ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাবার ৬ বছর আগে ছেলের জন্ম!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
জীবননগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাত আলী। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে তাঁর বর্তমান বয়স ৪৪ বছর, আর তাঁর ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের বয়স ৫০ বছর। বাবার চেয়ে ছেলে ছয় বছরের বড়। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন জামাত আলী। প্রকৃত বয়স ৭০ বছর হলেও ভাতার কার্ড করাতে পারছেন না তিনি।
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য মতে, মো. জামাত আলীর জন্ম ১৯৭৭ সালের ৪ আগস্ট। অন্যদিকে তাঁর ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের জন্ম ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর। এ হিসেবে দেখা যায় বাবার ছয় বছর আগে ছেলের জন্ম হয়েছে। যদিও বাবা মো. জামাত আলীর প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৫১ সালের ৪ আগস্ট। এ হিসেবে তাঁর বয়স ৭০ বছর। অথচ আইডি কার্ডে ২৬ বছর কম করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মো. জামাত আলী বলেন, ‘আমার ভোটার আইডিতে জন্ম তারিখ অনুযায়ী ছেলের বয়সের থেকে ছয় বছর কম হয়ে গেছে। এছাড়া আমার প্রকৃত বয়স ৭০ বছর হলেও আইডি কার্ড অনুযায়ী বর্তমান বয়স মাত্র ৪৪ বছর। বয়স কম হওয়ার কারণে খুব সমস্যায় পড়েছি। এ আইডি কার্ড দিয়ে কোনো কাজ করতে পারছি না। বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আইডি কার্ডে ভুলের কারণে পদে পদে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, সংশোধনের জন্য জীবননগর নির্বাচন অফিসে গিয়েছি। তারা বলেছেন, সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সংশোধন করতে সময় লাগবে।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুলের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন মো. জামাত আলী। বয়স কম হওয়ার কারণে তার বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, ২০০৯ সালের আগে যারা ভোটার হয়েছেন, তাদের তথ্যগত ক্রটির জন্য সমস্যা হতে পারে। মো. জামাত আলী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন করেননি। সংশোধনের আবেদন করলে অবশ্যই সংশোধন করে দেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাবার ৬ বছর আগে ছেলের জন্ম!

আপলোড টাইম : ০৮:২৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১

সমীকরণ প্রতিবেদন:
জীবননগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাত আলী। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে তাঁর বর্তমান বয়স ৪৪ বছর, আর তাঁর ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের বয়স ৫০ বছর। বাবার চেয়ে ছেলে ছয় বছরের বড়। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন জামাত আলী। প্রকৃত বয়স ৭০ বছর হলেও ভাতার কার্ড করাতে পারছেন না তিনি।
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য মতে, মো. জামাত আলীর জন্ম ১৯৭৭ সালের ৪ আগস্ট। অন্যদিকে তাঁর ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের জন্ম ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর। এ হিসেবে দেখা যায় বাবার ছয় বছর আগে ছেলের জন্ম হয়েছে। যদিও বাবা মো. জামাত আলীর প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৫১ সালের ৪ আগস্ট। এ হিসেবে তাঁর বয়স ৭০ বছর। অথচ আইডি কার্ডে ২৬ বছর কম করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মো. জামাত আলী বলেন, ‘আমার ভোটার আইডিতে জন্ম তারিখ অনুযায়ী ছেলের বয়সের থেকে ছয় বছর কম হয়ে গেছে। এছাড়া আমার প্রকৃত বয়স ৭০ বছর হলেও আইডি কার্ড অনুযায়ী বর্তমান বয়স মাত্র ৪৪ বছর। বয়স কম হওয়ার কারণে খুব সমস্যায় পড়েছি। এ আইডি কার্ড দিয়ে কোনো কাজ করতে পারছি না। বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আইডি কার্ডে ভুলের কারণে পদে পদে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, সংশোধনের জন্য জীবননগর নির্বাচন অফিসে গিয়েছি। তারা বলেছেন, সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সংশোধন করতে সময় লাগবে।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুলের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন মো. জামাত আলী। বয়স কম হওয়ার কারণে তার বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, ২০০৯ সালের আগে যারা ভোটার হয়েছেন, তাদের তথ্যগত ক্রটির জন্য সমস্যা হতে পারে। মো. জামাত আলী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন করেননি। সংশোধনের আবেদন করলে অবশ্যই সংশোধন করে দেওয়া হবে।