ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্সের আঞ্চলিক নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর দলের ভরাডুবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব প্রতিবেদন:
ফ্রান্সের আঞ্চলিক নির্বাচনের ফাইনাল রাউন্ডে ইসলাম বিদ্বেষী মেরি লা পেনের ন্যাশনাল পার্টি (আরএন) কোথাও বিজয়ী হতে পারেনি। এমনকি এ নির্বাচনে খারাপ ফলাফল করেছে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দলও। ফ্রান্সের স্থানীয় দৈনিকসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের এই আঞ্চলিক নির্বাচনে বিস্ময়কর উত্থান ঘটেছে মধ্য-ডানপন্থি রিপাবলিকান ও সোশ্যালিস্ট পার্টির। নির্বাচনে ১৩টি অঞ্চলের মধ্য-ডানপন্থি দল সাতটি অঞ্চলে বিজয়ী হয়েছে। স্থানীয় সময় গত রোববার অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নির্বাচনে ইতিহাসের সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। বৈধ ভোটারদের মধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগেরও কম মানুষ ভোট দিয়েছেন। আগামী বছর এপ্রিলে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় এই নির্বাচনের ফলকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। গত সপ্তাহের প্রথম দফা আঞ্চলিক নির্বাচনে খুব খারাপ ফলাফল করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি এলআরইএম পার্টি। এবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও কোনো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এদিকে, নির্বাচনে প্রথমবার আল্পস কোটে ডি’আজুর প্রদেশে বিজয় অর্জন করবেন বলে আশা করেছিলেন কট্টরপন্থি মেরি লা পেন। কিন্তু ভোটের ফল তার আশায় বড় ধরনের আঘাত করেছে। মেরি লা পেন আশা করেছিলেন, ওই প্রদেশে তিনি বিজয়ী হলে ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার বিজয়ী হওয়ার আশা আরও সমৃদ্ধ হবে। কিন্তু ওই প্রদেশে আরএনের প্রার্থী থিয়েরি মারিয়ানি হেরে গেছেন রিপাবলিকান রিনাউদ মুসেলিয়েরের কাছে। এ জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের দায়ী করেছেন মেরি লা পেন। তিনি বলেছেন, তাকে ও তার দলকে ক্ষমতায় যাওয়া আটকাতে বিরোধীরা অস্বাভাবিক এক জোট গঠন করে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি মুসলমান বসবাস করেন। দেশটির ছয় কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৫০ লাখের বেশি মুসলমান। অথচ দেশটিতে মুসলমানদের ওপর সীমাবদ্ধতা ও কড়াকড়ি আরোপ করে সবচেয়ে বেশি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করছে, ফ্রান্সের প্রণয়ন করা ইসলাম-বিদ্বেষী আইন এবং প্যারিস সরকারের মুসলিম বিরোধী আচরণ ইউরোপ জুড়ে ইসলাম-বিদ্বেষী চিন্তাধারা ছড়িয়ে পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান, দ্য কানেকশন

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ফ্রান্সের আঞ্চলিক নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর দলের ভরাডুবি

আপলোড টাইম : ০৮:৩৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১

বিশ্ব প্রতিবেদন:
ফ্রান্সের আঞ্চলিক নির্বাচনের ফাইনাল রাউন্ডে ইসলাম বিদ্বেষী মেরি লা পেনের ন্যাশনাল পার্টি (আরএন) কোথাও বিজয়ী হতে পারেনি। এমনকি এ নির্বাচনে খারাপ ফলাফল করেছে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দলও। ফ্রান্সের স্থানীয় দৈনিকসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের এই আঞ্চলিক নির্বাচনে বিস্ময়কর উত্থান ঘটেছে মধ্য-ডানপন্থি রিপাবলিকান ও সোশ্যালিস্ট পার্টির। নির্বাচনে ১৩টি অঞ্চলের মধ্য-ডানপন্থি দল সাতটি অঞ্চলে বিজয়ী হয়েছে। স্থানীয় সময় গত রোববার অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নির্বাচনে ইতিহাসের সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। বৈধ ভোটারদের মধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগেরও কম মানুষ ভোট দিয়েছেন। আগামী বছর এপ্রিলে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় এই নির্বাচনের ফলকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। গত সপ্তাহের প্রথম দফা আঞ্চলিক নির্বাচনে খুব খারাপ ফলাফল করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি এলআরইএম পার্টি। এবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও কোনো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এদিকে, নির্বাচনে প্রথমবার আল্পস কোটে ডি’আজুর প্রদেশে বিজয় অর্জন করবেন বলে আশা করেছিলেন কট্টরপন্থি মেরি লা পেন। কিন্তু ভোটের ফল তার আশায় বড় ধরনের আঘাত করেছে। মেরি লা পেন আশা করেছিলেন, ওই প্রদেশে তিনি বিজয়ী হলে ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার বিজয়ী হওয়ার আশা আরও সমৃদ্ধ হবে। কিন্তু ওই প্রদেশে আরএনের প্রার্থী থিয়েরি মারিয়ানি হেরে গেছেন রিপাবলিকান রিনাউদ মুসেলিয়েরের কাছে। এ জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের দায়ী করেছেন মেরি লা পেন। তিনি বলেছেন, তাকে ও তার দলকে ক্ষমতায় যাওয়া আটকাতে বিরোধীরা অস্বাভাবিক এক জোট গঠন করে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি মুসলমান বসবাস করেন। দেশটির ছয় কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৫০ লাখের বেশি মুসলমান। অথচ দেশটিতে মুসলমানদের ওপর সীমাবদ্ধতা ও কড়াকড়ি আরোপ করে সবচেয়ে বেশি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করছে, ফ্রান্সের প্রণয়ন করা ইসলাম-বিদ্বেষী আইন এবং প্যারিস সরকারের মুসলিম বিরোধী আচরণ ইউরোপ জুড়ে ইসলাম-বিদ্বেষী চিন্তাধারা ছড়িয়ে পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান, দ্য কানেকশন