ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বলাৎকারের অভিযোগে থানায় মামলা : ক্ষিপ্ত জনতার ভয়ে লাল্টুর গা ঢাকা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ের বহুল আলোচিত গোলে লাল্টুর বিরুদ্ধে কিশোর হাফেজকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় গ্রামের সর্দ্দারপাড়ায় ১২ বছর বয়সী এক কিশোর হাফেজকে বলাৎকারের অভিযোগে অত্র এলাকার বহুল আলোচিত হাফিজুর ইসলাম লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোলে লাল্টুর অপকর্মের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা গোলে লাল্টুকে গণপিটুনি দেওয়ার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে। ক্ষিপ্ত জনতার ভয়ে গাঁঢাকা দিয়েছে লম্পট লাল্টু।
বলাৎকারের শিকার হাফেজ কিশোরের বড় ভাই রাসেল সময়ের সমীকরণকে জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় গ্রামের সর্দ্দারপাড়া/মাঠপাড়ার আয়ুব আলীর ছেলে বহুল আলোচিত লম্পট হাফিজুর রহমান লাল্টু (৩৮) ওরফে লাল্টু ঘুটে ওরফে গোলে লাল্টু তার ভাই ১২ বছর বয়সী কিশোর হাফেজকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের অনুপস্থিতিতে তার ভাই কিশোর হাফেজ ইমামতির দায়িত্ব পালন করে। প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর সকলে মসজিদ থেকে চলে গেলেও গোলে লাল্টু মসজিদেই বসে থাকে। তার ভাই নামাজ শেষে লাল্টুকে মসজিদ থেকে বের হবার কথা বললে সে বলে ‘আমার শরীরটা একটু খারাপ লাগছে; আমাকে বাড়ি দিয়ে আয়’। তার কথামত বাড়ি পৌছে দিতে গেলে ঘরে গিয়ে অসুস্থ্যতার ভান করে হাফেজ ছেলেটিকে হাত-পা টিপে দিতে বলে। এক পর্যায়ে টাকা পয়সা দেওয়ার কথা বলে বলাৎকার করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক তাকে বলাৎকার করে এবং এই কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় লম্পট গোলে লাল্টু। বাড়িতে অনুষ্ঠান চলায় কিবা প্রাণভয়ে বাড়ির কারো কাছে সেদিন আর ঘটনাটি জানায়নি ওই কিশোর হাফেজ। পরদিন সকালে বড় ভাইয়ের কাছে ঘটনাটি জানালে ভিকটিমের পিতা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লম্পট লাল্টু ওরফে ঘুটে লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে লম্পট লাল্টুকে গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হওয়ায় ততক্ষণে আত্মগোপণ করায় লম্পট লাল্টুকে খুজে পায়নি পুলিশ ও এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, হাফিজুর ইসলাম লাল্টু জেলা শহরে ঘুটে লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টু নামে পরিচিত। নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় বিশিষ্ট নেতা হিসেবে যাহির করতেও বেশ মুনশিয়ান। লম্পট লাল্টু স্কুলের বাউন্ডারি পার করতে না পারলেও কলেজে যাতায়াত করতো তার কুমতলব নিয়ে। হীনচরিত্র নিয়ে একবার সে কলেজ বাউন্ডারিতে গবর কুড়ানো এক গরিব পাগলির সাথে কুকাম করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। ওই সময় ঘটনাটি জানাজানি হলে বন্ধু মহলের সবাই তাকে লাল্টু ঘুটে নাম দেয়। সেই থেকেই সবাই তাকে ঘুটে লাল্টু নামেই ডাকে। বহু অপকর্মের মূলহোতা হাফিজুল ইসলাম লাল্টুর বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ আর জনতার হাতে গণপিটুনি নতুন কিছু নয় এমন ঘটনায় একাধিকবার জড়িত হলে এক ছেলেসহ সংসার ছাড়তে বাধ্য হয় তার স্ত্রী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বলাৎকারের অভিযোগে থানায় মামলা : ক্ষিপ্ত জনতার ভয়ে লাল্টুর গা ঢাকা

আপলোড টাইম : ১১:২৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ের বহুল আলোচিত গোলে লাল্টুর বিরুদ্ধে কিশোর হাফেজকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় গ্রামের সর্দ্দারপাড়ায় ১২ বছর বয়সী এক কিশোর হাফেজকে বলাৎকারের অভিযোগে অত্র এলাকার বহুল আলোচিত হাফিজুর ইসলাম লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোলে লাল্টুর অপকর্মের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা গোলে লাল্টুকে গণপিটুনি দেওয়ার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে। ক্ষিপ্ত জনতার ভয়ে গাঁঢাকা দিয়েছে লম্পট লাল্টু।
বলাৎকারের শিকার হাফেজ কিশোরের বড় ভাই রাসেল সময়ের সমীকরণকে জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় গ্রামের সর্দ্দারপাড়া/মাঠপাড়ার আয়ুব আলীর ছেলে বহুল আলোচিত লম্পট হাফিজুর রহমান লাল্টু (৩৮) ওরফে লাল্টু ঘুটে ওরফে গোলে লাল্টু তার ভাই ১২ বছর বয়সী কিশোর হাফেজকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের অনুপস্থিতিতে তার ভাই কিশোর হাফেজ ইমামতির দায়িত্ব পালন করে। প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর সকলে মসজিদ থেকে চলে গেলেও গোলে লাল্টু মসজিদেই বসে থাকে। তার ভাই নামাজ শেষে লাল্টুকে মসজিদ থেকে বের হবার কথা বললে সে বলে ‘আমার শরীরটা একটু খারাপ লাগছে; আমাকে বাড়ি দিয়ে আয়’। তার কথামত বাড়ি পৌছে দিতে গেলে ঘরে গিয়ে অসুস্থ্যতার ভান করে হাফেজ ছেলেটিকে হাত-পা টিপে দিতে বলে। এক পর্যায়ে টাকা পয়সা দেওয়ার কথা বলে বলাৎকার করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক তাকে বলাৎকার করে এবং এই কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় লম্পট গোলে লাল্টু। বাড়িতে অনুষ্ঠান চলায় কিবা প্রাণভয়ে বাড়ির কারো কাছে সেদিন আর ঘটনাটি জানায়নি ওই কিশোর হাফেজ। পরদিন সকালে বড় ভাইয়ের কাছে ঘটনাটি জানালে ভিকটিমের পিতা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লম্পট লাল্টু ওরফে ঘুটে লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে লম্পট লাল্টুকে গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হওয়ায় ততক্ষণে আত্মগোপণ করায় লম্পট লাল্টুকে খুজে পায়নি পুলিশ ও এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, হাফিজুর ইসলাম লাল্টু জেলা শহরে ঘুটে লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টু নামে পরিচিত। নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় বিশিষ্ট নেতা হিসেবে যাহির করতেও বেশ মুনশিয়ান। লম্পট লাল্টু স্কুলের বাউন্ডারি পার করতে না পারলেও কলেজে যাতায়াত করতো তার কুমতলব নিয়ে। হীনচরিত্র নিয়ে একবার সে কলেজ বাউন্ডারিতে গবর কুড়ানো এক গরিব পাগলির সাথে কুকাম করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। ওই সময় ঘটনাটি জানাজানি হলে বন্ধু মহলের সবাই তাকে লাল্টু ঘুটে নাম দেয়। সেই থেকেই সবাই তাকে ঘুটে লাল্টু নামেই ডাকে। বহু অপকর্মের মূলহোতা হাফিজুল ইসলাম লাল্টুর বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ আর জনতার হাতে গণপিটুনি নতুন কিছু নয় এমন ঘটনায় একাধিকবার জড়িত হলে এক ছেলেসহ সংসার ছাড়তে বাধ্য হয় তার স্ত্রী।