ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার আগে যেসব বিষয়ে ভাবতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে ফ্রিল্যান্সিং এখন আয়ের অন্যতম মাধ্যম। বিভিন্ন দেশে অনেকেই চাকরি না করে ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিংয়ে একদিকে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে তেমনি আয়ের পরিমাণও বেশ ভালো। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের স্থান ও সময়ের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না বলে অনেকেই এ পেশায় আসতে আগ্রহী। কিন্তু এ পেশায় আসার আগে এ ক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জগুলোও জেনে রাখা দরকার। এ পেশায় এলে একাকিত্ব, রাত জাগা নিত্যসঙ্গী হয়ে যায়। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক ফ্রিল্যান্সার মনে করেন, অনেক সময় ক্লায়েন্টের বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হয় বলে ফ্রিল্যান্সারকে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং কাজ সব সময় হাতে না–ও থাকতে পারে। কাজের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। ফলে যারা চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, তাদের জন্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ফ্রিল্যান্সিং পেশা আপনাকে একাকী করে দেবে। আপনার জীবনযাপন অন্যদের চেয়ে আলাদা হয়ে যাবে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে। একটানা রাতের বেলা জেগে কাজ করতে হবে। আপনার কাজে সহকর্মী না থাকায় নির্দিষ্ট সময় অফিসে যাওয়া লাগবে না। কাজের সময় তাই অফিসের পরিবেশ পাবেন না। তাত্ত্বিকভাবে এটা ভালো শোনালেও প্রকৃতপক্ষে আপনি একাকী হয়ে যাবেন। আপনার একাকিত্ব দূর করতে সাপোর্ট নেটওয়ার্ক থাকা দরকার। এতে দিনের বেলা বা অন্য সময় গল্প-গুজব বা আড্ডা দিতে পারেন। তা না হলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। এজন্য আপনাকে সবার সাথে সম্পর্ক রক্ষার বিষয়ে নজর দিতে হবে। আপনি যখন বড় কোম্পানিতে কাজ করেন, তখন অনেক জটিল অর্থনৈতিক বিষয় কোম্পানি ঠিক করে রাখে। বিশেষ করে বেতন ও ট্যাক্সের মতো বিষয়টি। যখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো স্বাধীন কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তখন নিজের অর্থ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। সঠিক সময়ে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার পাশাপাশি অর্থ জমানোর মতো বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেয়া দরকার। চাকরি শেষে যেমন পেনশনের সুবিধা থাকে, তেমনি নিজের কাজের শেষ বছরান্তে যাতে অর্থ গচ্ছিত থাকে, সে বিষয়টিতে ফ্রিল্যান্সারকে নজর দিতে হবে। আপনি যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অসুস্থ হলে চাকরিতে ছুটি পাওয়া যায়। আপনার কাজের জন্য অসুস্থতাজনিত বিরতি বা বছর শেষে বেড়ানোর মতো সময় রাখবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করলে তবে অর্থ পাবেন। যদি কাজ না করেন, তবে সে সময়গুলোতে আপনার অর্থ আসবে না। তাই ফ্রিল্যান্সিং বা স্ব–উদ্যোগে কাজ করার আগে থেকে অর্থ জমানোর অভ্যাস করা জরুরি। আপনার অনেক সময় কাজ শুরু করার সময় হাতে অর্থ না–ও থাকতে পারে। কোন মাসে কত আয় করবেন, তারও কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না। কোনো মাসে অনেক আয় আসতে পারে, আবার কোনো মাস একেবারে শূন্য যেতে পারে। তাই আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য রাখা অবশ্যই উচিত। এ ছাড়া নিজের জন্য ছুটি রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। আপনারা যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বেশ কঠিন। কাজ পাওয়া এখন অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যারা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও যাদের অনেক কাজদাতা প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের সুবিধাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং দক্ষ ব্যক্তিদের প্রতিযোগিতার জায়গা। এ ক্ষেত্রে সীমিত দক্ষতা নিয়ে টিকে থাকা কঠিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার আগে যেসব বিষয়ে ভাবতে হবে

আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে ফ্রিল্যান্সিং এখন আয়ের অন্যতম মাধ্যম। বিভিন্ন দেশে অনেকেই চাকরি না করে ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিংয়ে একদিকে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে তেমনি আয়ের পরিমাণও বেশ ভালো। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের স্থান ও সময়ের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না বলে অনেকেই এ পেশায় আসতে আগ্রহী। কিন্তু এ পেশায় আসার আগে এ ক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জগুলোও জেনে রাখা দরকার। এ পেশায় এলে একাকিত্ব, রাত জাগা নিত্যসঙ্গী হয়ে যায়। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক ফ্রিল্যান্সার মনে করেন, অনেক সময় ক্লায়েন্টের বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হয় বলে ফ্রিল্যান্সারকে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং কাজ সব সময় হাতে না–ও থাকতে পারে। কাজের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। ফলে যারা চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, তাদের জন্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ফ্রিল্যান্সিং পেশা আপনাকে একাকী করে দেবে। আপনার জীবনযাপন অন্যদের চেয়ে আলাদা হয়ে যাবে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে। একটানা রাতের বেলা জেগে কাজ করতে হবে। আপনার কাজে সহকর্মী না থাকায় নির্দিষ্ট সময় অফিসে যাওয়া লাগবে না। কাজের সময় তাই অফিসের পরিবেশ পাবেন না। তাত্ত্বিকভাবে এটা ভালো শোনালেও প্রকৃতপক্ষে আপনি একাকী হয়ে যাবেন। আপনার একাকিত্ব দূর করতে সাপোর্ট নেটওয়ার্ক থাকা দরকার। এতে দিনের বেলা বা অন্য সময় গল্প-গুজব বা আড্ডা দিতে পারেন। তা না হলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। এজন্য আপনাকে সবার সাথে সম্পর্ক রক্ষার বিষয়ে নজর দিতে হবে। আপনি যখন বড় কোম্পানিতে কাজ করেন, তখন অনেক জটিল অর্থনৈতিক বিষয় কোম্পানি ঠিক করে রাখে। বিশেষ করে বেতন ও ট্যাক্সের মতো বিষয়টি। যখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো স্বাধীন কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তখন নিজের অর্থ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। সঠিক সময়ে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার পাশাপাশি অর্থ জমানোর মতো বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেয়া দরকার। চাকরি শেষে যেমন পেনশনের সুবিধা থাকে, তেমনি নিজের কাজের শেষ বছরান্তে যাতে অর্থ গচ্ছিত থাকে, সে বিষয়টিতে ফ্রিল্যান্সারকে নজর দিতে হবে। আপনি যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অসুস্থ হলে চাকরিতে ছুটি পাওয়া যায়। আপনার কাজের জন্য অসুস্থতাজনিত বিরতি বা বছর শেষে বেড়ানোর মতো সময় রাখবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করলে তবে অর্থ পাবেন। যদি কাজ না করেন, তবে সে সময়গুলোতে আপনার অর্থ আসবে না। তাই ফ্রিল্যান্সিং বা স্ব–উদ্যোগে কাজ করার আগে থেকে অর্থ জমানোর অভ্যাস করা জরুরি। আপনার অনেক সময় কাজ শুরু করার সময় হাতে অর্থ না–ও থাকতে পারে। কোন মাসে কত আয় করবেন, তারও কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না। কোনো মাসে অনেক আয় আসতে পারে, আবার কোনো মাস একেবারে শূন্য যেতে পারে। তাই আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য রাখা অবশ্যই উচিত। এ ছাড়া নিজের জন্য ছুটি রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। আপনারা যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বেশ কঠিন। কাজ পাওয়া এখন অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যারা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও যাদের অনেক কাজদাতা প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের সুবিধাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং দক্ষ ব্যক্তিদের প্রতিযোগিতার জায়গা। এ ক্ষেত্রে সীমিত দক্ষতা নিয়ে টিকে থাকা কঠিন।