ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনের নিষেধ সত্ত্বেও শুনছে না ইট ভাটা মলিকেরা! বেপোরোয়া গতিতে চলছে ট্রাক্টর : নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নারী ও কোমলমতী শিশুরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪০০ বার পড়া হয়েছে

sftrt

নিজস্ব প্রতিবেদক:চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, প্রভাব খাটিয়ে, কৃষি জমির মারাক্তক ক্ষতিসাধন করে, গ্রামের সহজ সরল মানুষের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে, মাঠের মাটি কেটে, পাশ্ববর্তী ইটভাটা মালিকের যোগসাজসে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে মাটি ভর্তি ট্রাক্টর। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে গ্রামের কোমলমতী ছেলে মেয়েরা নিরাপদভাবে স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। ট্রাক্টরের বিকট শব্দে বাচ্চাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে গ্রামের রাস্তাঘাট অস্বাভাবিকভাবে ভেঙ্গে যাচ্ছে। অন্যদিকে গৃহিনী রান্নাবান্না করতে গেলে ধূলাবালি যেয়ে পড়ছে খাবারের হাড়ি-কড়াইয়ে। গ্রামের আবাদী জমি কেটে মাটি নেওয়ায় কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। স্কুল-কলেজে যাতায়াতকারী মেয়েদের ট্রাক্টরে থাকা শ্রমিকেরা ইভটিজিং করারও অভিযোগ উঠছে। ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেই সময় উপরে উল্লেখিত কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক ট্রাক্টর ড্রাইভারকে ২০দিনের জেল ও ট্রাক্টর মালিক সুবরাত আলীর নামে চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টে একটি নিয়মিত মামলা করেন। যাহা এখনো অব্যাহত আছে। হঠাৎ করে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলী হয়ে যাওয়াতে আবারও তাদের বেপোরোয়া ভাবে ট্রাক্টর ভর্তি মাটি সরবরাহ বজলু মিয়ার ইটের ভাটায় দিচ্ছে। স্থানীয় কিছু বলতে গেলে ইট ভাটা মালিক বজলু মিয়া ও ট্রাক্টর মালিক সুবরাত আলী গালিগালাজ করছে। তারা আরও বলছে একবার মামলা খেয়েছি ইউএনও চলে গেছে আমাদের কিছুই হবে না। দামুড়হুদার এসিল্যান্ড কৃষি জমি রক্ষার স্বার্থে জমির মালিকদের বার বার সতর্ক করে দিয়েছেন। কৃষি জমির মাটি ভূমি অফিসের অনুমতি ছাড়া বিক্রয় করা যাবে না। দামুড়হুদা থানা পুলিশ বার বার এসে সতর্ক করেছে। কে শোনে, কার কথা? চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রশাসনের নিষেধ সত্ত্বেও শুনছে না ইট ভাটা মলিকেরা! বেপোরোয়া গতিতে চলছে ট্রাক্টর : নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নারী ও কোমলমতী শিশুরা

আপলোড টাইম : ০২:১৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৬

sftrt

নিজস্ব প্রতিবেদক:চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, প্রভাব খাটিয়ে, কৃষি জমির মারাক্তক ক্ষতিসাধন করে, গ্রামের সহজ সরল মানুষের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে, মাঠের মাটি কেটে, পাশ্ববর্তী ইটভাটা মালিকের যোগসাজসে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে মাটি ভর্তি ট্রাক্টর। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে গ্রামের কোমলমতী ছেলে মেয়েরা নিরাপদভাবে স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। ট্রাক্টরের বিকট শব্দে বাচ্চাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে গ্রামের রাস্তাঘাট অস্বাভাবিকভাবে ভেঙ্গে যাচ্ছে। অন্যদিকে গৃহিনী রান্নাবান্না করতে গেলে ধূলাবালি যেয়ে পড়ছে খাবারের হাড়ি-কড়াইয়ে। গ্রামের আবাদী জমি কেটে মাটি নেওয়ায় কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। স্কুল-কলেজে যাতায়াতকারী মেয়েদের ট্রাক্টরে থাকা শ্রমিকেরা ইভটিজিং করারও অভিযোগ উঠছে। ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেই সময় উপরে উল্লেখিত কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক ট্রাক্টর ড্রাইভারকে ২০দিনের জেল ও ট্রাক্টর মালিক সুবরাত আলীর নামে চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টে একটি নিয়মিত মামলা করেন। যাহা এখনো অব্যাহত আছে। হঠাৎ করে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলী হয়ে যাওয়াতে আবারও তাদের বেপোরোয়া ভাবে ট্রাক্টর ভর্তি মাটি সরবরাহ বজলু মিয়ার ইটের ভাটায় দিচ্ছে। স্থানীয় কিছু বলতে গেলে ইট ভাটা মালিক বজলু মিয়া ও ট্রাক্টর মালিক সুবরাত আলী গালিগালাজ করছে। তারা আরও বলছে একবার মামলা খেয়েছি ইউএনও চলে গেছে আমাদের কিছুই হবে না। দামুড়হুদার এসিল্যান্ড কৃষি জমি রক্ষার স্বার্থে জমির মালিকদের বার বার সতর্ক করে দিয়েছেন। কৃষি জমির মাটি ভূমি অফিসের অনুমতি ছাড়া বিক্রয় করা যাবে না। দামুড়হুদা থানা পুলিশ বার বার এসে সতর্ক করেছে। কে শোনে, কার কথা? চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।