ্য অভিনয় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। এরপর এফআই মানিক পরিচালিত ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’ ও সরকারি অনুদানের ছবি ‘মহুয়া সুন্দরী’-তে তিনি অভিনয় করে বেশ প্রশংসা পান। এ ছবিটি পরিচালনা করেন রওশানা আরা নীপা। সুচরিতা নায়িকা থাকা অবস্থায় তার অভিনীত ছবি পরপর তিন সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে। ছবিগুলো ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। বর্তমানে তিনি ভাবী বা মার চরিত্রে অভিনয় করছেন। তবে এটা নিয়ে কোনো আফসোস নেই গুণী এই অভিনেত্রীর। তার অভিনীত ছবি এখন নিয়মিত মুক্তি না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে আমি কম ছবিতে কাজ করছি। তাই নিয়মিত ছবি মুক্তি পায় না। তবে নিয়মিত অভিনয় করার চেষ্টা করছি। অবশ্য এখন আর সে সময় কোথায়। আমাদের তো কেউই খোঁজ রাখে না। একের পর এক ভালো মানুষগুলো দুনিয়া থেকে চলে যাচ্ছে। দিতির সঙ্গে অনেক কাজ ও আড্ডা হয়েছে। এখন দিতির কথা খুব মনে পড়ে। অকালে চলে গেলেন দিতি। আমিও হয়তো এভাবে একদিন নিভৃতে চলে যাব। আর কয়েকদিন পরই আমার নতুন একটা ছবি মুক্তি পাবে। ছবির নাম ‘মেঘকন্যা’। এ ছবিটি দর্শকরা উপভোগ করবেন বলে আশা করছি। গল্প আর নির্ভরযোগ্য চরিত্র পেলে এখনও নিয়মিত কাজ করতে চান সুচরিতা। আজিজুর রহমান, দিলীপ বিশ্বাস ও গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মতো অনেক গুণী পরিচালকের অবদান তাকে শিল্পী হতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সবশেষে সুচরিতা বলেন, অনেক ছবিতে অভিনয় করে তৃপ্তি পেয়েছি। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়েছি। কখনও থেমেও গেছি। তবে বেশিরভাগ সময়ই নতুন করে আবার শুরু করেছি। আমি শুরু থেকেই একা। তবে এসব নিয়ে এখন আর ভাবি না। ভালো কাজ পেলে এখনও শুনতে ভালো লাগে ‘লাইট, ক্যামেরা-অ্যাকশন’।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

‘বেশিরভাগ সময়ই নতুন করে আবার শুরু করেছি’

আপলোড টাইম : ০১:২৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

fffবিনোদন ডেস্ক: চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী সুচরিতা। তার আসল নাম বেবী হেলেন। ১৯৬৯ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘বাবলু’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন। বড় বোন বেবী রিটার হাত ধরে অভিনয়ে তার পথচলা শুরু। ১৯৭২ সালে আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘স্বীকৃতি’ ছবিতে প্রথম নায়িকা হিসেবে কাজ করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশী’ ছবিটি তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। ইলিয়াস কাঞ্চন, ওয়াসিম এবং উজ্জলের সঙ্গে বেশ কিছু রোমান্টিক চলচ্চিত্রে তার সঙ্গে জুটি গড়ে ওঠে। ‘জীবন নৌকা’, ‘জনি’, ‘রঙ্গীন জরিনা সুন্দরী’, ‘ডাকু মনসুর’, ‘এখোনো অনেক রাত’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘কথা দিলাম’, ‘সমাধি’, ‘ত্রাস’, ‘দ্য ফাদার’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘আপনজন’, ‘নাগর দোলা’, ‘বাল্যশিক্ষা’, ‘বদলা’, ‘রকি’, ‘মাস্তান’, ‘তাল বেতাল’, ‘জানোয়ার’, ‘আসামী’, ‘তুফান’, ‘নদের চাঁদ’, ‘ঘর-সংসার’, ‘সাক্ষী’, ‘আঁখি মিলন’, ‘দাঙ্গা’, ‘অস্তিত্ব’সহ আরও অনেক ছবিতে জনপ্রিয়তার সঙ্গে কাজ করেছেন এ অভিনেত্রী। বর্তমানেও কাজ করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সুচরিতা মানবজমিনকে বলেন, বর্তমানে এ কে সোহেলের ‘পবিত্র ভালোবাসা’ ছবিতে কাজ করছি। এছাড়া মিনহাজ অভির ‘মেঘকন্যা’ ছবির কাজ শেষ করলাম। আর ড্যানি সিডাকের নির্দেশনায় সরকারি অনুদানের ছবি ‘কাসার থালায় রূপালী চাঁদ’-এও কাজ করেছি। এ ছবিগুলো সামনে আসবে। এখন তো শখে কাজ করি। কাজটাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। প্রয়াত গুণী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের নির্দেশনায় ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন সুচরিতা। সেই সময়ে অনেকেই এ ছবিতে তার অভিনয় দেখে কান্নায় চোখ ভিজিয়েছিলেন। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। এছাড়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে চারবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির পুরস্কার লাভ করেন তিনি। সুচরিতা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত আলোচিত ছবি ছিলো মোস্তাাফিজুর রহমান মানিকের ‘মা আমার চোখের মণি’। এই ছবিতে তিনি শাবনূরের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিতে সুচরিতার অনবদ্য অভিনয় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। এরপর এফআই মানিক পরিচালিত ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’ ও সরকারি অনুদানের ছবি ‘মহুয়া সুন্দরী’-তে তিনি অভিনয় করে বেশ প্রশংসা পান। এ ছবিটি পরিচালনা করেন রওশানা আরা নীপা। সুচরিতা নায়িকা থাকা অবস্থায় তার অভিনীত ছবি পরপর তিন সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে। ছবিগুলো ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। বর্তমানে তিনি ভাবী বা মার চরিত্রে অভিনয় করছেন। তবে এটা নিয়ে কোনো আফসোস নেই গুণী এই অভিনেত্রীর। তার অভিনীত ছবি এখন নিয়মিত মুক্তি না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে আমি কম ছবিতে কাজ করছি। তাই নিয়মিত ছবি মুক্তি পায় না। তবে নিয়মিত অভিনয় করার চেষ্টা করছি। অবশ্য এখন আর সে সময় কোথায়। আমাদের তো কেউই খোঁজ রাখে না। একের পর এক ভালো মানুষগুলো দুনিয়া থেকে চলে যাচ্ছে। দিতির সঙ্গে অনেক কাজ ও আড্ডা হয়েছে। এখন দিতির কথা খুব মনে পড়ে। অকালে চলে গেলেন দিতি। আমিও হয়তো এভাবে একদিন নিভৃতে চলে যাব। আর কয়েকদিন পরই আমার নতুন একটা ছবি মুক্তি পাবে। ছবির নাম ‘মেঘকন্যা’। এ ছবিটি দর্শকরা উপভোগ করবেন বলে আশা করছি। গল্প আর নির্ভরযোগ্য চরিত্র পেলে এখনও নিয়মিত কাজ করতে চান সুচরিতা। আজিজুর রহমান, দিলীপ বিশ্বাস ও গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মতো অনেক গুণী পরিচালকের অবদান তাকে শিল্পী হতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সবশেষে সুচরিতা বলেন, অনেক ছবিতে অভিনয় করে তৃপ্তি পেয়েছি। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়েছি। কখনও থেমেও গেছি। তবে বেশিরভাগ সময়ই নতুন করে আবার শুরু করেছি। আমি শুরু থেকেই একা। তবে এসব নিয়ে এখন আর ভাবি না। ভালো কাজ পেলে এখনও শুনতে ভালো লাগে ‘লাইট, ক্যামেরা-অ্যাকশন’।