ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনের পরিচয়ে কোটচাঁদপুরের হরিন্দিয়া গ্রামের মাদরাসাছাত্রকে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকধারীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০০:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
  • / ২৯২ বার পড়া হয়েছে

একমাসেও হদিস মেলেনি কলেজছাত্র মাসুদের : ফের চাচাতো ভাই অপহরণ!

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরের হরিন্দিয়া গ্রাম থেকে এবার এক মাদরাসাছাত্র অপহরণ হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ৭/৮ জন সাদা পোশাকধারী লোক প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে মাসুম বিল্লাহ (১৭) নামের ওই মাদরাসাছাত্রকে সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এর আগে গত ১২ অক্টোবর মাসুম বিল্লাহ’র চাচাতো ভাই মাকছুদুর রহমান ওরেফে মাসুদ রানাকে (২৪) গ্রামীনফোনের কর্মকর্তা পরিচয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অপহৃত মাসুম বিল্লাহর চাচা আবুল কালাম জানান, সাদা পোশাকধারীরা বাড়ির সামনে এসে মাসুম বিল্লাহ’র বাড়ির খোঁজ করতে থাকে। এ সময় আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, আমরা প্রশাসনের লোক। একটা মামলার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই-এক দিনের জন্য নিয়ে যাব।
তিনি জানান, হরিন্দিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে মাসুম বিল্লাহ একই গ্রামের হাজী আলতাফ হোসেন আলীম মাদরাসার আলেম প্রথম বর্ষের ছাত্র। ঘটনার দিন সে বাড়ীতেই ঘুমিয়ে ছিল। মাসুম বিল্লাহ ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় তারা বলে, দুই-এক দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে যাব। বৃহস্পতিবার সকালে মাসুম বিল্লাহ’র চাচাসহ বাড়ীর লোকজন তার খোঁজ করতে থানায় গিয়েও কোনো খোঁজখবর পায়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এতে তার পরিবারের লোকজন হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
কোটচাঁদপুর থানার অপিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, এই ঘটনার আগে বা পরে এই ব্যাপারে কেউ পুলিশকে জানায়নি। উল্লেখ্য, গত ১২ই অক্টোবর মাসুম বিল্লাহ’র চাচাত ভাই মাকছুদুর রহমান ওরেফে মাসুদ রানাকে (২৪) গ্রামীনফোনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টাওয়ার বসানোর জায়গা দেখানোর কথা বলে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। ওই মাইক্রোবাসে গ্রামীনফোনের স্টিকার লাগানো ছিলো। অপহৃত মাসুদ রানা ওই গ্রামের মোমিনুল ইসলামের ছেলে এবং কোটচাঁদপুর সরকারী কেএমএইচ কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। এই ঘটনার দুই দিন পরে কোটচাঁদপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়। অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনও তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রশাসনের পরিচয়ে কোটচাঁদপুরের হরিন্দিয়া গ্রামের মাদরাসাছাত্রকে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকধারীরা

আপলোড টাইম : ১০:০০:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

একমাসেও হদিস মেলেনি কলেজছাত্র মাসুদের : ফের চাচাতো ভাই অপহরণ!

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরের হরিন্দিয়া গ্রাম থেকে এবার এক মাদরাসাছাত্র অপহরণ হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ৭/৮ জন সাদা পোশাকধারী লোক প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে মাসুম বিল্লাহ (১৭) নামের ওই মাদরাসাছাত্রকে সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এর আগে গত ১২ অক্টোবর মাসুম বিল্লাহ’র চাচাতো ভাই মাকছুদুর রহমান ওরেফে মাসুদ রানাকে (২৪) গ্রামীনফোনের কর্মকর্তা পরিচয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অপহৃত মাসুম বিল্লাহর চাচা আবুল কালাম জানান, সাদা পোশাকধারীরা বাড়ির সামনে এসে মাসুম বিল্লাহ’র বাড়ির খোঁজ করতে থাকে। এ সময় আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, আমরা প্রশাসনের লোক। একটা মামলার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই-এক দিনের জন্য নিয়ে যাব।
তিনি জানান, হরিন্দিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে মাসুম বিল্লাহ একই গ্রামের হাজী আলতাফ হোসেন আলীম মাদরাসার আলেম প্রথম বর্ষের ছাত্র। ঘটনার দিন সে বাড়ীতেই ঘুমিয়ে ছিল। মাসুম বিল্লাহ ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় তারা বলে, দুই-এক দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে যাব। বৃহস্পতিবার সকালে মাসুম বিল্লাহ’র চাচাসহ বাড়ীর লোকজন তার খোঁজ করতে থানায় গিয়েও কোনো খোঁজখবর পায়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এতে তার পরিবারের লোকজন হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
কোটচাঁদপুর থানার অপিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, এই ঘটনার আগে বা পরে এই ব্যাপারে কেউ পুলিশকে জানায়নি। উল্লেখ্য, গত ১২ই অক্টোবর মাসুম বিল্লাহ’র চাচাত ভাই মাকছুদুর রহমান ওরেফে মাসুদ রানাকে (২৪) গ্রামীনফোনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টাওয়ার বসানোর জায়গা দেখানোর কথা বলে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। ওই মাইক্রোবাসে গ্রামীনফোনের স্টিকার লাগানো ছিলো। অপহৃত মাসুদ রানা ওই গ্রামের মোমিনুল ইসলামের ছেলে এবং কোটচাঁদপুর সরকারী কেএমএইচ কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। এই ঘটনার দুই দিন পরে কোটচাঁদপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়। অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনও তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার।