ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পেলো ব্যাবিলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯
  • / ২৪০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
প্রাচীন মেসোপটেমীয় শহর ব্যাবিলন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পেল। শুক্রবার আজারবাইজানের বাকুতে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বৈঠকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৩ সাল থেকে চার হাজার বছরের পুরোনো ব্যাবিলন শহরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে ইরাক। বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম ঝুলন্ত উদ্যান এই ব্যাবিলন শহরেই অবস্থিত। প্রাক্তন ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইন ব্যাবিলনের প্রাসাদটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে ওই প্রাসাদটির মূল অংশ এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এছাড়া পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের পর সাদ্দাম ওই প্রাসাদটির ঠিক বিপরীত পাশেই প্রাসাদের অনুকরণে তার জন্য বাসভবন নির্মাণ করেছিলেন। পরে সাদ্দামের উৎখাতের পর মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয় ব্যাবিলন। পুরো মানব জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সুরক্ষিত রাখতে জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি ব্যাবিলনকে ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া ইরাকি প্রতিনিধি দল ব্যাবিলনের এই মর্যাদা দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। একে তারা ব্যাবিলন ও মেসোপটেমীয় সভ্যতার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হিসেবে দেখছেন। ইউনেস্কো বলেছে, ‘হাম্বুরাবি ও নেবুচাদনেজারের মতো শাসকদের ধারাবাহিক শাসনে ব্যবিলন তার মর্যাদায় নিও-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের সৃষ্টিশীলতার অনুভূতিকে প্রতিনিধিত্ব করে। শহরটির সঙ্গে প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম সপ্তাশ্চার্য ঝুলন্ত উদ্যানও শিল্পীসুলভ, জনপ্রিয় ও ধর্মীয় সংস্কৃতির বৈশ্বিক মাত্রাকে প্রভাবিত করেছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পেলো ব্যাবিলন

আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯

বিশ্ব ডেস্ক:
প্রাচীন মেসোপটেমীয় শহর ব্যাবিলন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পেল। শুক্রবার আজারবাইজানের বাকুতে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বৈঠকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৩ সাল থেকে চার হাজার বছরের পুরোনো ব্যাবিলন শহরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে ইরাক। বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম ঝুলন্ত উদ্যান এই ব্যাবিলন শহরেই অবস্থিত। প্রাক্তন ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইন ব্যাবিলনের প্রাসাদটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে ওই প্রাসাদটির মূল অংশ এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এছাড়া পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের পর সাদ্দাম ওই প্রাসাদটির ঠিক বিপরীত পাশেই প্রাসাদের অনুকরণে তার জন্য বাসভবন নির্মাণ করেছিলেন। পরে সাদ্দামের উৎখাতের পর মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয় ব্যাবিলন। পুরো মানব জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সুরক্ষিত রাখতে জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি ব্যাবিলনকে ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া ইরাকি প্রতিনিধি দল ব্যাবিলনের এই মর্যাদা দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। একে তারা ব্যাবিলন ও মেসোপটেমীয় সভ্যতার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হিসেবে দেখছেন। ইউনেস্কো বলেছে, ‘হাম্বুরাবি ও নেবুচাদনেজারের মতো শাসকদের ধারাবাহিক শাসনে ব্যবিলন তার মর্যাদায় নিও-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের সৃষ্টিশীলতার অনুভূতিকে প্রতিনিধিত্ব করে। শহরটির সঙ্গে প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম সপ্তাশ্চার্য ঝুলন্ত উদ্যানও শিল্পীসুলভ, জনপ্রিয় ও ধর্মীয় সংস্কৃতির বৈশ্বিক মাত্রাকে প্রভাবিত করেছে।’