ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিবাদ নিরসনে ইসলামের দীক্ষা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: কলহ-বিবাদ ও ফিতনা-ফ্যাসাদ সামাজিক অনাচার ও অত্যাচারের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এর কারণে বিভেদ, অনৈক্য ও বিভক্তি ছড়িয়ে পড়ে। ফিতনা-ফ্যাসাদের ফলে পরস্পরের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা ও হিংস্রতা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় সামান্য তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারাত্মক ঝগড়া-বিবাদ ঘটে। পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে, ‘ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর।’ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অন্যের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করবে না, গুপ্তচরবৃত্তি করবে না, পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া-ফ্যাসাদ করবে না, পরস্পরের সঙ্গে হিংসা-বিদ্বেষ করবে না, পরস্পরকে ঘৃণা করবে না এবং পরস্পরের ক্ষতিসাধন করার জন্য পেছনে লাগবে না। আর তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা হিসেবে ভাই ভাই হয়ে যাবে।’ সমাজ জীবনে দুই দলের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হলে তা নিরসনে ইসলামের বিধান অনুসারে জনসাধারণ মীমাংসা করে দেবে। একদল মীমাংসা করতে রাজি না হলে সমাজের নেতৃস্থানীয় জনগণ ওই দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং মীমাংসা মেনে নিতে বাধ্য করবে। তবুও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে উভয় দলের মধ্যে সন্ধি ও শান্তিপূর্ণ সমঝোতার চেষ্টা চালাতে হবে। ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কের দাবিতে দুই বিবদমান ব্যক্তির কর্তব্য হলো তাদের ঝগড়া-বিবাদ নিরসন করা, কলহ মিটিয়ে ফেলা এবং সন্ধি-সমঝোতা সৃষ্টি করা। এটা বিশেষ সওয়াবের কাজও। পবিত্র কাবা শরীফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে দুই গোত্রের মধ্যে যখন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিল, তখন রাসুল (সা.)-এর সুন্দর সমাধান পেশ করে সুন্নত স্থাপন করেছেন। ইসলাম ঝগড়া-বিবাদের মতো ঘৃণ্যতর কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কোনো বান্দা যে পর্যন্ত ঝগড়া-বিবাদ বর্জন না করবে, সে পর্যন্ত তার ইমানের বাস্তব রূপের পরিপূর্ণতা বিধান করতে পারবে না। ইসলাম ঝগড়া-বিবাদকে সবচেয়ে নি¤œস্তরের আমল বিনষ্টকারী বলে গণ্য করেছে। ঝগড়া-বিবাদকারীরা সমাজের কাছে অপছন্দনীয়। কলহ-বিবাদ সৃষ্টিকারীদের যেমন সাধারণ মানুষ ঘৃণা করে, তেমনি আল্লাহ তায়ালাও তাকে অপছন্দ করেন। কোরানে বলা হয়েছে, ‘তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে না, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীকে পছন্দ করেন না।’ সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা পরম কাক্সিক্ষত। ইসলামের প্রেরণা হলো যথাসম্ভব শান্তি ও স্বস্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে প্রতিটি মুসলমানকে। শান্তির পথে অন্তরায় ঝগড়া-বিবাদের মতো বিষয়গুলো যাতে না ঘটে, সে চেষ্টা অব্যাহত রাখা ইমানি দায়িত্ব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিবাদ নিরসনে ইসলামের দীক্ষা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: কলহ-বিবাদ ও ফিতনা-ফ্যাসাদ সামাজিক অনাচার ও অত্যাচারের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এর কারণে বিভেদ, অনৈক্য ও বিভক্তি ছড়িয়ে পড়ে। ফিতনা-ফ্যাসাদের ফলে পরস্পরের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা ও হিংস্রতা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় সামান্য তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারাত্মক ঝগড়া-বিবাদ ঘটে। পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে, ‘ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর।’ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অন্যের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করবে না, গুপ্তচরবৃত্তি করবে না, পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া-ফ্যাসাদ করবে না, পরস্পরের সঙ্গে হিংসা-বিদ্বেষ করবে না, পরস্পরকে ঘৃণা করবে না এবং পরস্পরের ক্ষতিসাধন করার জন্য পেছনে লাগবে না। আর তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা হিসেবে ভাই ভাই হয়ে যাবে।’ সমাজ জীবনে দুই দলের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হলে তা নিরসনে ইসলামের বিধান অনুসারে জনসাধারণ মীমাংসা করে দেবে। একদল মীমাংসা করতে রাজি না হলে সমাজের নেতৃস্থানীয় জনগণ ওই দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং মীমাংসা মেনে নিতে বাধ্য করবে। তবুও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে উভয় দলের মধ্যে সন্ধি ও শান্তিপূর্ণ সমঝোতার চেষ্টা চালাতে হবে। ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কের দাবিতে দুই বিবদমান ব্যক্তির কর্তব্য হলো তাদের ঝগড়া-বিবাদ নিরসন করা, কলহ মিটিয়ে ফেলা এবং সন্ধি-সমঝোতা সৃষ্টি করা। এটা বিশেষ সওয়াবের কাজও। পবিত্র কাবা শরীফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে দুই গোত্রের মধ্যে যখন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিল, তখন রাসুল (সা.)-এর সুন্দর সমাধান পেশ করে সুন্নত স্থাপন করেছেন। ইসলাম ঝগড়া-বিবাদের মতো ঘৃণ্যতর কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কোনো বান্দা যে পর্যন্ত ঝগড়া-বিবাদ বর্জন না করবে, সে পর্যন্ত তার ইমানের বাস্তব রূপের পরিপূর্ণতা বিধান করতে পারবে না। ইসলাম ঝগড়া-বিবাদকে সবচেয়ে নি¤œস্তরের আমল বিনষ্টকারী বলে গণ্য করেছে। ঝগড়া-বিবাদকারীরা সমাজের কাছে অপছন্দনীয়। কলহ-বিবাদ সৃষ্টিকারীদের যেমন সাধারণ মানুষ ঘৃণা করে, তেমনি আল্লাহ তায়ালাও তাকে অপছন্দ করেন। কোরানে বলা হয়েছে, ‘তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে না, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীকে পছন্দ করেন না।’ সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা পরম কাক্সিক্ষত। ইসলামের প্রেরণা হলো যথাসম্ভব শান্তি ও স্বস্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে প্রতিটি মুসলমানকে। শান্তির পথে অন্তরায় ঝগড়া-বিবাদের মতো বিষয়গুলো যাতে না ঘটে, সে চেষ্টা অব্যাহত রাখা ইমানি দায়িত্ব।