ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাঘের থাবায় ভারত বধ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২৩২ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ প্রতিবেদন:
ভারতের বিপক্ষে সাকিব-তামিম না থাকলেও বাংলাদেশের বিশ্বাস আটকে থাকেনি। টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নেমে টাইগার বোলাররা ভারতের নিঃশ্বাস চেপে ধরে। পরে ব্যাটে নেমে মুশফিক-সৌম্যর দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে। সাকিব-তামিম ছাড়াই দিল্লি জয় করেছে টাইগাররা। টি-২০ ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এক বাউন্ডারিতে ৭ রান কে প্রথম ওভারের শেষ বলে দিপক চাহারের শিকার হন লিটন দাস। দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন অভিষিক্ত ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং সৌম্য সরকার।  ধীরে ধীরে দুজনেই হাত খুলে মারতে থাকেন। জমে উঠে তাদের জুটি। কিন্তু জুটিতে ৪৬ রান আসতেই ২৮ বলে ২৬ রান করা নাঈম যুজবেন্দ্র চাহালের বলে শিখর ধাওয়ানের শিকার হন। পরে ধীরে খেলে ৩৫ বলে ৩৯ করে আউট হন সৌম্য সরকার। অভিষিক্ত ওপেনার নাঈম শেখ ২৮ বন্দ্রেুই চার ও এক ছয়ে ২৬ রান করে ফিরে যান। সৌম্য খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস।
এর আগে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে ভারত। প্রথম ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। শফিউল ইসলাম তার ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ভয়ংকর ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মাকে (৯)। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি রোহিত। এর আগে দুটি বাউন্ডারিও হজম করতে হয়েছে রোহিতের ব্যাট থেকে। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ১৬ রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় আঘাত হানেন তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তার বলে ১৫ রান করা লোকেশ রাহুলের ধরা পড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে।
শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে যোগ দিয়ে হাত খুলে মারতে থাকেন শ্রেয়স আইয়ার। মাত্র ১৩ বলে ২২ রান করা শ্রেয়সকে অভিষিক্ত নাঈমের তালবুন্দি করেন আমিনুল ইসলাম। মিড উইকেটের দিকে ঠেলে প্রথম রান দ্রুত নিয়েছিলেন ধাওয়ান। দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টাতেই গড়বড়। রান-আউট হয়ে ৪১ রানে থামেন এই বিপজ্জনক ওপেনার। ভারতের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন আফিফ হোসেন। ১৫তম ওভারের শেষ বলে অভিষিক্ত শিবম দুবেকে (১) নিজেই দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান এই তরুণ অল-রাউন্ডার।
এরপর আবারও লাইমলাইটে আসেন শফিউল। এই পেসারের বলে নাঈমের তালুবন্দি হন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ (২৭)। শেষ ওভারে ২ ছক্কা মেরে ভারতের রানটাকে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ এ নিয়ে যান ওয়াশিংটনন্থুন্দর। ২টি করে উইকেট নেন শফিউল আর আমিনুল। ১টি উইকেট নিয়েছেন ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দেওয়া আফিফ। এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয়েছে আলোচিত তরুণ বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ৬৭তম ক্রিকেটার তিনি। অন্যদিকে ভারতের ৮২তম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়ে গেল শিবম দুবের। ৬০ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন মুশফিক।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাঘের থাবায় ভারত বধ

আপলোড টাইম : ১০:১৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯
সমীকরণ প্রতিবেদন:
ভারতের বিপক্ষে সাকিব-তামিম না থাকলেও বাংলাদেশের বিশ্বাস আটকে থাকেনি। টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নেমে টাইগার বোলাররা ভারতের নিঃশ্বাস চেপে ধরে। পরে ব্যাটে নেমে মুশফিক-সৌম্যর দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে। সাকিব-তামিম ছাড়াই দিল্লি জয় করেছে টাইগাররা। টি-২০ ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এক বাউন্ডারিতে ৭ রান কে প্রথম ওভারের শেষ বলে দিপক চাহারের শিকার হন লিটন দাস। দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন অভিষিক্ত ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং সৌম্য সরকার।  ধীরে ধীরে দুজনেই হাত খুলে মারতে থাকেন। জমে উঠে তাদের জুটি। কিন্তু জুটিতে ৪৬ রান আসতেই ২৮ বলে ২৬ রান করা নাঈম যুজবেন্দ্র চাহালের বলে শিখর ধাওয়ানের শিকার হন। পরে ধীরে খেলে ৩৫ বলে ৩৯ করে আউট হন সৌম্য সরকার। অভিষিক্ত ওপেনার নাঈম শেখ ২৮ বন্দ্রেুই চার ও এক ছয়ে ২৬ রান করে ফিরে যান। সৌম্য খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস।
এর আগে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে ভারত। প্রথম ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। শফিউল ইসলাম তার ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ভয়ংকর ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মাকে (৯)। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি রোহিত। এর আগে দুটি বাউন্ডারিও হজম করতে হয়েছে রোহিতের ব্যাট থেকে। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ১৬ রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় আঘাত হানেন তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তার বলে ১৫ রান করা লোকেশ রাহুলের ধরা পড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে।
শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে যোগ দিয়ে হাত খুলে মারতে থাকেন শ্রেয়স আইয়ার। মাত্র ১৩ বলে ২২ রান করা শ্রেয়সকে অভিষিক্ত নাঈমের তালবুন্দি করেন আমিনুল ইসলাম। মিড উইকেটের দিকে ঠেলে প্রথম রান দ্রুত নিয়েছিলেন ধাওয়ান। দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টাতেই গড়বড়। রান-আউট হয়ে ৪১ রানে থামেন এই বিপজ্জনক ওপেনার। ভারতের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন আফিফ হোসেন। ১৫তম ওভারের শেষ বলে অভিষিক্ত শিবম দুবেকে (১) নিজেই দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান এই তরুণ অল-রাউন্ডার।
এরপর আবারও লাইমলাইটে আসেন শফিউল। এই পেসারের বলে নাঈমের তালুবন্দি হন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ (২৭)। শেষ ওভারে ২ ছক্কা মেরে ভারতের রানটাকে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ এ নিয়ে যান ওয়াশিংটনন্থুন্দর। ২টি করে উইকেট নেন শফিউল আর আমিনুল। ১টি উইকেট নিয়েছেন ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দেওয়া আফিফ। এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয়েছে আলোচিত তরুণ বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ৬৭তম ক্রিকেটার তিনি। অন্যদিকে ভারতের ৮২তম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়ে গেল শিবম দুবের। ৬০ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন মুশফিক।