ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিষেধাজ্ঞার ৩য় দিন কর্মচঞ্চল দর্শনা শহর থমথমে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০
  • / ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞার ৩য় দিনে দর্শনার জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে নতুন কোনো বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি এবং কোনো ভারতীয় যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। নিষেধাজ্ঞার ৩য় দিনে জয়নগর চেকপোস্টেসহ কর্মচঞ্চল দর্শনা শহর ছিল কিছুটা থমথমে।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন অফিসার এসআই রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, গতকাল সোমবার দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবস্থানরত পাসপোর্টধারী ৪০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ফিরেছে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত ৫০ জন পাসপোর্টধারী ভারতীয় নাগরিক ভারতে ফিরেছে। তবে নিষেধাজ্ঞার পর গতকাল ভারতীয় কোনো নাগরিক বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেনি।
দর্শনার বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ছিল থমথমে অবস্থা। অল্পসংখ্যক কিছু যাত্রীর আনাগোনা থাকলেও দেড় শতাধিক দালাল কোনো কাজ না থাকায় বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন দালালের সঙ্গে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, ‘চেকপোস্টে দেশের ও দেশের বাইরের যাত্রীদের সমাগম না থাকায় আমাদের কোনো কাজ নেই। সকাল থেকে বসে থেকে কোনো উপার্জন না হওয়ায় অনেকেরই বাড়ি ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। আমাদের দিন কাটানোই যেন কষ্ট হয়ে পড়েছে।’
অপর দিকে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ হওয়ায় দর্শনার আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনটিও ছিল কর্মচঞ্চলহীন। দর্শনা হল্ট স্টেশনের অবস্থাও একই রকম। দর্শনা হল্ট স্টেশনে প্রতিদিন রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সাগরদাড়ী আন্তনগর ট্রেনে প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীর সমাগম ঘটে। কিন্তু গতকাল ট্রেনের আসনগুলো ছিল ফাঁকা, যাত্রীদের চাপও ছিল কম। স্টেশনে ট্রেনযাত্রীদের উপস্থিতি কম থাকায় প্রায় দেড় শ পাখিভ্যান ও অটোবাইক ছিল নীরবে দাঁড়িয়ে। যাত্রী না পেয়ে অনেকে দিশেহারা হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানা যায়।
অন্যদিকে, দর্শনার আবাসিক হোটেলগুলোও ছিল জনশূন্য। এ ছাড়া খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেরও ছিল থমথমে অবস্থা। সোনালী ব্যাংক দর্শনার ভ্রমণ কর শাখা ছিল ভিড়মুক্ত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিষেধাজ্ঞার ৩য় দিন কর্মচঞ্চল দর্শনা শহর থমথমে

আপলোড টাইম : ১০:১৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০

দর্শনা অফিস:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞার ৩য় দিনে দর্শনার জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে নতুন কোনো বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি এবং কোনো ভারতীয় যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। নিষেধাজ্ঞার ৩য় দিনে জয়নগর চেকপোস্টেসহ কর্মচঞ্চল দর্শনা শহর ছিল কিছুটা থমথমে।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন অফিসার এসআই রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, গতকাল সোমবার দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবস্থানরত পাসপোর্টধারী ৪০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ফিরেছে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত ৫০ জন পাসপোর্টধারী ভারতীয় নাগরিক ভারতে ফিরেছে। তবে নিষেধাজ্ঞার পর গতকাল ভারতীয় কোনো নাগরিক বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেনি।
দর্শনার বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ছিল থমথমে অবস্থা। অল্পসংখ্যক কিছু যাত্রীর আনাগোনা থাকলেও দেড় শতাধিক দালাল কোনো কাজ না থাকায় বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন দালালের সঙ্গে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, ‘চেকপোস্টে দেশের ও দেশের বাইরের যাত্রীদের সমাগম না থাকায় আমাদের কোনো কাজ নেই। সকাল থেকে বসে থেকে কোনো উপার্জন না হওয়ায় অনেকেরই বাড়ি ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। আমাদের দিন কাটানোই যেন কষ্ট হয়ে পড়েছে।’
অপর দিকে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ হওয়ায় দর্শনার আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনটিও ছিল কর্মচঞ্চলহীন। দর্শনা হল্ট স্টেশনের অবস্থাও একই রকম। দর্শনা হল্ট স্টেশনে প্রতিদিন রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সাগরদাড়ী আন্তনগর ট্রেনে প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীর সমাগম ঘটে। কিন্তু গতকাল ট্রেনের আসনগুলো ছিল ফাঁকা, যাত্রীদের চাপও ছিল কম। স্টেশনে ট্রেনযাত্রীদের উপস্থিতি কম থাকায় প্রায় দেড় শ পাখিভ্যান ও অটোবাইক ছিল নীরবে দাঁড়িয়ে। যাত্রী না পেয়ে অনেকে দিশেহারা হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানা যায়।
অন্যদিকে, দর্শনার আবাসিক হোটেলগুলোও ছিল জনশূন্য। এ ছাড়া খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেরও ছিল থমথমে অবস্থা। সোনালী ব্যাংক দর্শনার ভ্রমণ কর শাখা ছিল ভিড়মুক্ত।