ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিপদ দেখলেই নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখে যে প্রাণী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৪:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

বিস্ময় প্রতিবেদন:
শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হলে মৃত্যু সুনিশ্চিত। ফলে যে কোনো প্রাণীর পক্ষে একটানা নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই রয়েছে। ইগুয়ানা নামে এক ধরনের সরীসৃপ শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করে রাখতে পারে টানা ৪৫ মিনিট। সামুদ্রিক প্রাণী ইগুয়ানা। এই অবিশ্বাস্য ক্ষমতার পেছনে রয়েছে প্রাণীটির বিবর্তনের ইতিহাস। আজ থেকে প্রায় ৪০ লাখ বছর আগে স্থলজ পরিবেশে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়ায় জলজ পরিবেশে খাদ্য খোঁজার কাজে নামতে হয় এই প্রাণীকে। তবে সমুদ্রে নামার পরই সমস্যায় পড়ে ইগুয়ানা। সেখানে এই প্রাণীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়ায় হাঙর। হাঙর সমুদ্রে কমপক্ষে ১৩ কিলোমিটার দূর থেকে শুনতে পায় যে কোনো প্রাণীর হৃদযন্ত্রের শব্দ। তাই হাঙরের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে এবং নিজের খাদ্যের সন্ধানে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ রাখতে হয় ইগুয়ানাকে। সবুজ, হলুদসহ বেশ কয়েক রং এবং প্রজাতির ইগুয়ানা দেখতে পাওয়া যায়। ইশিগাকি দ্বীপ, ফ্লোরিডা উপদ্বীপ, হাওয়াই, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশে দেখা মেলে এই আশ্চর্য প্রাণীর। ইগুয়ানা দৈর্ঘ্যে ১.২ থেকে ২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। ঘাড়ের মাঝরেখা থেকে লেজ পর্যন্ত প্রসারিত আঁশের সারি রয়েছে। ইগুয়ানার শরীরের বিভিন্ন অংশ জুড়ে আঁশ রয়েছে। গালে বৃহৎ, গোলাকার একটি স্কেল রয়েছে যা সাবটাইমপ্যানিক ঢাল নামে পরিচিত। মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার লোকেরা ইগুয়ানা খেয়ে ধাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পুয়ের্তোরিকোর কিছু অংশেও ইগুয়ানার মাংস পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ইগুয়ানার ডিম লাতিন আমেরিকার কিছু অংশ যেমন নিকারাগুয়া এবং কলম্বিয়ায় খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিপদ দেখলেই নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখে যে প্রাণী

আপলোড টাইম : ১০:২৪:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

বিস্ময় প্রতিবেদন:
শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হলে মৃত্যু সুনিশ্চিত। ফলে যে কোনো প্রাণীর পক্ষে একটানা নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই রয়েছে। ইগুয়ানা নামে এক ধরনের সরীসৃপ শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করে রাখতে পারে টানা ৪৫ মিনিট। সামুদ্রিক প্রাণী ইগুয়ানা। এই অবিশ্বাস্য ক্ষমতার পেছনে রয়েছে প্রাণীটির বিবর্তনের ইতিহাস। আজ থেকে প্রায় ৪০ লাখ বছর আগে স্থলজ পরিবেশে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়ায় জলজ পরিবেশে খাদ্য খোঁজার কাজে নামতে হয় এই প্রাণীকে। তবে সমুদ্রে নামার পরই সমস্যায় পড়ে ইগুয়ানা। সেখানে এই প্রাণীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়ায় হাঙর। হাঙর সমুদ্রে কমপক্ষে ১৩ কিলোমিটার দূর থেকে শুনতে পায় যে কোনো প্রাণীর হৃদযন্ত্রের শব্দ। তাই হাঙরের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে এবং নিজের খাদ্যের সন্ধানে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ রাখতে হয় ইগুয়ানাকে। সবুজ, হলুদসহ বেশ কয়েক রং এবং প্রজাতির ইগুয়ানা দেখতে পাওয়া যায়। ইশিগাকি দ্বীপ, ফ্লোরিডা উপদ্বীপ, হাওয়াই, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশে দেখা মেলে এই আশ্চর্য প্রাণীর। ইগুয়ানা দৈর্ঘ্যে ১.২ থেকে ২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। ঘাড়ের মাঝরেখা থেকে লেজ পর্যন্ত প্রসারিত আঁশের সারি রয়েছে। ইগুয়ানার শরীরের বিভিন্ন অংশ জুড়ে আঁশ রয়েছে। গালে বৃহৎ, গোলাকার একটি স্কেল রয়েছে যা সাবটাইমপ্যানিক ঢাল নামে পরিচিত। মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার লোকেরা ইগুয়ানা খেয়ে ধাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পুয়ের্তোরিকোর কিছু অংশেও ইগুয়ানার মাংস পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ইগুয়ানার ডিম লাতিন আমেরিকার কিছু অংশ যেমন নিকারাগুয়া এবং কলম্বিয়ায় খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।