ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বায়োগ্যাসে ঝুঁকছেন মেহেরপুরের খামারিরা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
  • / ৯২ বার পড়া হয়েছে

সেলিম রেজা, আমঝুপি:
মেহেরপুরে বায়োগ্যাসে ঝুঁকছেন খামারিরা। মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলায় প্রতি গ্রামেই খামারিরা গড়ে ২-৪টা গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের জন্য পালন করছেন। এতে গরু পুষ্টকরণে যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি গরুর গোবরকে কাজে লাগিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করে খামারির জ্বালানি খরচ (গ্যাস) বাঁচানোর সুযোগ রয়েছে।
আমঝুপি খামারি আমিরুল ইসলাম জানান, তাঁর গরু আছে ১৫টি। গরুর গোবর বাইরে ফেলে দিতে হয়। কিন্তু বায়োগ্যাস স্থাপন করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাগবে, এ জন্য বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। খরচটা একটু কমলে এবং সরকারি সহযোগিতা পেলে তারা এই বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে পারতেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অফিসার ডা. শারমিন আক্তার বলেন, মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলায় ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রকপ্লের অধীনে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তিন উপজেলায় দুটি করে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা, খামারিরা দিয়েছেন ৫ হাজার টাকা করে এবং প্রজেক্ট থেকে ভর্তুকি দিয়েছে ৫৫ হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, প্রত্যেক খামারি দুই থেকে চারটি গরু পালন করলে প্রতিদিন ২.০০ ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। যেটা ৪-৫ সদস্যের একটা পরিবারের জ্বালানির জন্য পর্যাপ্ত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বায়োগ্যাসে ঝুঁকছেন মেহেরপুরের খামারিরা!

আপলোড টাইম : ১০:১৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০

সেলিম রেজা, আমঝুপি:
মেহেরপুরে বায়োগ্যাসে ঝুঁকছেন খামারিরা। মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলায় প্রতি গ্রামেই খামারিরা গড়ে ২-৪টা গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের জন্য পালন করছেন। এতে গরু পুষ্টকরণে যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি গরুর গোবরকে কাজে লাগিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করে খামারির জ্বালানি খরচ (গ্যাস) বাঁচানোর সুযোগ রয়েছে।
আমঝুপি খামারি আমিরুল ইসলাম জানান, তাঁর গরু আছে ১৫টি। গরুর গোবর বাইরে ফেলে দিতে হয়। কিন্তু বায়োগ্যাস স্থাপন করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাগবে, এ জন্য বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। খরচটা একটু কমলে এবং সরকারি সহযোগিতা পেলে তারা এই বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে পারতেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অফিসার ডা. শারমিন আক্তার বলেন, মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলায় ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রকপ্লের অধীনে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তিন উপজেলায় দুটি করে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা, খামারিরা দিয়েছেন ৫ হাজার টাকা করে এবং প্রজেক্ট থেকে ভর্তুকি দিয়েছে ৫৫ হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, প্রত্যেক খামারি দুই থেকে চারটি গরু পালন করলে প্রতিদিন ২.০০ ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। যেটা ৪-৫ সদস্যের একটা পরিবারের জ্বালানির জন্য পর্যাপ্ত।