ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিদেশ থেকে স্ত্রীর পাঠানো অর্থ দিয়ে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৮:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯
  • / ৩০৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
প্রথম স্ত্রীকে বিদেশ পাঠিয়ে তাঁর পাঠানো অর্থ দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে আরাম-আয়েশে সময় কাটাচ্ছেন রিয়াজ বাঘা নামের এক যুবক। অন্যদিকে দেশে ফিরে প্রথম স্ত্রী মিতু স্বামী ও সন্তানের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। মিতু ঝিনাইদহ শহরের ক্যাডেট কলেজ এলাকার আবাসন প্রকল্পের শাহিন শেখের মেয়ে।
মিতু জানান, ২০০৫ সালে ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করার সুবাদে বাসচালক রিয়াজের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। রিয়াজের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাতলা গ্রামে। তাঁর পিতার নাম ইব্রাহীম বাঘা। বিয়ের পর মিতু রিয়াজের ঘরে জন্ম নেয় সাকিব ও জান্নাতুল নামে দুই সন্তান। মিতুর ভাষ্যমতে, ২০১৮ সলের ৬ জুন তিনি সৌদি আরব যান কাজ করতে। সেখানে তিনি এক বছর চাকরি করেন। সেখানে তাঁর মালিক ইন্তেকাল করলে মিতু দেশে ফিরে আসেন। ততক্ষণ মিতুর সর্বনাশ ঘটে গেছে। স্বামীর বাড়িতে ফিরে তাঁকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। কারণ তাঁর পাঠানো অর্থে স্বামী রিয়াজ বাঘা ওই এলাকার নলভাঙ্গা তালতলি গ্রামের নাজমা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার পাতেন। স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের একপর্যায়ে মিতুকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। নাবালক দুই সন্তান ফেলে মিতু ঝিনাইদহের আবাসন প্রকেল্প বসবাস করছেন। দুই নাবালক সন্তানকেও স্বামী রিয়াজ বাঘা প্রতিনিয়ত মারধর ও নির্যাতন করছেন। তাঁদের খেতে দেওয়া হয় না।
মিতু আভিযোগ করেন, তিনি এক বছরে প্রতিমাসে ২৩ হাজার টাকা করে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের কাছে পাঠাতেন। সে হিসেবে তিনি ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাঁর টাকায় স্বামী রিয়াজ বাঘা আনন্দ-ফুর্তি করে দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। তিনি নাবালক দুই সন্তান ফিরে পেতে ঝিনাইদহের একটি আদালতে মামলা করেছেন। এ ছাড়া স্বামীর সংসারে ফিরতে ও খোরপোষের দাবিতে লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগ করেছেন। ১৫ অক্টোবর আদালতের নোটিশ পেয়েও তাঁর স্বামী ঝিনাইদহে আসেননি বলে মিতু জানান।
মিতুর আইনজীবী অ্যাড. বাচ্চু মিয়া জানান, নাবালক সন্তান উদ্ধারের জন্য মিতু মামলা করেছেন। আদালত তাঁর স্বামীর ঠিকানায় নোটিশ পাঠিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মিতুর স্বামী রিয়াজ বাঘার ০১৭৩৩-৭৭৩২৩৫ নাম্বারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিদেশ থেকে স্ত্রীর পাঠানো অর্থ দিয়ে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে!

আপলোড টাইম : ০৯:৩৮:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
প্রথম স্ত্রীকে বিদেশ পাঠিয়ে তাঁর পাঠানো অর্থ দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে আরাম-আয়েশে সময় কাটাচ্ছেন রিয়াজ বাঘা নামের এক যুবক। অন্যদিকে দেশে ফিরে প্রথম স্ত্রী মিতু স্বামী ও সন্তানের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। মিতু ঝিনাইদহ শহরের ক্যাডেট কলেজ এলাকার আবাসন প্রকল্পের শাহিন শেখের মেয়ে।
মিতু জানান, ২০০৫ সালে ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করার সুবাদে বাসচালক রিয়াজের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। রিয়াজের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাতলা গ্রামে। তাঁর পিতার নাম ইব্রাহীম বাঘা। বিয়ের পর মিতু রিয়াজের ঘরে জন্ম নেয় সাকিব ও জান্নাতুল নামে দুই সন্তান। মিতুর ভাষ্যমতে, ২০১৮ সলের ৬ জুন তিনি সৌদি আরব যান কাজ করতে। সেখানে তিনি এক বছর চাকরি করেন। সেখানে তাঁর মালিক ইন্তেকাল করলে মিতু দেশে ফিরে আসেন। ততক্ষণ মিতুর সর্বনাশ ঘটে গেছে। স্বামীর বাড়িতে ফিরে তাঁকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। কারণ তাঁর পাঠানো অর্থে স্বামী রিয়াজ বাঘা ওই এলাকার নলভাঙ্গা তালতলি গ্রামের নাজমা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার পাতেন। স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের একপর্যায়ে মিতুকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। নাবালক দুই সন্তান ফেলে মিতু ঝিনাইদহের আবাসন প্রকেল্প বসবাস করছেন। দুই নাবালক সন্তানকেও স্বামী রিয়াজ বাঘা প্রতিনিয়ত মারধর ও নির্যাতন করছেন। তাঁদের খেতে দেওয়া হয় না।
মিতু আভিযোগ করেন, তিনি এক বছরে প্রতিমাসে ২৩ হাজার টাকা করে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের কাছে পাঠাতেন। সে হিসেবে তিনি ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাঁর টাকায় স্বামী রিয়াজ বাঘা আনন্দ-ফুর্তি করে দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। তিনি নাবালক দুই সন্তান ফিরে পেতে ঝিনাইদহের একটি আদালতে মামলা করেছেন। এ ছাড়া স্বামীর সংসারে ফিরতে ও খোরপোষের দাবিতে লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগ করেছেন। ১৫ অক্টোবর আদালতের নোটিশ পেয়েও তাঁর স্বামী ঝিনাইদহে আসেননি বলে মিতু জানান।
মিতুর আইনজীবী অ্যাড. বাচ্চু মিয়া জানান, নাবালক সন্তান উদ্ধারের জন্য মিতু মামলা করেছেন। আদালত তাঁর স্বামীর ঠিকানায় নোটিশ পাঠিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মিতুর স্বামী রিয়াজ বাঘার ০১৭৩৩-৭৭৩২৩৫ নাম্বারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।