ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুতের নাজুক অবস্থায় জনজীবন কাহিল!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
  • / ২০৭ বার পড়া হয়েছে

তীব্র তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমের পাশাপাশি রোদে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ঘরে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল মানুষের। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে স্বস্তি এনে দিল হঠাৎ বৃষ্টি। তবে দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনে সূর্যের প্রখরতা বেশি হওয়ায় গরম অনুভূত হচ্ছে। আর বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এখন বর্ষার মৌসুম চলে আসায়, মাঝে মধ্যেই বৃষ্টির দেখা মিলবে। এ বছর ভালো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
এদিকে, প্রচণ্ড গরম আর রোদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতের নাজুক পরিস্থিতি জনজীবনে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। শহরে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকবার পৃথকভাবে সবকটি ফিডারেই বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিল। সাধারণ মানুষের অভিযোগ সরকার যেহেতু লোডশেডিং শব্দটাই ব্যবহার করছে না। পর্যাপ্ত সরবরাহও আছে, সেহেতু প্রতিদিনই এই গরমে ঘন ঘন বিদ্যুৎ না থাকা অস্বস্তির সৃষ্টি করে।
বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ ওজোপাডিকো চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ময়নুদ্দিন জানান, লাইনে কাজ হওয়ার কারণে কিছু সময় পর্যায়ক্রমে তিনটা ফিডারে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন ছিল। খুলনা থেকে প্রডাক্টশন টিম এসেছিল। কাজ চলছিল। আর এখন ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় ফিউজ কেটে যায়। সেক্ষেত্রে তা ঠিক করতে কিছুক্ষণের জন্য লাইন বন্ধ রাখতে হয়। আবার গরমের মৌসুমে মাঝে মধ্যেই দু-এক জায়গার তার ছিড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে সেখানে কাজ করতে হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিদ্যুতের নাজুক অবস্থায় জনজীবন কাহিল!

আপলোড টাইম : ১০:৫৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

তীব্র তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমের পাশাপাশি রোদে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ঘরে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল মানুষের। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে স্বস্তি এনে দিল হঠাৎ বৃষ্টি। তবে দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনে সূর্যের প্রখরতা বেশি হওয়ায় গরম অনুভূত হচ্ছে। আর বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এখন বর্ষার মৌসুম চলে আসায়, মাঝে মধ্যেই বৃষ্টির দেখা মিলবে। এ বছর ভালো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
এদিকে, প্রচণ্ড গরম আর রোদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতের নাজুক পরিস্থিতি জনজীবনে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। শহরে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকবার পৃথকভাবে সবকটি ফিডারেই বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিল। সাধারণ মানুষের অভিযোগ সরকার যেহেতু লোডশেডিং শব্দটাই ব্যবহার করছে না। পর্যাপ্ত সরবরাহও আছে, সেহেতু প্রতিদিনই এই গরমে ঘন ঘন বিদ্যুৎ না থাকা অস্বস্তির সৃষ্টি করে।
বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ ওজোপাডিকো চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ময়নুদ্দিন জানান, লাইনে কাজ হওয়ার কারণে কিছু সময় পর্যায়ক্রমে তিনটা ফিডারে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন ছিল। খুলনা থেকে প্রডাক্টশন টিম এসেছিল। কাজ চলছিল। আর এখন ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় ফিউজ কেটে যায়। সেক্ষেত্রে তা ঠিক করতে কিছুক্ষণের জন্য লাইন বন্ধ রাখতে হয়। আবার গরমের মৌসুমে মাঝে মধ্যেই দু-এক জায়গার তার ছিড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে সেখানে কাজ করতে হয়।