ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বেতন বাড়ানো হয়েছে, দুর্নীতি করার কোন প্রয়োজন নাই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ২৮১ বার পড়া হয়েছে

প্রতিমন্ত্রী হয়ে প্রথমবার মেহেরপুরে অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল এমপি

 

ঢাকা হতে সড়ক পথে ফিরলেন নিজ জেলায় : পথে পথে শুভেচ্ছা-সংবর্ধনা
এসএম শাফায়েত/মেহের আমজাদ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথমবার সরকারি সফরে নিজ জেলায় ফিরেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে চারদিকে ছিল সাজসাজ রব। সকাল থেকে সড়কের দু’পাশে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। বিকাল ৪টার দিকে সড়ক পথে মেহেরপুরে পৌছান তিনি। এরআগে সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ফেরিপারাপার হয়ে মেহেরপুর আসার পথে রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ সার্কিট হাউস ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় যাত্রা বিরতি করেন।


বেলা ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রবেশদ্বারে প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) আহসান হাবীবসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দলীয় নেতৃবৃন্দ। পরে সেখান থেকে মোটর শোভাযাত্রাযোগে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল। পৌরসভার প্রধান ফটকে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে অভ্যার্থনা জানান পৌর মেয়র জিপু চৌধুরী। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকিসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সরকারি-বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তা ও নানা শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ।
মেহেরপুর পৌছানোর আগে কলেজ মোড়ের পৌর কবরস্থানে তাঁর পিতা মরহুম ছহিউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে পৌছে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দলের গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আতাউল গণি, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনসহ প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। জনগণ যাতে করে জনপ্রশাসনের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা পেতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১২৩ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুর্নীতি করার কোন প্রয়োজন নাই। কেউ যদি দুর্নীতি করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। একই ভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধেও এই সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কোন আপোষ নাই।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জনপ্রশাসনকে জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে চাই। সাধারণ মানুষ যাতে জনপ্রশাসনের কাছে থেকে নিরাপত্তা পায়, সুবিধা পায় এবং সে তার কাঙ্খিত সেবা পাই সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনপ্রশাসনকে আরো জনবান্ধব ও জনকল্যামুখী হিসেবে তৈরি করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সময়ে আমরা মেহেরপুরের উন্নয়নে ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম। ইতিমধ্যে মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। যতদ্রুত সম্ভব তার কাজটা শুরু করার চেষ্টা করবো। এছাড়া মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালটিকে মেডিক্যাল কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি। এরফলে ব্যাপকভাবে গরিব ও দুস্থ রোগীরা অনেক উপকার পাবে।’
মুজিবনগর অধ্যুষিত মেহেরপুরের প্রথম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি গর্বিত এমন একটি এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে পেরে। সেক্ষেত্রে মেহেরপুর ও মুজিবনগর বাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ জানায় এই এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে আমাকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ায়। মুজিবনগর এলাকার সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এই এলাকায় আমার অনেক অঙ্গীকার ও দায়িত্ব রয়েছে। আমার এলাকার সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের সহযোগিতা নিয়ে সাধ্যমত মেহেরপুরের উন্নয়নে কাজ করতে পারি।’


এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ প্রতিমন্ত্রী মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে পুষ্পমাল্য অর্পন করাসহ মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবীন বরন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই দিনে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সংবর্ধনা এবং রাতে সার্কিট হাউসে বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন কতৃক সংবর্ধনা আনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরদিন ২৬ জানুয়ারি সাড়ে ১১টায় শিল্পকলা একাডেমিতে ২৪ঘন্টা ৭দিন শীর্ষক সেমিনারে যোগদান করবেন। এদিন বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শাহীদ সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গণসংবর্ধনা আনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরদিন ২৭ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় উদ্দেশ্যে মেহেরপুর ত্যাগ করবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বেতন বাড়ানো হয়েছে, দুর্নীতি করার কোন প্রয়োজন নাই

আপলোড টাইম : ১২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৯

প্রতিমন্ত্রী হয়ে প্রথমবার মেহেরপুরে অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল এমপি

 

ঢাকা হতে সড়ক পথে ফিরলেন নিজ জেলায় : পথে পথে শুভেচ্ছা-সংবর্ধনা
এসএম শাফায়েত/মেহের আমজাদ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথমবার সরকারি সফরে নিজ জেলায় ফিরেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে চারদিকে ছিল সাজসাজ রব। সকাল থেকে সড়কের দু’পাশে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। বিকাল ৪টার দিকে সড়ক পথে মেহেরপুরে পৌছান তিনি। এরআগে সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ফেরিপারাপার হয়ে মেহেরপুর আসার পথে রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ সার্কিট হাউস ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় যাত্রা বিরতি করেন।


বেলা ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রবেশদ্বারে প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) আহসান হাবীবসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দলীয় নেতৃবৃন্দ। পরে সেখান থেকে মোটর শোভাযাত্রাযোগে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল। পৌরসভার প্রধান ফটকে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে অভ্যার্থনা জানান পৌর মেয়র জিপু চৌধুরী। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকিসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সরকারি-বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তা ও নানা শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ।
মেহেরপুর পৌছানোর আগে কলেজ মোড়ের পৌর কবরস্থানে তাঁর পিতা মরহুম ছহিউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে পৌছে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দলের গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আতাউল গণি, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনসহ প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। জনগণ যাতে করে জনপ্রশাসনের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা পেতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১২৩ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুর্নীতি করার কোন প্রয়োজন নাই। কেউ যদি দুর্নীতি করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। একই ভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধেও এই সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কোন আপোষ নাই।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জনপ্রশাসনকে জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে চাই। সাধারণ মানুষ যাতে জনপ্রশাসনের কাছে থেকে নিরাপত্তা পায়, সুবিধা পায় এবং সে তার কাঙ্খিত সেবা পাই সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনপ্রশাসনকে আরো জনবান্ধব ও জনকল্যামুখী হিসেবে তৈরি করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সময়ে আমরা মেহেরপুরের উন্নয়নে ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম। ইতিমধ্যে মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। যতদ্রুত সম্ভব তার কাজটা শুরু করার চেষ্টা করবো। এছাড়া মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালটিকে মেডিক্যাল কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি। এরফলে ব্যাপকভাবে গরিব ও দুস্থ রোগীরা অনেক উপকার পাবে।’
মুজিবনগর অধ্যুষিত মেহেরপুরের প্রথম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি গর্বিত এমন একটি এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে পেরে। সেক্ষেত্রে মেহেরপুর ও মুজিবনগর বাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ জানায় এই এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে আমাকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ায়। মুজিবনগর এলাকার সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এই এলাকায় আমার অনেক অঙ্গীকার ও দায়িত্ব রয়েছে। আমার এলাকার সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের সহযোগিতা নিয়ে সাধ্যমত মেহেরপুরের উন্নয়নে কাজ করতে পারি।’


এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ প্রতিমন্ত্রী মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে পুষ্পমাল্য অর্পন করাসহ মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবীন বরন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই দিনে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সংবর্ধনা এবং রাতে সার্কিট হাউসে বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন কতৃক সংবর্ধনা আনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরদিন ২৬ জানুয়ারি সাড়ে ১১টায় শিল্পকলা একাডেমিতে ২৪ঘন্টা ৭দিন শীর্ষক সেমিনারে যোগদান করবেন। এদিন বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শাহীদ সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গণসংবর্ধনা আনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরদিন ২৭ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় উদ্দেশ্যে মেহেরপুর ত্যাগ করবেন।