বিশু শাহ্ বাউল মেলার ইতিহাস
- আপলোড টাইম : ১০:২৮:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৯
- / ২৩৬ বার পড়া হয়েছে
হুসাইন মালিক:
এ মেলার ইতিহাস সম্পর্কে যতোদূর জানা গেছে, বিশু শাহ্ ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার জাঁহাপুর গ্রামের মরহুম আরজান বিশ্বাসের ছেলে। জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের দত্তাইল গ্রামের মরহুম একিম শাহ্ এর শিষ্য ছিলেন তিনি। এরপর প্রায় ৪০ বছর তিনি সরিষাডাঙ্গায় অবস্থান করেছিলেন এবং নিজের আস্তানাও গড়ে তোলেন। বাংলা সাল অনুযায়ী তিনি ২০ ফাল্গুন ১৩৪৬ সালে ১০৫ বছর বয়সে গুরু একিম শাহ্ এর আস্তানায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিশু শাহ্ তার ভক্তদের কাছ থেকে জানা গেছে, তিনি মৃত্যুর আগে থেকেই বলে গিয়েছিলেন তার মৃত্যুর পর যেন সরিষাডাঙ্গা গ্রামে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়। তার কথা মতোই তার ভক্তরা তার অন্তিম ইচ্ছা পূরণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার মৃত্যুর দিনে আজকের এই বিশু শাহ্ এর মাজার এবং মাজারে বাৎসরিক ওরশ মোবারক।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরো জানা যায়, ওরশ মোবারকের পাশাপাশি বাউল মেলা ব্যাপক পরিসরে ও বাইরে থেকে বড় বড় শিল্পী এনে বাউল গানের আসর করার পরিকল্পনা আসে সরিষাডাঙ্গা গ্রামের খন্দকার আশরাফ, বাবলু আহমেদ, হাসেম আলি সর্দার, খালেক শাহ, রমজান, মাজিদসহ সেই সময়ের উঠতি বয়সী কিছু যুবকের। তারা সেই সময়ের ছাত্রনেতা, বর্তমান মোমিনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোর্য়াদ্দারের সাথে পরামর্শ করেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার- সালাম জোর্য়াদ্দার- শহিদ পাগলসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা ওই যুবকদের সাথে নিয়ে এলাকারবাসীর মতামতের ভিত্তিতে বড় পরিসরে প্রথম ওরশের পাশাপাশি বাউল মেলার আয়োজন করেন। সেই থেকে আজ অবধি বাউল মেলার সার্বিক পরিচালনা করে আসছেন ফারুক চেয়ারম্যান।