ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভ মিছিল হামলা-পাল্টা হামলায় উভয়পক্ষের আহত-৪

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর গাংনীতে নার্সারী মালিক ও আ.লীগ নেতার উপর হামলাকে কেন্দ্র করে
গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের নার্সারী ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান মিয়ার উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলের সময় দু’গ্রামবাসির মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধানখোলা ইউনিয়নের আড়পাড়া বাজারে এ হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মহিষাখোলা গ্রামের মৃত শামসুল হক মিয়ার ছেলে নার্সারী মালিক ও স্থানীয় আ.লীগ নেতা আনিছুর রহমান মিয়াকে ১৩ জুলাই বিকেলে হামলা করেন আড়পাড়া গ্রামের শমসের আলীর পক্ষের সোহেল ও লাল্টুসহ কিছু যুবক। মহিষাখোলা গ্রামের নিজ নার্সারীতে অবস্থানকালে আনিছুর রহমান হামলার শিকার হয়েছিলেন। ওই সময় তার নার্সারীর ম্যানেজার মহিষাখোলা গ্রামের মুনতাজ আলীও হামলার শিকার হয়েছিলেন। হামলাকারী মূলত মেহেরপুর জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল ও তার ভাই ধানখোলা ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুকে হামলা করতে এসেছিল। ওই হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আনিছুর রহমান মিয়া হামলার শিকার হয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়। হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে শুক্রবার বিকেলে হাড়িয়াদহ-মহিষাখোলা বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের আয়োজন করে হাড়িয়াদহ ও মহিষাখোলা গ্রামের মানুষ। বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মহিষাখোলা ও হাড়িয়াদহ গ্রামে শতাধিক মানুষ একটি মিছিল নিয়ে আড়পাড়া বাজারে অবস্থান নেয়। এ সময় মিছিলকারীদের সাথে আড়পাড়া গ্রামবাসীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ৪জন আহত হয়। আহতরা হলেন-মহিষাখোলা গ্রামের মৃত রবজেল মন্ডলের ছেলে মোক্তার আলী (৫৫) ও ঈমান মন্ডলের ছেলে গোলাম হোসেন (৫০)। এছাড়াও আড়পাড়া গ্রামের ২জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। উভয়পক্ষের আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়। মিছিলকারীরা আড়পাড়া বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের কয়েকটিদল তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান এলাকা শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।মহিষাখোলা গ্রামের আহত আনিছুর রহমান মিয়া জানান, আমাকে হামলার ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে হাড়িয়াদহ-মহিষাখোলা বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে এলাকাবাসি। পরে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল আড়পাড়া বাজারের দিকে গেলে, আড়পাড়ার গ্রামের জামায়াত নেতা শমসের আলী, সোহেল, লাল্টুর নেতৃত্বে তাদের পোষা সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা করে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটিদল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকার নিরাপত্তা যাতে বিঘিœত না হয়। সেজন্য হাড়িয়াদহ-মহিষাখোলা বাজার ও আড়পাড়া বাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিক্ষোভ মিছিল হামলা-পাল্টা হামলায় উভয়পক্ষের আহত-৪

আপলোড টাইম : ০৪:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮

মেহেরপুর গাংনীতে নার্সারী মালিক ও আ.লীগ নেতার উপর হামলাকে কেন্দ্র করে
গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের নার্সারী ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান মিয়ার উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলের সময় দু’গ্রামবাসির মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধানখোলা ইউনিয়নের আড়পাড়া বাজারে এ হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মহিষাখোলা গ্রামের মৃত শামসুল হক মিয়ার ছেলে নার্সারী মালিক ও স্থানীয় আ.লীগ নেতা আনিছুর রহমান মিয়াকে ১৩ জুলাই বিকেলে হামলা করেন আড়পাড়া গ্রামের শমসের আলীর পক্ষের সোহেল ও লাল্টুসহ কিছু যুবক। মহিষাখোলা গ্রামের নিজ নার্সারীতে অবস্থানকালে আনিছুর রহমান হামলার শিকার হয়েছিলেন। ওই সময় তার নার্সারীর ম্যানেজার মহিষাখোলা গ্রামের মুনতাজ আলীও হামলার শিকার হয়েছিলেন। হামলাকারী মূলত মেহেরপুর জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল ও তার ভাই ধানখোলা ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুকে হামলা করতে এসেছিল। ওই হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আনিছুর রহমান মিয়া হামলার শিকার হয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়। হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে শুক্রবার বিকেলে হাড়িয়াদহ-মহিষাখোলা বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের আয়োজন করে হাড়িয়াদহ ও মহিষাখোলা গ্রামের মানুষ। বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মহিষাখোলা ও হাড়িয়াদহ গ্রামে শতাধিক মানুষ একটি মিছিল নিয়ে আড়পাড়া বাজারে অবস্থান নেয়। এ সময় মিছিলকারীদের সাথে আড়পাড়া গ্রামবাসীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ৪জন আহত হয়। আহতরা হলেন-মহিষাখোলা গ্রামের মৃত রবজেল মন্ডলের ছেলে মোক্তার আলী (৫৫) ও ঈমান মন্ডলের ছেলে গোলাম হোসেন (৫০)। এছাড়াও আড়পাড়া গ্রামের ২জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। উভয়পক্ষের আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়। মিছিলকারীরা আড়পাড়া বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের কয়েকটিদল তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান এলাকা শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।মহিষাখোলা গ্রামের আহত আনিছুর রহমান মিয়া জানান, আমাকে হামলার ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে হাড়িয়াদহ-মহিষাখোলা বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে এলাকাবাসি। পরে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল আড়পাড়া বাজারের দিকে গেলে, আড়পাড়ার গ্রামের জামায়াত নেতা শমসের আলী, সোহেল, লাল্টুর নেতৃত্বে তাদের পোষা সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা করে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটিদল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকার নিরাপত্তা যাতে বিঘিœত না হয়। সেজন্য হাড়িয়াদহ-মহিষাখোলা বাজার ও আড়পাড়া বাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।