ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফেনসিডিল, গাঁজাসহ ৮ মাদক ব্যবসায়ী আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২০৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলার পৃথক পৃথক স্থানে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট পৃথক অভিযান চালিয়ে আট মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া এসব মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫৩০ বোতল ফেনসিডিল ও ১ কেজি ১ শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে পৃথক মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতে তাঁদের সোপর্দ করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট নবাব আলী ফোর্স নিয়ে আলমডাঙ্গা সড়কের হাজরাহাটি মোড় এলাকায় নিয়মিত গাড়ির কাগজপত্র দেখছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির একটি খোয়াভাঙ্গা গাড়ি আসতে দেখে গাড়িটিকে গতিরোধ করার চেষ্টা করেন। ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা তাঁদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় গাড়িতে থাকা দর্শনা শ্যামপুর গ্রামের আশিক নামের একজন পলিয়ে গেলেও একই এলাকার মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির (২০) ও আবু সিদ্দিকের ছেলে মামুন (২৫) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। পরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের তল্লাশি করে তাঁদের কাছ থেকে প্লাস্টিক কাগজসহ স্কসটেপে বিশেষ কায়দায় মোড়ানো ২৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা স্বীকার করেছেন দর্শনা পারকৃষ্ণপুর-মদনা গ্রামের আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ওবাইদুলের কাছ থেকে তাঁরা এ ফেনসিডিল সংগ্রহ করেছিলেন। পরে সদর থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আসামিদের সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্ট নবাব আলী বাদী হয়ে ফেনসিডিলের মালিক ওবাইদুল ও পলাতক আসামি আশিকসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন।


অপর দিকে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম আলী ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে আকন্দবাড়ীয়া মোড় যাত্রী ছাউনির সামনে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে জীবননগর উপজেলার মৃগমারী গ্রামের বসতিপাড়ার সাত্তার আলীর ছেলে মনিরুল (২৫) ও একই এলাকার মৃত মুনছুর আলীর ছেলে মিনারুল (২৬) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের কাছ থেকে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে এসআই ইব্রাহীম আলী গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জীবননগর থানা পুলিশের এসআই সিরাজুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে ২৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সুবলপুর গ্রামের সামসুল হকের ছেলে রাসেদুল (৩২) ও মেদিনীপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল (২২)। পরে আটক আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে উদ্ধার হওয়া মাদকসহ আসামিদের জীবননগর থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়।
এ ছাড়াও সদর থানা পুলিশের এসআই লিয়াকত আলী ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসাদ ফোর্স নিয়ে পৌর এলাকার সাতগাড়ী মোড়ে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে হকপাড়ার তক্কেল ম-লের ছেলে কুদ্দুস (৩৫) ও একই এলাকার আবু বারেকেরে ছেলে ইয়ারুল ইসলাম (৪০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে ১ শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে পৃথক মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতে তাঁদের সোপর্দ করে। এ সব আসামিদের মধ্যে কয়েকজনকে গতকালই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের আজ আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ফেনসিডিল, গাঁজাসহ ৮ মাদক ব্যবসায়ী আটক

আপলোড টাইম : ১০:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

চুয়াডাঙ্গা জেলার পৃথক পৃথক স্থানে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট পৃথক অভিযান চালিয়ে আট মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া এসব মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫৩০ বোতল ফেনসিডিল ও ১ কেজি ১ শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে পৃথক মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতে তাঁদের সোপর্দ করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট নবাব আলী ফোর্স নিয়ে আলমডাঙ্গা সড়কের হাজরাহাটি মোড় এলাকায় নিয়মিত গাড়ির কাগজপত্র দেখছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির একটি খোয়াভাঙ্গা গাড়ি আসতে দেখে গাড়িটিকে গতিরোধ করার চেষ্টা করেন। ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা তাঁদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় গাড়িতে থাকা দর্শনা শ্যামপুর গ্রামের আশিক নামের একজন পলিয়ে গেলেও একই এলাকার মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির (২০) ও আবু সিদ্দিকের ছেলে মামুন (২৫) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। পরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের তল্লাশি করে তাঁদের কাছ থেকে প্লাস্টিক কাগজসহ স্কসটেপে বিশেষ কায়দায় মোড়ানো ২৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা স্বীকার করেছেন দর্শনা পারকৃষ্ণপুর-মদনা গ্রামের আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ওবাইদুলের কাছ থেকে তাঁরা এ ফেনসিডিল সংগ্রহ করেছিলেন। পরে সদর থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আসামিদের সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্ট নবাব আলী বাদী হয়ে ফেনসিডিলের মালিক ওবাইদুল ও পলাতক আসামি আশিকসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন।


অপর দিকে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম আলী ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে আকন্দবাড়ীয়া মোড় যাত্রী ছাউনির সামনে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে জীবননগর উপজেলার মৃগমারী গ্রামের বসতিপাড়ার সাত্তার আলীর ছেলে মনিরুল (২৫) ও একই এলাকার মৃত মুনছুর আলীর ছেলে মিনারুল (২৬) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের কাছ থেকে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে এসআই ইব্রাহীম আলী গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জীবননগর থানা পুলিশের এসআই সিরাজুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে ২৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সুবলপুর গ্রামের সামসুল হকের ছেলে রাসেদুল (৩২) ও মেদিনীপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল (২২)। পরে আটক আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে উদ্ধার হওয়া মাদকসহ আসামিদের জীবননগর থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়।
এ ছাড়াও সদর থানা পুলিশের এসআই লিয়াকত আলী ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসাদ ফোর্স নিয়ে পৌর এলাকার সাতগাড়ী মোড়ে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে হকপাড়ার তক্কেল ম-লের ছেলে কুদ্দুস (৩৫) ও একই এলাকার আবু বারেকেরে ছেলে ইয়ারুল ইসলাম (৪০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে ১ শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে পৃথক মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতে তাঁদের সোপর্দ করে। এ সব আসামিদের মধ্যে কয়েকজনকে গতকালই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের আজ আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।