ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রায় এক ঘন্টার মাথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণ : আগুনের কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৭:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭
  • / ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুন লাগার ঘণ্টাখানেক পর তা নিভেছে, পুড়ে গেছে ১৪ তলার একটি কক্ষের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে ভবনের ১৪ তলার ওই কক্ষে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ৩৪ মিনিটে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান।বাংলাদেশে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩০ তলা ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়নি।ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র (মহাব্যবস্থাপক) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি’। আগুন নেভার ঘণ্টাখানেক পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহমদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ১৪ তলার দক্ষিণপূর্ব কোণের ওই কক্ষের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুড়েছে।‘কোনো কম্পিউটার সার্ভারে আগুন লাগেনি। তবে কিছু ফাইলপত্র পুড়ে গেছে।’ কীভাবে আগুনের সূত্রপাত সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।আলী আহমদ বলেন, যে কক্ষ পুড়েছে সেখানে একটি ইউপিএস ছিল। ওইটা থেকে আগুন লাগতে পারে।আগুনের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।আগুনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো নথি পুড়েছে কি না জানতে চাইলে ফায়ার ব্রিগেডের ডিজি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা তা খতিয়ে দেখছেন।” আগুন লাগার খবর পেয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও গভর্নর ফজলে কবির দ্রæত বাংলাদেশ ব্যাংকে ছুটে যান। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে অর্থমন্ত্রী চলে গেলেও রাত ১২টায়ও কর্মকর্তাদের নিয়ে গভর্নর ব্যাংক ভবনে অবস্থান করছিলেন বলে আলী আহমেদ জানান। রাত পৌনে ১২টার দিকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নানও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢোকেন। এর আধা ঘণ্টার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামাল নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে ২৮ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। অগ্নিকাÐের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন যুগ্ম পরিচালক জানান, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ১৩ ও ১৪ তলায় পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। “তাদের চেষ্টায় আগুন ততোটা ছড়াতে পারেনি।”

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রায় এক ঘন্টার মাথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণ : আগুনের কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন

আপলোড টাইম : ০৪:১৭:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুন লাগার ঘণ্টাখানেক পর তা নিভেছে, পুড়ে গেছে ১৪ তলার একটি কক্ষের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে ভবনের ১৪ তলার ওই কক্ষে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ৩৪ মিনিটে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান।বাংলাদেশে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩০ তলা ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়নি।ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র (মহাব্যবস্থাপক) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি’। আগুন নেভার ঘণ্টাখানেক পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহমদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ১৪ তলার দক্ষিণপূর্ব কোণের ওই কক্ষের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুড়েছে।‘কোনো কম্পিউটার সার্ভারে আগুন লাগেনি। তবে কিছু ফাইলপত্র পুড়ে গেছে।’ কীভাবে আগুনের সূত্রপাত সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।আলী আহমদ বলেন, যে কক্ষ পুড়েছে সেখানে একটি ইউপিএস ছিল। ওইটা থেকে আগুন লাগতে পারে।আগুনের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।আগুনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো নথি পুড়েছে কি না জানতে চাইলে ফায়ার ব্রিগেডের ডিজি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা তা খতিয়ে দেখছেন।” আগুন লাগার খবর পেয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও গভর্নর ফজলে কবির দ্রæত বাংলাদেশ ব্যাংকে ছুটে যান। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে অর্থমন্ত্রী চলে গেলেও রাত ১২টায়ও কর্মকর্তাদের নিয়ে গভর্নর ব্যাংক ভবনে অবস্থান করছিলেন বলে আলী আহমেদ জানান। রাত পৌনে ১২টার দিকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নানও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢোকেন। এর আধা ঘণ্টার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামাল নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে ২৮ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। অগ্নিকাÐের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন যুগ্ম পরিচালক জানান, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ১৩ ও ১৪ তলায় পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। “তাদের চেষ্টায় আগুন ততোটা ছড়াতে পারেনি।”