ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বাড়াদী ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় ডিসি জহিরুল ইসলাম

সমাজের সবচাইতে বড় ব্যাধি হচ্ছে বাল্যবিবাহ

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১২:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নে যৌন হয়রানি (ইভটিজিং), মাদক, বাল্যবিবাহ, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তবারক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তান যারা স্কুলে পড়ে, তারা স্কুল চলাকালে স্কুলে যায় কি না, যদি না যায়, তাহলে কোথায় যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। সন্ধ্যার পর তারা লেখাপড়া না করে চায়ের আড্ডায় অন্য কোথায় যাচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল না করলে তারা আস্তে আস্তে খারাপ পথে পা বাড়াবে। আজকাল প্রায়ই ইভটিজিংয়ের খবর পাওয়া যায়, এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তা নাহলে মেয়েরা যৌন হয়রানির শিকার হবে। আপনাদের এলাকায় যারা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বা মাদকসেবী আছে, তাদের তালিকা করে পুলিশকে জানান। প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন বা আমাকেও জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান সার্বিক সহায়তা প্রদান করলে ভালো হয়। সমাজের সবচাইতে বড় ব্যাধি হচ্ছে বাল্যবিবাহ। কারণ বাল্যবিবাহের কারণে একটা মেয়ের জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনারা যারা পিতা—মাতা, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, কোনো ক্রমেই মেয়ের ১৮ বছর না হলে বিয়ে দেবেন না। শুধু আইনের জন্য না, মেয়ের জীবন বাঁচাতে অন্তত সাবধান হয়ে যান। কাজীদের উদ্দেশ্যে বলছি, যদি আপনারা বাল্যবিয়ে দেন, তাহলে আপনাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ খুব আবেগপ্রবণ। যে কারণে এই অঞ্চলে আত্মহত্যা বেড়ে গেছে। সমাজের সকলকে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়াও জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে হবে। সে জন্য তাদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশিষ বসু, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বাড়াদী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, বাড়াদী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও নতিডাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি সংশ্লিষ্টদের সেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ ও সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বাড়াদী ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় ডিসি জহিরুল ইসলাম

সমাজের সবচাইতে বড় ব্যাধি হচ্ছে বাল্যবিবাহ

আপলোড টাইম : ১২:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নে যৌন হয়রানি (ইভটিজিং), মাদক, বাল্যবিবাহ, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তবারক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তান যারা স্কুলে পড়ে, তারা স্কুল চলাকালে স্কুলে যায় কি না, যদি না যায়, তাহলে কোথায় যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। সন্ধ্যার পর তারা লেখাপড়া না করে চায়ের আড্ডায় অন্য কোথায় যাচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল না করলে তারা আস্তে আস্তে খারাপ পথে পা বাড়াবে। আজকাল প্রায়ই ইভটিজিংয়ের খবর পাওয়া যায়, এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তা নাহলে মেয়েরা যৌন হয়রানির শিকার হবে। আপনাদের এলাকায় যারা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বা মাদকসেবী আছে, তাদের তালিকা করে পুলিশকে জানান। প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন বা আমাকেও জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান সার্বিক সহায়তা প্রদান করলে ভালো হয়। সমাজের সবচাইতে বড় ব্যাধি হচ্ছে বাল্যবিবাহ। কারণ বাল্যবিবাহের কারণে একটা মেয়ের জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনারা যারা পিতা—মাতা, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, কোনো ক্রমেই মেয়ের ১৮ বছর না হলে বিয়ে দেবেন না। শুধু আইনের জন্য না, মেয়ের জীবন বাঁচাতে অন্তত সাবধান হয়ে যান। কাজীদের উদ্দেশ্যে বলছি, যদি আপনারা বাল্যবিয়ে দেন, তাহলে আপনাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ খুব আবেগপ্রবণ। যে কারণে এই অঞ্চলে আত্মহত্যা বেড়ে গেছে। সমাজের সকলকে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়াও জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে হবে। সে জন্য তাদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশিষ বসু, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বাড়াদী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, বাড়াদী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও নতিডাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি সংশ্লিষ্টদের সেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ ও সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।