ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাকপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণচেষ্টা, ফজা গ্রেপ্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:২০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচঁন্দ্র ইউনিয়নের নতুন ভাণ্ডারদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একই গ্রামের হায়াত আলীর ছেলে ফজা (১৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত ফজাকে আটক করে।

জানা যায়, প্রতিবেশি ফজা গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভুক্তভোগী বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিশোরীর পিতা-মাতা ধস্তাধস্তির শব্দে জেগে ওঠে মেয়ের ঘরে প্রবেশ করলে প্রতিবেশি ফজাতে ঘরের মধ্যে দেখতে পায়। এসময় ফজা ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সকাল ছয়টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর থানায় উপস্থিত হয়ে ফজার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

ভুক্তভোগী বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর মা ফরিদা পারভিন বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাতেও দুই বোন এক ঘরে ঘুমিয়েছিল। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে মেয়েদের ঘর থেকে ধস্তাধস্তি ও গোঙানির শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে আমার স্বামীকে ডেকে মেয়ের ঘরে গেলে প্রতিবেশি ফজাকে দেখতে পায়। এসময় আমরা কিছু বলার পূর্বেই সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমার স্বামী মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. খালিদ হাসান বলেন, ‘সকাল ছয়টার দিকে বাক প্রতিবন্ধি এক কিশোরীকে তার পিতা জরুরি বিভাগে আনেন। তিনি দাবি করেন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এসময় জরুরি বিভাগ থেকে ওই কিশোরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফজা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আসামীকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাকপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণচেষ্টা, ফজা গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০২:২০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচঁন্দ্র ইউনিয়নের নতুন ভাণ্ডারদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একই গ্রামের হায়াত আলীর ছেলে ফজা (১৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত ফজাকে আটক করে।

জানা যায়, প্রতিবেশি ফজা গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভুক্তভোগী বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিশোরীর পিতা-মাতা ধস্তাধস্তির শব্দে জেগে ওঠে মেয়ের ঘরে প্রবেশ করলে প্রতিবেশি ফজাতে ঘরের মধ্যে দেখতে পায়। এসময় ফজা ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সকাল ছয়টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর থানায় উপস্থিত হয়ে ফজার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

ভুক্তভোগী বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর মা ফরিদা পারভিন বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাতেও দুই বোন এক ঘরে ঘুমিয়েছিল। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে মেয়েদের ঘর থেকে ধস্তাধস্তি ও গোঙানির শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে আমার স্বামীকে ডেকে মেয়ের ঘরে গেলে প্রতিবেশি ফজাকে দেখতে পায়। এসময় আমরা কিছু বলার পূর্বেই সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমার স্বামী মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. খালিদ হাসান বলেন, ‘সকাল ছয়টার দিকে বাক প্রতিবন্ধি এক কিশোরীকে তার পিতা জরুরি বিভাগে আনেন। তিনি দাবি করেন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এসময় জরুরি বিভাগ থেকে ওই কিশোরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফজা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আসামীকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’