ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনের তৎপরতা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

লকডাউন : ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লকডাউনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা না মানায় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৭ হাজার ৭ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার লকডাউনে প্রতিদিনের ন্যায় দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ জেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তবে প্রশাসনের অভিযান থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। স্বাস্থ্যবিধির মালাই নেই, প্রয়োজন আর অপ্রয়োজনের তুলনাও নেই। বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে বোরোনোর আহ্বান জানালেও শহরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই মানুষের আনাগোনা প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতো।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন, জনসমাবেশ বন্ধ করা, বাজার মনিটরিং এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে দিনব্যাপী পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী ৫টি মোবাইল কোর্টে ১৩টি মামলায় ১৬ জনের কাছ থেকে ১৭ হাজার ৭শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অপর দিকে, প্রশাসনের এতো তৎপরতা সত্ত্বেও অকার্যকর হয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ষোষিত লকডাউন। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তাঘাট ও হাট-বাজারে অবাধে চলাফেরা করছেন মানুষ। ছুটিতে বাড়ি ফিরে এলাকার পাড়া-মহল্লাতে চলছে মানুষের জমায়েত, খোশগল্প ও আড্ডা।
লকডাউন বাস্তবায়নে চুয়াডাঙ্গা শহরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে নিয়মিত টহল দিচ্ছে পুলিশ। সারাদিনে মানুষের চলাচল কম হলেও বিকেলের পর থেকে ক্রমাগত বাড়ছে। শহরে বেশিরভাগ মানুষ বেরোচ্ছে শুধু ঘুরতে।
এদিকে, নিত্যপণ্যের ও ওষুধের দোকান খোলা আছে। যে দোকানগুলো খোলা আছে, সেগুলিতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। প্রচুর ভিড় করে চলছে কেনাকাটা। এ বিষয়ে দোকানের মালিকরাও নিচ্ছেন না কার্যকরি পদক্ষেপ। দায়সারা কাজে অনেকেই দোকানের সামনে শুধু সাদা রঙের প্রলেপ দিয়েই নিশ্চুপ।
বিশেষ করে বিকালের দিকে বড় বাজারের ফলের বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রচুর ভিড় করে চলছে কেনাকাটা। সাধারণ মানুষেরা স্বাস্থ্যবিধি যেন মানতেই চাচ্ছেন না। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি আনসারের টহল বাড়লেও, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রশাসনের তৎপরতা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

লকডাউন : ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লকডাউনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা না মানায় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৭ হাজার ৭ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার লকডাউনে প্রতিদিনের ন্যায় দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ জেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তবে প্রশাসনের অভিযান থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। স্বাস্থ্যবিধির মালাই নেই, প্রয়োজন আর অপ্রয়োজনের তুলনাও নেই। বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে বোরোনোর আহ্বান জানালেও শহরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই মানুষের আনাগোনা প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতো।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন, জনসমাবেশ বন্ধ করা, বাজার মনিটরিং এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে দিনব্যাপী পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী ৫টি মোবাইল কোর্টে ১৩টি মামলায় ১৬ জনের কাছ থেকে ১৭ হাজার ৭শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অপর দিকে, প্রশাসনের এতো তৎপরতা সত্ত্বেও অকার্যকর হয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ষোষিত লকডাউন। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তাঘাট ও হাট-বাজারে অবাধে চলাফেরা করছেন মানুষ। ছুটিতে বাড়ি ফিরে এলাকার পাড়া-মহল্লাতে চলছে মানুষের জমায়েত, খোশগল্প ও আড্ডা।
লকডাউন বাস্তবায়নে চুয়াডাঙ্গা শহরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে নিয়মিত টহল দিচ্ছে পুলিশ। সারাদিনে মানুষের চলাচল কম হলেও বিকেলের পর থেকে ক্রমাগত বাড়ছে। শহরে বেশিরভাগ মানুষ বেরোচ্ছে শুধু ঘুরতে।
এদিকে, নিত্যপণ্যের ও ওষুধের দোকান খোলা আছে। যে দোকানগুলো খোলা আছে, সেগুলিতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। প্রচুর ভিড় করে চলছে কেনাকাটা। এ বিষয়ে দোকানের মালিকরাও নিচ্ছেন না কার্যকরি পদক্ষেপ। দায়সারা কাজে অনেকেই দোকানের সামনে শুধু সাদা রঙের প্রলেপ দিয়েই নিশ্চুপ।
বিশেষ করে বিকালের দিকে বড় বাজারের ফলের বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রচুর ভিড় করে চলছে কেনাকাটা। সাধারণ মানুষেরা স্বাস্থ্যবিধি যেন মানতেই চাচ্ছেন না। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি আনসারের টহল বাড়লেও, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই।