ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিশ্বনবির সাক্ষাৎ পাওয়ার উপায়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্বমানবতার জন্য সুসংবাদদাতা, সাক্ষী ও সতর্ককারী। তাঁকে মহান আল্লাহর প্রেরিত নবি ও রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করাই ঈমানের অন্যতম শর্ত। তার প্রতি দরূদ পড়া আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য নির্দেশ। এ সবের বিনিময়ে রয়েছে মহাপুরস্কার। কী সেই পুরস্কার? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন, তাঁকে সুসংবাদদাতা, সাক্ষী ও সতর্ককারী হিসেবে জানা, বিশ্বাস স্থাপন করা এবং তাঁর প্রতি দরূদ পড়ার মহাপুরস্কার হচ্ছে- তাঁর সাক্ষাৎ ও সুপারিশ পাওয়া। এটি মুমিন মুসলমানের একান্ত চাওয়া।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎ পাওয়ার, পরকালের সুপারিশ পাওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে, তাঁর প্রতি বেশি বেশি দরূদ শরিফ পড়া। আর যে দরূদটি পড়তে সহজ এবং ছোট তাহলো- উচ্চারণ : ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’ বিশ্বনবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের, তাঁকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠানোসহ তাঁর প্রতি দরূদ পড়ার নির্দেশ এসেছে একাধিক আয়াতে। তাহলো-
১ .‘আমি আপনাকে (নবি করে) পাঠিয়েছি (বিশ্ববাসীর জন্য) সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। যাতে তোমরা (মানুষ) আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তোমরা রাসুলকে শক্তি যোগাও, তাঁকে সম্মান কর।’ (সুরা ফাতাহ : আয়াত ৮ ও ৯)
২. ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা নবির প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তার ফেরেশতারাও নবির জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবির জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৫৬)
সুতরাং প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠানো হলো মুমিন মুসলমানের জন্য ইবাদত ও অনেক ফজিলতপূর্ণ কাজ। এতে একদিকে যেমন তাঁর সাক্ষাৎ লাভ হয় তেমনি পরকালে তার জন্য সুপারিশও সুনিশ্চিত। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা সুস্পষ্ট- ১. যে ব্যক্তি হাশরের ময়দানে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে থাকতে চায়, সে যেন বেশি বেশি দরূদ পড়ে। ২. যে ব্যক্তি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহব্বতে বেশি বেশি দরূদ পড়বে, তাঁর জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ আবশ্যক হয়ে যায়। ৩. যে ব্যক্তি মহব্বতের সঙ্গে বেশি বেশি দরূদ পড়বে, দরূদের বরকতে ওই ব্যক্তি স্বপ্নযোগে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎ লাভ করবেন। ৪. বেশি বেশি দরূদ পড়লে আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করেন।
মনে রাখা জরুরি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম না পড়ায় রয়েছে মারাত্মক ক্ষতি। হাদিসে এসেছে- ‘তিন শ্রেণির ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা ধ্বংসের অভিশাপ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একশ্রেণি হলো- যারা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম শোনার পরও তার প্রতি দরূদ পড়ে না।’ (নাউজুবিল্লাহ) সুতরাং প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম পড়া ক্ষতিকর কোনো কাজ নয় বরং দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ লাভে ছোট কিংবা বড় দরূদ বেশি বেশি পড়ায় দুনিয়া ও পরকালের সবচেয়ে বেশি কল্যাণ। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়ার তাওফিক দান করুন। দরূদের যথাযথ ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিশ্বনবির সাক্ষাৎ পাওয়ার উপায়

আপলোড টাইম : ০৭:৪০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

ধর্ম প্রতিবেদন:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্বমানবতার জন্য সুসংবাদদাতা, সাক্ষী ও সতর্ককারী। তাঁকে মহান আল্লাহর প্রেরিত নবি ও রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করাই ঈমানের অন্যতম শর্ত। তার প্রতি দরূদ পড়া আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য নির্দেশ। এ সবের বিনিময়ে রয়েছে মহাপুরস্কার। কী সেই পুরস্কার? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন, তাঁকে সুসংবাদদাতা, সাক্ষী ও সতর্ককারী হিসেবে জানা, বিশ্বাস স্থাপন করা এবং তাঁর প্রতি দরূদ পড়ার মহাপুরস্কার হচ্ছে- তাঁর সাক্ষাৎ ও সুপারিশ পাওয়া। এটি মুমিন মুসলমানের একান্ত চাওয়া।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎ পাওয়ার, পরকালের সুপারিশ পাওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে, তাঁর প্রতি বেশি বেশি দরূদ শরিফ পড়া। আর যে দরূদটি পড়তে সহজ এবং ছোট তাহলো- উচ্চারণ : ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’ বিশ্বনবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের, তাঁকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠানোসহ তাঁর প্রতি দরূদ পড়ার নির্দেশ এসেছে একাধিক আয়াতে। তাহলো-
১ .‘আমি আপনাকে (নবি করে) পাঠিয়েছি (বিশ্ববাসীর জন্য) সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। যাতে তোমরা (মানুষ) আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তোমরা রাসুলকে শক্তি যোগাও, তাঁকে সম্মান কর।’ (সুরা ফাতাহ : আয়াত ৮ ও ৯)
২. ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা নবির প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তার ফেরেশতারাও নবির জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবির জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৫৬)
সুতরাং প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠানো হলো মুমিন মুসলমানের জন্য ইবাদত ও অনেক ফজিলতপূর্ণ কাজ। এতে একদিকে যেমন তাঁর সাক্ষাৎ লাভ হয় তেমনি পরকালে তার জন্য সুপারিশও সুনিশ্চিত। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা সুস্পষ্ট- ১. যে ব্যক্তি হাশরের ময়দানে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে থাকতে চায়, সে যেন বেশি বেশি দরূদ পড়ে। ২. যে ব্যক্তি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহব্বতে বেশি বেশি দরূদ পড়বে, তাঁর জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ আবশ্যক হয়ে যায়। ৩. যে ব্যক্তি মহব্বতের সঙ্গে বেশি বেশি দরূদ পড়বে, দরূদের বরকতে ওই ব্যক্তি স্বপ্নযোগে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎ লাভ করবেন। ৪. বেশি বেশি দরূদ পড়লে আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করেন।
মনে রাখা জরুরি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম না পড়ায় রয়েছে মারাত্মক ক্ষতি। হাদিসে এসেছে- ‘তিন শ্রেণির ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা ধ্বংসের অভিশাপ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একশ্রেণি হলো- যারা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম শোনার পরও তার প্রতি দরূদ পড়ে না।’ (নাউজুবিল্লাহ) সুতরাং প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম পড়া ক্ষতিকর কোনো কাজ নয় বরং দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ লাভে ছোট কিংবা বড় দরূদ বেশি বেশি পড়ায় দুনিয়া ও পরকালের সবচেয়ে বেশি কল্যাণ। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়ার তাওফিক দান করুন। দরূদের যথাযথ ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।