ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বেপরোয়া মোটরসাইকেল : সবাইকে সতর্ক হতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

গাড়ি যত ছোট হয়, ঝুঁকি ততই বাড়ে। যে গাড়ির চাকার সংখ্যা কম, তার দুর্ঘটনার হার ততই বেশি। এ হিসাবে মোটরসাইকেলে ভ্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আর গতি যদি বেপরোয়া থাকে তাহলে তো কথাই নেই। নিজেও ঝুঁকিতে থাকে, পথচারীকেও ঝুঁকিতে রাখে। বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গা শহরে গত কয়েক বছরে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশ বেড়েছে। এ বাহনটি দিন দিন যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে, তেমনি মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া আচরণের অভিযোগও জোরালো হচ্ছে। একইসঙ্গে মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানও হচ্ছে ভারি। এবং দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে সারা দেশে। সময় হাতে না নিয়ে দ্রুত কর্মস্থল বা কাক্ষিত স্থানে পৌঁছাতে অনেকে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালান। অনেক সময় এর আরোহীর সংখ্যা দুইয়ের বেশি হয়। চলার সময় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে থাকেন অনেক বাইক চালক ও আরোহী। এতে চালকের মনোযোগ অন্যদিকে সরে গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ হয়। দ্রুতগতিতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেলের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন আরোহীরা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মোটরসাইকেল একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। চার চাকার বাহনের তুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি ৩০ গুণ বেশি বলে গবেষকরা দেখেছেন। বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো কিংবা ফুটপাতের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো এখন নিত্য ঘটনা। পথচারীদের অভিযোগ, অনেক মোটরসাইকেল আরোহী ফুটপাতের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো তাদের অধিকার বলে মনে করে। তাছাড়া সিগন্যালে অপেক্ষার ধৈর্যও তাদের থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে চালক পা-হাত ছেড়ে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। এতেও দুর্ঘটনা ঘটে। সময় বাঁচাতে নিয়মের বাইরে চলাচল করছেন মোটরসাইকেল চালকরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের মহাসড়কে প্রায় ৩৮ ভাগ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে বৃষ্টির মৌসুমে রাতের বেলা। অন্য গাড়ি তাদের ধাক্কা দিয়েছে কিংবা রাস্তায় বাইক পিছলে গেছে। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়াও দুর্ঘটনার একটি কারণ। অদক্ষ চালক, অবৈধ ওভারটেকিং, পুরাতন যন্ত্রাংশ, মোবাইলে কথা বলতে বলতে ড্রাইভ করতে থাকা ইত্যাদি কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মানুষ নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এ বাহনটির দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। অনেকে মনে করে, মোটরসাইকেল মানেই গতি। অল্পসময় অনেক ট্রাফিক থাকলেও দ্রুততার সঙ্গে গন্তব্যে সহজেই পৌঁছানো যায়। বেশি গতি উঠালে চালকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। গতি যেন বেপরোয়া না হয় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। গতি যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তাহলে বেশিরভাগ সময় দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলা এ দুর্ঘটনা কমাতে চালক ও পথচারীকে সতর্ক হতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বেপরোয়া মোটরসাইকেল : সবাইকে সতর্ক হতে হবে

আপলোড টাইম : ১১:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১৮

গাড়ি যত ছোট হয়, ঝুঁকি ততই বাড়ে। যে গাড়ির চাকার সংখ্যা কম, তার দুর্ঘটনার হার ততই বেশি। এ হিসাবে মোটরসাইকেলে ভ্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আর গতি যদি বেপরোয়া থাকে তাহলে তো কথাই নেই। নিজেও ঝুঁকিতে থাকে, পথচারীকেও ঝুঁকিতে রাখে। বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গা শহরে গত কয়েক বছরে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশ বেড়েছে। এ বাহনটি দিন দিন যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে, তেমনি মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া আচরণের অভিযোগও জোরালো হচ্ছে। একইসঙ্গে মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানও হচ্ছে ভারি। এবং দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে সারা দেশে। সময় হাতে না নিয়ে দ্রুত কর্মস্থল বা কাক্ষিত স্থানে পৌঁছাতে অনেকে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালান। অনেক সময় এর আরোহীর সংখ্যা দুইয়ের বেশি হয়। চলার সময় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে থাকেন অনেক বাইক চালক ও আরোহী। এতে চালকের মনোযোগ অন্যদিকে সরে গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ হয়। দ্রুতগতিতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেলের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন আরোহীরা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মোটরসাইকেল একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। চার চাকার বাহনের তুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি ৩০ গুণ বেশি বলে গবেষকরা দেখেছেন। বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো কিংবা ফুটপাতের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো এখন নিত্য ঘটনা। পথচারীদের অভিযোগ, অনেক মোটরসাইকেল আরোহী ফুটপাতের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো তাদের অধিকার বলে মনে করে। তাছাড়া সিগন্যালে অপেক্ষার ধৈর্যও তাদের থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে চালক পা-হাত ছেড়ে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। এতেও দুর্ঘটনা ঘটে। সময় বাঁচাতে নিয়মের বাইরে চলাচল করছেন মোটরসাইকেল চালকরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের মহাসড়কে প্রায় ৩৮ ভাগ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে বৃষ্টির মৌসুমে রাতের বেলা। অন্য গাড়ি তাদের ধাক্কা দিয়েছে কিংবা রাস্তায় বাইক পিছলে গেছে। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়াও দুর্ঘটনার একটি কারণ। অদক্ষ চালক, অবৈধ ওভারটেকিং, পুরাতন যন্ত্রাংশ, মোবাইলে কথা বলতে বলতে ড্রাইভ করতে থাকা ইত্যাদি কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মানুষ নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এ বাহনটির দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। অনেকে মনে করে, মোটরসাইকেল মানেই গতি। অল্পসময় অনেক ট্রাফিক থাকলেও দ্রুততার সঙ্গে গন্তব্যে সহজেই পৌঁছানো যায়। বেশি গতি উঠালে চালকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। গতি যেন বেপরোয়া না হয় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। গতি যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তাহলে বেশিরভাগ সময় দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলা এ দুর্ঘটনা কমাতে চালক ও পথচারীকে সতর্ক হতে হবে।