ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগ নামক মন্দিরে শেখ হাসিনা পবিত্র মূর্তি তাই সম্মেলনে নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও দেশরতœ থাকলে সব সামলে নিবেন-শামীম হোসেন মিজি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৩:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৬
  • / ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দেশরতœ শেখ হাসিনাbcs
-শামীম হোসেন মিজি
সাধারণ সম্পাদক-ডুসাক
উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার। এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া অঞ্চলের নেতাকর্মীরা আসা শুরু করেছেন ও সম্মেলনের পূর্বেই ঘুরেঘুরে দেখছেন সম্মেলনের আয়োজন। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন এবং বাঙালী জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশও বটে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানে বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও গৌরবের ইতিহাস। এদেশের সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং বাঙালি জাতির আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এই রাজনৈতিক দলটি। প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ দলটির নেতৃত্বেই এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। আওয়ামী লীগের ইতিহাস ঘেঁটে থেকে জানা যায়, এদেশের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও তরুণ মুসলিম লীগ নেতাদের উদ্যোগে ১৯৪৯সালের ২৩-২৪ জুন পুরানো ঢাকার কেএম দাস লেনের বশির সাহেবের রোজগার্ডেনের বাসভবনে কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনকে ধর্ম নিরেপেক্ষ করতে ১৯৫৫সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি কেটে দেওয়া হয়। প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রথম কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক। অনেক চড়াই-উৎরায় এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ চলতে থাকে। আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের ভাষা হতে শুরু করলো যখন ১৯৬৬সালের জাতীয় সম্মেলনে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন নেতৃত্বে আসলেন। তিনি হয়ে উঠেন বাঙ্গালীর একচ্ছত্র নেতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। অনেক ইতিহাস তারপর ১৯৭৫সালের ১৫আগস্টে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুর্দিন নেমে আসে। দলের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯৮১সালে দায়িত্ব দেন। তারপর থেকে শেখ হাসিনার পথ চলা শুরু। গত ৩৫বছরে তিনি বদলে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ, বদলে দিয়েছেন বাংলাদেশ। তার যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপের জন্য আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন। আজ পর্যন্ত ২৭ টি ডক্টরেট ডিগ্রি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে বিভিন্ন কৃতিত্বপূর্ণ কাজের সম্মানস্বরূপ পেয়েছেন বহু আন্তর্জাতিক পুরুস্কার। যার যুগান্তকারী কিছু সিদ্ধান্তে ও কার্যক্রমে লৌহমানবী মারগারেট থ্যাচারকেও হার মানিয়েছে। পদ্মা সেতু, যুদ্ধ অপরাধীর বিচার , শিশু মৃত্যুর হার কমানো, জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তার সিদ্ধান্ত তাকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্ব নেতৃত্বের এক অন্যন্যা মঞ্চে। বাংলাদেশের মত ক্ষুদ্র দেশের দেশরতœ থেকে হয়েছেন বিশ্বরতœ। তিনি শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্যই অপরিহার্য নয় বরং বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বছরখানেক আগে দলীয় এক ফোরামে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগে কেউই অপরিহার্য নন। আস্থা শুধুই দেশেরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। অতি সম্প্রতি দলের মিটিং এ দেশরতœ হাসিনা বলেছিলেন আমি দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে চায়। কিন্তু তা আর হতে দিলো না দল ও সাধারণ জনগন। তার বিকল্প আওয়ামী লীগে নেই। এবারও তিনি হচ্ছেন সভানেত্রী তবে এবার কে হচ্ছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক? এ নিয়ে নেতা কর্মীদের মধ্য চরম উত্তেজনা, ইতিমধ্যে একটি গ্রুপ আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত, ত্যাগী, ক্লিন ইমেজের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পক্ষে। আরেক জনপ্রিয় নেতা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার তালিকায় আছেন। যেই আসুক তাতে দলের নেতাকর্মীদের উপর কোন প্রভাব পড়বে না বলে দলীয় নেতাকার্মিরা জানায়। কেননা মন্দিরকে পবিত্র জ্ঞ্যান করা হয় মন্দিরের পিলারের জন্য নয় বরং গর্ভগৃহে যে মূর্তি থাকে তার জন্য। আর দেবী দেখতেই সবাই মন্দিরে যায়, তার জন্যই মন্দিরকে পবিত্র জ্ঞ্যান করে সবাই। আর বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগ নামক মন্দিরে শেখ হাসিনা পবিত্র মূর্তি তাই সম্মেলনে নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও দেশরতœ থাকলে সব সামলে নিবেন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগ নামক মন্দিরে শেখ হাসিনা পবিত্র মূর্তি তাই সম্মেলনে নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও দেশরতœ থাকলে সব সামলে নিবেন-শামীম হোসেন মিজি

আপলোড টাইম : ০৭:৫৩:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৬

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দেশরতœ শেখ হাসিনাbcs
-শামীম হোসেন মিজি
সাধারণ সম্পাদক-ডুসাক
উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার। এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া অঞ্চলের নেতাকর্মীরা আসা শুরু করেছেন ও সম্মেলনের পূর্বেই ঘুরেঘুরে দেখছেন সম্মেলনের আয়োজন। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন এবং বাঙালী জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশও বটে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানে বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও গৌরবের ইতিহাস। এদেশের সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং বাঙালি জাতির আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এই রাজনৈতিক দলটি। প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ দলটির নেতৃত্বেই এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। আওয়ামী লীগের ইতিহাস ঘেঁটে থেকে জানা যায়, এদেশের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও তরুণ মুসলিম লীগ নেতাদের উদ্যোগে ১৯৪৯সালের ২৩-২৪ জুন পুরানো ঢাকার কেএম দাস লেনের বশির সাহেবের রোজগার্ডেনের বাসভবনে কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনকে ধর্ম নিরেপেক্ষ করতে ১৯৫৫সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি কেটে দেওয়া হয়। প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রথম কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক। অনেক চড়াই-উৎরায় এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ চলতে থাকে। আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের ভাষা হতে শুরু করলো যখন ১৯৬৬সালের জাতীয় সম্মেলনে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন নেতৃত্বে আসলেন। তিনি হয়ে উঠেন বাঙ্গালীর একচ্ছত্র নেতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। অনেক ইতিহাস তারপর ১৯৭৫সালের ১৫আগস্টে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুর্দিন নেমে আসে। দলের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯৮১সালে দায়িত্ব দেন। তারপর থেকে শেখ হাসিনার পথ চলা শুরু। গত ৩৫বছরে তিনি বদলে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ, বদলে দিয়েছেন বাংলাদেশ। তার যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপের জন্য আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন। আজ পর্যন্ত ২৭ টি ডক্টরেট ডিগ্রি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে বিভিন্ন কৃতিত্বপূর্ণ কাজের সম্মানস্বরূপ পেয়েছেন বহু আন্তর্জাতিক পুরুস্কার। যার যুগান্তকারী কিছু সিদ্ধান্তে ও কার্যক্রমে লৌহমানবী মারগারেট থ্যাচারকেও হার মানিয়েছে। পদ্মা সেতু, যুদ্ধ অপরাধীর বিচার , শিশু মৃত্যুর হার কমানো, জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তার সিদ্ধান্ত তাকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্ব নেতৃত্বের এক অন্যন্যা মঞ্চে। বাংলাদেশের মত ক্ষুদ্র দেশের দেশরতœ থেকে হয়েছেন বিশ্বরতœ। তিনি শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্যই অপরিহার্য নয় বরং বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বছরখানেক আগে দলীয় এক ফোরামে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগে কেউই অপরিহার্য নন। আস্থা শুধুই দেশেরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। অতি সম্প্রতি দলের মিটিং এ দেশরতœ হাসিনা বলেছিলেন আমি দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে চায়। কিন্তু তা আর হতে দিলো না দল ও সাধারণ জনগন। তার বিকল্প আওয়ামী লীগে নেই। এবারও তিনি হচ্ছেন সভানেত্রী তবে এবার কে হচ্ছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক? এ নিয়ে নেতা কর্মীদের মধ্য চরম উত্তেজনা, ইতিমধ্যে একটি গ্রুপ আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত, ত্যাগী, ক্লিন ইমেজের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পক্ষে। আরেক জনপ্রিয় নেতা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার তালিকায় আছেন। যেই আসুক তাতে দলের নেতাকর্মীদের উপর কোন প্রভাব পড়বে না বলে দলীয় নেতাকার্মিরা জানায়। কেননা মন্দিরকে পবিত্র জ্ঞ্যান করা হয় মন্দিরের পিলারের জন্য নয় বরং গর্ভগৃহে যে মূর্তি থাকে তার জন্য। আর দেবী দেখতেই সবাই মন্দিরে যায়, তার জন্যই মন্দিরকে পবিত্র জ্ঞ্যান করে সবাই। আর বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগ নামক মন্দিরে শেখ হাসিনা পবিত্র মূর্তি তাই সম্মেলনে নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও দেশরতœ থাকলে সব সামলে নিবেন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।