ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মরত জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ক্লিনিকে আসেন না ! ঔষধ দেন না রোগীদের!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ২৮৮ বার পড়া হয়েছে

wdffa

কার্পাসডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে অবস্থিত ফুলবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সদাবরী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মরত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে যেন অভিযোগের অন্ত নেই। তিনি নাকি ঠিকমত ক্লিনিকে আসেন না, রোগীদের ঔষধ দেন না। এছাড়া নানা অযুহাতে অফিস ফাঁকি দিয়ে পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। জাহাঙ্গীর আলমের হাবভাব দেখে অনেকে তাকে হেলথের বড় বাবু মনে করেন। তিনি নাকি খুবই প্রভাবশালী। তার সে পরিচয়ও মিললো গতকাল সরেজমিনে ফুলবাড়ী কমিনিটি ক্লিনিকে গিয়ে। দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে গিয়ে দেখা গেল কমিনিটি ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ। জাহাঙ্গীর আলম নেই। তার মোবাইল নাম্বার ম্যানেজ করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ক্লিনিক বন্ধ কেন? এবং তিনি কোথায় অবস্থান করছেন জানতে চাইলে তিনি দাম্ভিকতার সুরে বললেন আমি এখন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অফিসিয়াল কাজে এসেছি। তবে পরক্ষনে জানালেন তিনি ঃ য ধ এর কাছে ছুটি নিয়েছেন। ছুটি নিয়ে আবার কেউ অফিসিয়াল কাজে চুয়াডাঙ্গায় যায় কিনা তা আমাদের বোধগম্য নই। তিনি নাকি মাসিক মিটিংও করেননা। সভাপতিকেও ডাকেন না মাসিক মিটিংয়ে। অথচ রেজুলেশনে সভাপতির ঠিকই সহি যায়। এ কোন অদৃশ্য ক্ষমতা সভাপতি জানেননা অথচ তার স্বাক্ষর। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বললে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তিনি নাকি নিয়মিত অফিস করেন। আরও বলেন যা ঔষধ সাপ¬াই আসে তাই তো বিতরণ করবো। নিয়মিত মিটিং হয় জানিয়ে তিনি বলেন বর্তমান কমিটির সভাপতি নাকি মাস খানেক আগে সভাপতি হয়েছেন। তার আগে আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি সভাপতি ছিল। তবে কমিউনিটি ক্লিনিকের বর্তমান সভাপতি আ: হাকিম মেম্বর বললেন ভিন্ন কথা তিনি জানান তিনি প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস যাবৎ কমিটির সভাপতি তবে তাকে কোন মিটিংয়ে ডাকা হয়না। এমনকি তিনি কোনদিন আজ পর্যন্ত সভাপতি হিসাবে একদিনও অফিসে কোন মিটিংয়ে আসেননি তাকে ডাকা হয়নি। কেবলমাত্র একদিন রাস্তায় দাড় করিয়ে জাহাঙ্গীর আলম তাকে বলেন আপনার রেজুলেশনে একটি সহি দরকার বলে একদিন একটি সহি করে নেন। তিনি আরো জানান গ্রামের অনেকে তাঁর কাছে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অভিযোগ করে। তিনি নাকি ঠিকমত অফিস করেন না ঔষধ দেননা এমনও অভিযোগ তিনি শুনেছেন বলে জানান। সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ এই যদি হয় খোদ সভাপতির কথা তবে আপনারা চিন্তা করুন ক্লিনিকে কি সেবা পাওয়া যায়। সরকারের একটি মহতি উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিক কিন্তু জাহাঙ্গীর আলমের মত কিছু কর্মকর্তার কারনে তার সুফল পাচ্ছেনা সাধারন মানুষ। সরকারী বেতন নিয়ে যারা ডিউটি ফাঁকি দেয় তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে অনত্র বদলীরও দাবী জানান সচেতন মহলসহ এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ফুলবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মরত জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ক্লিনিকে আসেন না ! ঔষধ দেন না রোগীদের!

আপলোড টাইম : ১১:৩০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৭

wdffa

কার্পাসডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে অবস্থিত ফুলবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সদাবরী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মরত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে যেন অভিযোগের অন্ত নেই। তিনি নাকি ঠিকমত ক্লিনিকে আসেন না, রোগীদের ঔষধ দেন না। এছাড়া নানা অযুহাতে অফিস ফাঁকি দিয়ে পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। জাহাঙ্গীর আলমের হাবভাব দেখে অনেকে তাকে হেলথের বড় বাবু মনে করেন। তিনি নাকি খুবই প্রভাবশালী। তার সে পরিচয়ও মিললো গতকাল সরেজমিনে ফুলবাড়ী কমিনিটি ক্লিনিকে গিয়ে। দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে গিয়ে দেখা গেল কমিনিটি ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ। জাহাঙ্গীর আলম নেই। তার মোবাইল নাম্বার ম্যানেজ করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ক্লিনিক বন্ধ কেন? এবং তিনি কোথায় অবস্থান করছেন জানতে চাইলে তিনি দাম্ভিকতার সুরে বললেন আমি এখন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অফিসিয়াল কাজে এসেছি। তবে পরক্ষনে জানালেন তিনি ঃ য ধ এর কাছে ছুটি নিয়েছেন। ছুটি নিয়ে আবার কেউ অফিসিয়াল কাজে চুয়াডাঙ্গায় যায় কিনা তা আমাদের বোধগম্য নই। তিনি নাকি মাসিক মিটিংও করেননা। সভাপতিকেও ডাকেন না মাসিক মিটিংয়ে। অথচ রেজুলেশনে সভাপতির ঠিকই সহি যায়। এ কোন অদৃশ্য ক্ষমতা সভাপতি জানেননা অথচ তার স্বাক্ষর। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বললে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তিনি নাকি নিয়মিত অফিস করেন। আরও বলেন যা ঔষধ সাপ¬াই আসে তাই তো বিতরণ করবো। নিয়মিত মিটিং হয় জানিয়ে তিনি বলেন বর্তমান কমিটির সভাপতি নাকি মাস খানেক আগে সভাপতি হয়েছেন। তার আগে আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি সভাপতি ছিল। তবে কমিউনিটি ক্লিনিকের বর্তমান সভাপতি আ: হাকিম মেম্বর বললেন ভিন্ন কথা তিনি জানান তিনি প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস যাবৎ কমিটির সভাপতি তবে তাকে কোন মিটিংয়ে ডাকা হয়না। এমনকি তিনি কোনদিন আজ পর্যন্ত সভাপতি হিসাবে একদিনও অফিসে কোন মিটিংয়ে আসেননি তাকে ডাকা হয়নি। কেবলমাত্র একদিন রাস্তায় দাড় করিয়ে জাহাঙ্গীর আলম তাকে বলেন আপনার রেজুলেশনে একটি সহি দরকার বলে একদিন একটি সহি করে নেন। তিনি আরো জানান গ্রামের অনেকে তাঁর কাছে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অভিযোগ করে। তিনি নাকি ঠিকমত অফিস করেন না ঔষধ দেননা এমনও অভিযোগ তিনি শুনেছেন বলে জানান। সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ এই যদি হয় খোদ সভাপতির কথা তবে আপনারা চিন্তা করুন ক্লিনিকে কি সেবা পাওয়া যায়। সরকারের একটি মহতি উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিক কিন্তু জাহাঙ্গীর আলমের মত কিছু কর্মকর্তার কারনে তার সুফল পাচ্ছেনা সাধারন মানুষ। সরকারী বেতন নিয়ে যারা ডিউটি ফাঁকি দেয় তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে অনত্র বদলীরও দাবী জানান সচেতন মহলসহ এলাকাবাসী।