ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

সত্যনারায়ণ মন্দিরের শতবর্ষ পূর্তিতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় শ্রী শ্রী সত্য নারায়ণ মন্দিরে মঙ্গল ঘট প্রতিষ্ঠা, শ্রীমদ্ ভগবত গীতা পাঠ ও জ্ঞান যজ্ঞ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মন্দিরের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে দেশ, জাতি ও মানুষের কল্যানার্থে ৭ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
মঙ্গল ঘট স্থাপন, মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্বলন এবং মঙ্গলাচরণান্তে শ্রীমদ্ ভগবত গীতা পাঠ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ভারতের বৃন্দাবনের পন্ডিত আচার্য্য শ্রী বল্লভজী মহারাজ। বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজশাহীস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সহকারী হাই কমিশনার শ্রী সঞ্জীব কুমার ভাটি। এ সময় প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরে শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ মন্দিরের সামনে থেকে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর শ্রী শ্রী সত্যনারায়ন মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শ্রী সঞ্জীব কুমার ভাটি তার এক বক্তব্যে বলেন, আমি চুয়াডাঙ্গা আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি এবং মন্দির দেখে খুশি হয়েছি। চুয়াডাঙ্গায় আমার আমার প্রথম আগমন, সে উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার মানুষ আমাকে যে সম্মান দেখালো তাতে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার মানুষ ভিসা সক্রান্ত কোনো বিষয়ে আমার কাছে গেলে আমি সেটা দ্রুত করে দেয়ার চেষ্টা করবো এবং প্রয়োজন হলে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের কাজ করার ব্যবস্থা করে দিবো। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ। সে কারণে আমরা সবাই মিলে মিশে কাজ করবো। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সম্মান প্রদর্শন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উপলক্ষে রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সবাইকে নিমন্ত্রণ জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী সত্যনারায়ন মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী শ্যামসুন্দর আগরওয়ালা, সাধারণ সম্পাদক উমা শঙ্কর আগরওয়ালাসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কিশোর কুমার আগরওয়ালা, পবিত্র কুমার আগরওয়ালা ও পিন্টু কুমার আগরওয়ালা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ

আপলোড টাইম : ১০:১৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

সত্যনারায়ণ মন্দিরের শতবর্ষ পূর্তিতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় শ্রী শ্রী সত্য নারায়ণ মন্দিরে মঙ্গল ঘট প্রতিষ্ঠা, শ্রীমদ্ ভগবত গীতা পাঠ ও জ্ঞান যজ্ঞ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মন্দিরের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে দেশ, জাতি ও মানুষের কল্যানার্থে ৭ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
মঙ্গল ঘট স্থাপন, মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্বলন এবং মঙ্গলাচরণান্তে শ্রীমদ্ ভগবত গীতা পাঠ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ভারতের বৃন্দাবনের পন্ডিত আচার্য্য শ্রী বল্লভজী মহারাজ। বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজশাহীস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সহকারী হাই কমিশনার শ্রী সঞ্জীব কুমার ভাটি। এ সময় প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরে শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ মন্দিরের সামনে থেকে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর শ্রী শ্রী সত্যনারায়ন মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শ্রী সঞ্জীব কুমার ভাটি তার এক বক্তব্যে বলেন, আমি চুয়াডাঙ্গা আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি এবং মন্দির দেখে খুশি হয়েছি। চুয়াডাঙ্গায় আমার আমার প্রথম আগমন, সে উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার মানুষ আমাকে যে সম্মান দেখালো তাতে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার মানুষ ভিসা সক্রান্ত কোনো বিষয়ে আমার কাছে গেলে আমি সেটা দ্রুত করে দেয়ার চেষ্টা করবো এবং প্রয়োজন হলে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের কাজ করার ব্যবস্থা করে দিবো। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ। সে কারণে আমরা সবাই মিলে মিশে কাজ করবো। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সম্মান প্রদর্শন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উপলক্ষে রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সবাইকে নিমন্ত্রণ জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী সত্যনারায়ন মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী শ্যামসুন্দর আগরওয়ালা, সাধারণ সম্পাদক উমা শঙ্কর আগরওয়ালাসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কিশোর কুমার আগরওয়ালা, পবিত্র কুমার আগরওয়ালা ও পিন্টু কুমার আগরওয়ালা।