ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আলমডাঙ্গা উপজেলার ভেদামারী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অতিয়ার রহমান (৭১) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টা ২০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বুকের ব্যথা নিয়ে আতিয়ার রহমান চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ ও ডা. আবুল হোসেনের তত্বাবধানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। দ্রুত নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টা ২০মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মরহুম আতিয়ার রহমানের ছেলে মুক্তার আলী বলেন, বাবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল, চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু হঠাৎ-ই বাবা সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুক্তার আলী তাঁর বন্ধু রাজশাহীতে কর্মরত মাসুদ রানার সহায়তায় বাবার মরদেহ গতকাল শুক্রবার সকালে নিজ গ্রাম আলমডাঙ্গার ভেদামারীতে নিয়ে আসলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। মরহুমের সহযোদ্ধা, নিকট আত্মীয়-স্বজন, গ্রাম ও এলাকার সাধারণ মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের মরদেহ একনজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। এরপর বিকেল চারটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানকে গার্ড অব অনার প্রদান করে জাতীয় পতাকায় মুড়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়। আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ ও ঘোলদাঁড়ী পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যদের যৌথ চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। রাষ্ট্রের পক্ষে সালাম গ্রহণ করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ূন কবীর।
গার্ড অব অনার শেষে মরহুমের মরদেহ নেওয়া হয় ভোদামারী পুরাতন জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে। সেখানে শতশত মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পরিচালনা করেন পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনারুল ইসলাম। জানাজা শেষে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুমের জানাজায় উপিস্থিত ছিলেন নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাবেক চেয়ারম্যান দারুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, মুনছুর আলী, নুরু মিয়া, আল-হাজ্জ রফিউদ্দীন মোল্লা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম (ইসলাম রকিব), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়াত আলী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, ডা. আব্দুল মালেকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আতিয়ার রহমান ছিলেন ভেদামারী গ্রামের মৃত আমোদ আলী গাইন ও মৃত খোদেজান খাতুনের বড় ছেলে। মৃত্যুকালে মরহুম অতিয়ার রহমান ৩ ছেলে, ১ মেয়ে, স্ত্রী সহ অসংখ্যা গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের মেজ ছেলে পুলিশের এসআই মুক্তার আলী তাঁর বাবার রুহের মাগফিরাত কামনা করে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

আপলোড টাইম : ১১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আলমডাঙ্গা উপজেলার ভেদামারী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অতিয়ার রহমান (৭১) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টা ২০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বুকের ব্যথা নিয়ে আতিয়ার রহমান চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ ও ডা. আবুল হোসেনের তত্বাবধানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। দ্রুত নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টা ২০মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মরহুম আতিয়ার রহমানের ছেলে মুক্তার আলী বলেন, বাবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল, চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু হঠাৎ-ই বাবা সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুক্তার আলী তাঁর বন্ধু রাজশাহীতে কর্মরত মাসুদ রানার সহায়তায় বাবার মরদেহ গতকাল শুক্রবার সকালে নিজ গ্রাম আলমডাঙ্গার ভেদামারীতে নিয়ে আসলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। মরহুমের সহযোদ্ধা, নিকট আত্মীয়-স্বজন, গ্রাম ও এলাকার সাধারণ মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের মরদেহ একনজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। এরপর বিকেল চারটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানকে গার্ড অব অনার প্রদান করে জাতীয় পতাকায় মুড়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়। আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ ও ঘোলদাঁড়ী পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যদের যৌথ চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। রাষ্ট্রের পক্ষে সালাম গ্রহণ করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ূন কবীর।
গার্ড অব অনার শেষে মরহুমের মরদেহ নেওয়া হয় ভোদামারী পুরাতন জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে। সেখানে শতশত মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পরিচালনা করেন পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনারুল ইসলাম। জানাজা শেষে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুমের জানাজায় উপিস্থিত ছিলেন নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাবেক চেয়ারম্যান দারুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, মুনছুর আলী, নুরু মিয়া, আল-হাজ্জ রফিউদ্দীন মোল্লা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম (ইসলাম রকিব), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়াত আলী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, ডা. আব্দুল মালেকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আতিয়ার রহমান ছিলেন ভেদামারী গ্রামের মৃত আমোদ আলী গাইন ও মৃত খোদেজান খাতুনের বড় ছেলে। মৃত্যুকালে মরহুম অতিয়ার রহমান ৩ ছেলে, ১ মেয়ে, স্ত্রী সহ অসংখ্যা গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের মেজ ছেলে পুলিশের এসআই মুক্তার আলী তাঁর বাবার রুহের মাগফিরাত কামনা করে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।