ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রমাণ পেলেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রযুক্তি প্রতিবেদন:
  • আপলোড টাইম : ১২:৩২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সাবেক কর্মীর ফাঁস করা তথ্য দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের নিরাপত্তার বদলে ব্যবসায়িক স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছে। এ ছাড়াও গ্রাহকদের প্রতি ফেসবুকের আন্তরিকতার অভাব, নীতিমালার ব্যত্যয়, প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। এ ছাড়া মুনাফা ধরে রাখতে সংস্থাটি শিশু ও কিশোর বয়সিদের মানসিক স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করে। এহেন পরিস্থিতিতে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনার এলিজাবেথ ডেনহ্যাম। ফেসবুক ব্রিটিশ আইন লঙ্ঘন করছে কি না, সেটি যাচাই করতে প্রতিষ্ঠানটির আলোচিত সাবেক কর্মী ও তথ্য ফাঁসকারী ফ্রান্সেস হাউগেনের কাছে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে চিঠিও লিখেছেন তিনি। ফ্রান্সেস হাউগেনের হাতে থাকা ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ নথিপত্র ও গবেষণা প্রতিবেদন যুক্তরাজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এলিজাবেথ ডেনহ্যাম বিশ্লেষণ করে দেখতে চান বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। যদিও এর আগে অভিযোগগুলো পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ফেসবুক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ‘প্রতিষ্ঠানটির যে মিথ্যা চিত্রায়ণ করা হচ্ছে তার সঙ্গে আমাদের বেশিরভাগ পরিচিত নয়’- দাবি করেন তিনি। তবে, ডেনহ্যাম বলেছেন, ‘ফ্রান্সেসের সাক্ষ্য থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত তথ্যের ওপর আমরা ঘনিষ্ঠ নজর রাখছি-অভিযোগগুলোর সম্পূর্ণ প্রতিবেদনে প্রবেশাধিকার চেয়ে তার কাছে চিঠি লিখেছি আমি।’ ‘যুক্তরাজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে তার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখতে চাই আমি ওই ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কী যুক্তরাজ্যের ওপরও পড়ছে, বিশেষ করে শিশুদের ওপর?’ ফ্রান্সেস হাউগেন যে অভিযোগ তুলেছেন তার মধ্যে যে দুটি অভিযোগ রাজনীতিবিদদের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম সেবা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং সামাজিক বিভক্তি বাড়িয়ে গণতন্ত্রকে দুর্বল করে ফেসবুকের অ্যালগরিদম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রমাণ পেলেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

আপলোড টাইম : ১২:৩২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সাবেক কর্মীর ফাঁস করা তথ্য দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের নিরাপত্তার বদলে ব্যবসায়িক স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছে। এ ছাড়াও গ্রাহকদের প্রতি ফেসবুকের আন্তরিকতার অভাব, নীতিমালার ব্যত্যয়, প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। এ ছাড়া মুনাফা ধরে রাখতে সংস্থাটি শিশু ও কিশোর বয়সিদের মানসিক স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করে। এহেন পরিস্থিতিতে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনার এলিজাবেথ ডেনহ্যাম। ফেসবুক ব্রিটিশ আইন লঙ্ঘন করছে কি না, সেটি যাচাই করতে প্রতিষ্ঠানটির আলোচিত সাবেক কর্মী ও তথ্য ফাঁসকারী ফ্রান্সেস হাউগেনের কাছে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে চিঠিও লিখেছেন তিনি। ফ্রান্সেস হাউগেনের হাতে থাকা ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ নথিপত্র ও গবেষণা প্রতিবেদন যুক্তরাজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এলিজাবেথ ডেনহ্যাম বিশ্লেষণ করে দেখতে চান বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। যদিও এর আগে অভিযোগগুলো পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ফেসবুক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ‘প্রতিষ্ঠানটির যে মিথ্যা চিত্রায়ণ করা হচ্ছে তার সঙ্গে আমাদের বেশিরভাগ পরিচিত নয়’- দাবি করেন তিনি। তবে, ডেনহ্যাম বলেছেন, ‘ফ্রান্সেসের সাক্ষ্য থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত তথ্যের ওপর আমরা ঘনিষ্ঠ নজর রাখছি-অভিযোগগুলোর সম্পূর্ণ প্রতিবেদনে প্রবেশাধিকার চেয়ে তার কাছে চিঠি লিখেছি আমি।’ ‘যুক্তরাজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে তার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখতে চাই আমি ওই ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কী যুক্তরাজ্যের ওপরও পড়ছে, বিশেষ করে শিশুদের ওপর?’ ফ্রান্সেস হাউগেন যে অভিযোগ তুলেছেন তার মধ্যে যে দুটি অভিযোগ রাজনীতিবিদদের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম সেবা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং সামাজিক বিভক্তি বাড়িয়ে গণতন্ত্রকে দুর্বল করে ফেসবুকের অ্যালগরিদম।