ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বেগমপুরের নওদাগাঁ গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ : মহিলাসহ আহত ১১

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা বেগমপুরের নওদাগাঁ গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ১১ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে মিলন নামের এক যুবককে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। মর্জিনা নামের এক মহিলা গুরুত্বর আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বিরাজ করছে। গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নওদাগাঁ গ্রামের উত্তরপাড়ারম খোকাই ম-লের ছেলে শহিদুল ও বদর উদ্দিন ম-লের ছেলে গাফফারের বসতভিটাসহ মাঠের চাষাবাদের ১০/১২ বিঘা জমি নিয়ে একে অপরের মধ্যে আদালতে মামলা চলে আসছে। এরপর থেকে প্রভাবশালী শহিদুলসহ তার পরিবারের লোকজনের কাছে নিরীহ গাফফারের পরিবারের লোকজন অসহায় হয়ে পড়ে। যে কারণে প্রায়ই প্রভাবশালী আশাদুল গংদের হুমকী-ধামকীর শিকার হতে হত গাফফারের পরিবারকে। এরই একপর্যায় গতকাল মঙ্গলবার মামলার দিন ধার্য ছিলো। সে মোতাবেক গাফফার মামলার হাজিরা দিতে চুয়াডাঙ্গা আদালতে যায়। এ সুযোগে আশাদুল মামলা চলা জমিতে ফলজ ও বনজ গাছ লাগাতে যায়। জমিতে গাছ লাগানোর সময় গাছ লাগাতে মৃত আবুলের ছেলে ভাটাম ও গাফফারের মেয়ে আমেনা নিষেধ করলে তাদেরকে মারধর করে শহিদুলসহ ছেলে নুর আলম, রবিউলের স্ত্রী মারী ও ছেলে, জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শাপলা। পরে বিকাল ৫টার দিকে পুনরায় শহিদুল গং গাফফারের বাড়িতে ও রাস্তায় হামলা চালিয়ে অসহায় বদর উদ্দিনের ছেলে গাফফার (৫০), আবুল ম-লের ছেলে রেজাউল (৫০) ও জাইরুল (৩৫), জাইরুলের স্ত্রী জুলেখা (২৮), মৃত কাশেম ম-লের স্ত্রী মর্জিনা (৬৫), ছেলে জিয়ার (৩০) ও মেয়ে কল্পনা (৩৫), আবেদ আলীর স্ত্রী রমেছা (৬৩), ছেলে শের আলী (৩৫) ও সদর আলীর মেয়ে আঞ্জুরাকে (৩৫) বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এসময় শহিদুল গংদের হামলা ঠেকাতে গিয়ে গ্রামের মান্দার ম-লের ছেলে মিলন (৩২) মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। এদিকে, আহতদের মধ্যে কাশেমের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এএসআই জাহিদ জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ঘটনার বর্ণনা শুনেছি। এদিকে, মৃত কাশেমের স্ত্রী মর্জিনা বেগম আহত অবস্থায় ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করতে এলে আগে তাকে চিকিৎসা করার জন্য বলা হয়েছে এবং পরে তার অভিযোগ নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বেগমপুরের নওদাগাঁ গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ : মহিলাসহ আহত ১১

আপলোড টাইম : ০৮:৫৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা বেগমপুরের নওদাগাঁ গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ১১ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে মিলন নামের এক যুবককে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। মর্জিনা নামের এক মহিলা গুরুত্বর আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বিরাজ করছে। গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নওদাগাঁ গ্রামের উত্তরপাড়ারম খোকাই ম-লের ছেলে শহিদুল ও বদর উদ্দিন ম-লের ছেলে গাফফারের বসতভিটাসহ মাঠের চাষাবাদের ১০/১২ বিঘা জমি নিয়ে একে অপরের মধ্যে আদালতে মামলা চলে আসছে। এরপর থেকে প্রভাবশালী শহিদুলসহ তার পরিবারের লোকজনের কাছে নিরীহ গাফফারের পরিবারের লোকজন অসহায় হয়ে পড়ে। যে কারণে প্রায়ই প্রভাবশালী আশাদুল গংদের হুমকী-ধামকীর শিকার হতে হত গাফফারের পরিবারকে। এরই একপর্যায় গতকাল মঙ্গলবার মামলার দিন ধার্য ছিলো। সে মোতাবেক গাফফার মামলার হাজিরা দিতে চুয়াডাঙ্গা আদালতে যায়। এ সুযোগে আশাদুল মামলা চলা জমিতে ফলজ ও বনজ গাছ লাগাতে যায়। জমিতে গাছ লাগানোর সময় গাছ লাগাতে মৃত আবুলের ছেলে ভাটাম ও গাফফারের মেয়ে আমেনা নিষেধ করলে তাদেরকে মারধর করে শহিদুলসহ ছেলে নুর আলম, রবিউলের স্ত্রী মারী ও ছেলে, জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শাপলা। পরে বিকাল ৫টার দিকে পুনরায় শহিদুল গং গাফফারের বাড়িতে ও রাস্তায় হামলা চালিয়ে অসহায় বদর উদ্দিনের ছেলে গাফফার (৫০), আবুল ম-লের ছেলে রেজাউল (৫০) ও জাইরুল (৩৫), জাইরুলের স্ত্রী জুলেখা (২৮), মৃত কাশেম ম-লের স্ত্রী মর্জিনা (৬৫), ছেলে জিয়ার (৩০) ও মেয়ে কল্পনা (৩৫), আবেদ আলীর স্ত্রী রমেছা (৬৩), ছেলে শের আলী (৩৫) ও সদর আলীর মেয়ে আঞ্জুরাকে (৩৫) বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এসময় শহিদুল গংদের হামলা ঠেকাতে গিয়ে গ্রামের মান্দার ম-লের ছেলে মিলন (৩২) মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। এদিকে, আহতদের মধ্যে কাশেমের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এএসআই জাহিদ জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ঘটনার বর্ণনা শুনেছি। এদিকে, মৃত কাশেমের স্ত্রী মর্জিনা বেগম আহত অবস্থায় ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করতে এলে আগে তাকে চিকিৎসা করার জন্য বলা হয়েছে এবং পরে তার অভিযোগ নেওয়া হবে।