ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাদামের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে হতাশ কৃষক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
  • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ:
জীবননগরে বাদাম চাষে বাম্পার ফলন হলেও আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকেরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাবপুর, মিনাজপুর, মোক্তারপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে মাঠজুড়ে সবুজের সমাহার হয়ে আছে বাদাম গাছে। খরচ-খরচা কম হওয়ায় এলাকার কৃষকেরা বাদাম চাষে রীতিমতো ঝুঁকে পড়েছেন। তবে জমিতে বাদামের ফলন বেশি হলেও বাদামের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এলাকার বাদামচাষিরা হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছেন।
প্রতাবপুর গ্রামের বাদামচাষি রমজান আলী বলেন, ‘আমি দুই বিঘা জমিতে বাদাম লাগিয়েছি। বিঘা প্রতি ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর বাদাম হয়েছে বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ মণ করে। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ বাদাম ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ার ফলে বাদামের গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। তাই ফলন কম হয়েছে। তা ছাড়া বাজার মূল্যে অনুযায়ী এ বছর খরচ-খরচা বাদ দিয়ে বাদাম চাষে লাভ করা দায় হয়ে পড়বে।’ একই কথা বলেন মোক্তারপুর গ্রামের হাসান আলী। তিনি জানান, ‘জমিতে খুব সুন্দর ফলন হলেও বাজার মূল্যে একেবারে কম। তাই সরকারিভাবে যদি বাদাম চাষে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আমাদের একটু সুবিধা হত। তা না হলে আগামীতে বাদাম চাষ করা খুব কষ্ট হয়ে যাবে।’
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, জীবননগর উপজেলায় এ বছর ৬৭ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশি। তবে এ বছর বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাদাম অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাদামের গোড়া পচে গেছে। তারপরও এ বছর বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ মণ করে বাদামের ফলন হয়েছে। বাজার মূল্যেটা একটু কম, যার জন্য কৃষকেরা একটু হতাশ। তবে কৃষি অফিস থেকে বাদামচাষিদের সব সময় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি বৃষ্টি না হত, তাহলে এ বছর বাদাম চাষে কৃষকেরা লাভবান হতেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাদামের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে হতাশ কৃষক

আপলোড টাইম : ০৯:০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০

মিঠুন মাহমুদ:
জীবননগরে বাদাম চাষে বাম্পার ফলন হলেও আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকেরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাবপুর, মিনাজপুর, মোক্তারপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে মাঠজুড়ে সবুজের সমাহার হয়ে আছে বাদাম গাছে। খরচ-খরচা কম হওয়ায় এলাকার কৃষকেরা বাদাম চাষে রীতিমতো ঝুঁকে পড়েছেন। তবে জমিতে বাদামের ফলন বেশি হলেও বাদামের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এলাকার বাদামচাষিরা হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছেন।
প্রতাবপুর গ্রামের বাদামচাষি রমজান আলী বলেন, ‘আমি দুই বিঘা জমিতে বাদাম লাগিয়েছি। বিঘা প্রতি ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর বাদাম হয়েছে বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ মণ করে। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ বাদাম ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ার ফলে বাদামের গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। তাই ফলন কম হয়েছে। তা ছাড়া বাজার মূল্যে অনুযায়ী এ বছর খরচ-খরচা বাদ দিয়ে বাদাম চাষে লাভ করা দায় হয়ে পড়বে।’ একই কথা বলেন মোক্তারপুর গ্রামের হাসান আলী। তিনি জানান, ‘জমিতে খুব সুন্দর ফলন হলেও বাজার মূল্যে একেবারে কম। তাই সরকারিভাবে যদি বাদাম চাষে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আমাদের একটু সুবিধা হত। তা না হলে আগামীতে বাদাম চাষ করা খুব কষ্ট হয়ে যাবে।’
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, জীবননগর উপজেলায় এ বছর ৬৭ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশি। তবে এ বছর বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাদাম অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাদামের গোড়া পচে গেছে। তারপরও এ বছর বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ মণ করে বাদামের ফলন হয়েছে। বাজার মূল্যেটা একটু কম, যার জন্য কৃষকেরা একটু হতাশ। তবে কৃষি অফিস থেকে বাদামচাষিদের সব সময় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি বৃষ্টি না হত, তাহলে এ বছর বাদাম চাষে কৃষকেরা লাভবান হতেন।