ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় চলছে ৩৫টি দুর্গাপূজা ম-পে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (আলমডাঙ্গা): শারদীয় দূর্গাৎসবকে সামনে রেখে আলমডাঙ্গা উপজেলার মন্দিরে মন্দিরে চলছে শেষ মুহুূর্তের প্রস্তুতি। পূজার প্রধান আকর্ষণ দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বাকি আর কিছুদিন। আগামী ১৫ অক্টোবর দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ মহাৎসব। এ উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ দুর্গা প্রতিমা। তাই আলমডাঙ্গা উপজেলার শহর কেন্দ্রীক মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাঁদা, মাটি, খড়, কাঠ, বাঁশ, সুতলি দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মাটির কাজ শেষে হলেই শুরু হবে রং ও তুলির আঁচড়। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন শিল্পীরা। তাদের আশা নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে সব প্রতিমা তৈরির কাজ। এখন বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি চলছে প্যান্ডেল তৈরি এবং সাজসজ্জ্বার কাজ। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা যায়, এই বছর ৩৫ টি পূজাম-প উঠবে।
আলমডাঙ্গার সর্বজনীন মন্দিরে কর্মকর্তা জানান, দুর্গাপূজার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা। আর এই প্রতিমা তৈরির জন্য আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন বিভিন্ন মন্দিরের পূজা আয়োজক কমিটি, দর্শনার্থী ও ভক্তরা। তাই মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে কাজ ফুটিয়ে তুলতেই সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। এখন প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ চলছে। আগামী ১৫ অক্টোবর রাতের মধ্যে সবগুলো প্রতিমার কাজ শেষ করতে হবে। তাই সহযোগীদের নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের একটি প্রতিমা তৈরিতে প্রতিমা শিল্পীদের ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া আলোকসজ্জা, তোরণ ও প্যান্ডেল তৈরিতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। আগামী ১৫ অক্টোবর দেবী বোধনের মাধ্যমে পূজার সূচনা হবে। ২০ শে অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনে মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনের শারদীয় এই উৎসব।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান জানান, প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সভা করছি। সব মিলিয়ে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা সার্বিক তদারকি করছেন। সকলের সহায়তায় এবারের দুর্গাপূজাও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে বলে আশা করি।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩৫টি দুর্গাপূজার ম-প উঠবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিমা তৈরিকালীন সময়ে যাতে প্রতিমার কোনো রকম ক্ষতি না হয় সেজন্য আয়োজক কমিটিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসনে টহল টিম সতর্ক রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা

আপলোড টাইম : ০৮:৫৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর ২০১৮

আলমডাঙ্গায় চলছে ৩৫টি দুর্গাপূজা ম-পে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (আলমডাঙ্গা): শারদীয় দূর্গাৎসবকে সামনে রেখে আলমডাঙ্গা উপজেলার মন্দিরে মন্দিরে চলছে শেষ মুহুূর্তের প্রস্তুতি। পূজার প্রধান আকর্ষণ দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বাকি আর কিছুদিন। আগামী ১৫ অক্টোবর দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ মহাৎসব। এ উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ দুর্গা প্রতিমা। তাই আলমডাঙ্গা উপজেলার শহর কেন্দ্রীক মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাঁদা, মাটি, খড়, কাঠ, বাঁশ, সুতলি দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মাটির কাজ শেষে হলেই শুরু হবে রং ও তুলির আঁচড়। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন শিল্পীরা। তাদের আশা নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে সব প্রতিমা তৈরির কাজ। এখন বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি চলছে প্যান্ডেল তৈরি এবং সাজসজ্জ্বার কাজ। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা যায়, এই বছর ৩৫ টি পূজাম-প উঠবে।
আলমডাঙ্গার সর্বজনীন মন্দিরে কর্মকর্তা জানান, দুর্গাপূজার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা। আর এই প্রতিমা তৈরির জন্য আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন বিভিন্ন মন্দিরের পূজা আয়োজক কমিটি, দর্শনার্থী ও ভক্তরা। তাই মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে কাজ ফুটিয়ে তুলতেই সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। এখন প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ চলছে। আগামী ১৫ অক্টোবর রাতের মধ্যে সবগুলো প্রতিমার কাজ শেষ করতে হবে। তাই সহযোগীদের নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের একটি প্রতিমা তৈরিতে প্রতিমা শিল্পীদের ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া আলোকসজ্জা, তোরণ ও প্যান্ডেল তৈরিতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। আগামী ১৫ অক্টোবর দেবী বোধনের মাধ্যমে পূজার সূচনা হবে। ২০ শে অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনে মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনের শারদীয় এই উৎসব।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান জানান, প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সভা করছি। সব মিলিয়ে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা সার্বিক তদারকি করছেন। সকলের সহায়তায় এবারের দুর্গাপূজাও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে বলে আশা করি।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩৫টি দুর্গাপূজার ম-প উঠবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিমা তৈরিকালীন সময়ে যাতে প্রতিমার কোনো রকম ক্ষতি না হয় সেজন্য আয়োজক কমিটিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসনে টহল টিম সতর্ক রয়েছে।