ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রবাসে নিহত টোকনের লাশের অপেক্ষায় পরিবার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ওমানের নিজুয়া সোহারিয়া শহরে নিহত ঝিনাইদহের টোকন মিয়ার (২৫) বাড়িতে যেন শোক থামছেই না। সর্বক্ষন পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি করছে। সদ্য বিধবা স্ত্রী মিম আক্তার স্বামীর লাশের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় টোকন মিয়া রড কাটা মেশিনে গলা কেটে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর চার দিন পার হলেও টোকনের লাশ এখনো নিজ বাড়িতে পৌছায়নি। টোকন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শালিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল রশিদ মিয়া জানান, গত শনিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ওমানের নিজুয়া সোহারিয়া শহরে ড্রামের উপর দাড়িয়ে রড কাটছিলেন টোকন। এ সময় পা পিছলে রডকাটা মেশিন নিয়ে নিচে পড়ে যান। এতে তার গলার বাম পাশে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। দ্রুত তার সহকর্মীরা নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর কবীর হোসেন জানান, ২ বছর আগে টোকন মিয়া ওমানে যায় শ্রমিক হিসেবে। রডকাটা মেশিনে গলা কেটে তার মৃত্যু হয়। টোকনের মা নিলুফা বেগম ও স্ত্রী মিম আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা সংসারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তির অকাল মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ। মা নিলুফা বেগম সন্তানের লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রবাসে নিহত টোকনের লাশের অপেক্ষায় পরিবার

আপলোড টাইম : ০৬:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮

ঝিনাইদহ অফিস: ওমানের নিজুয়া সোহারিয়া শহরে নিহত ঝিনাইদহের টোকন মিয়ার (২৫) বাড়িতে যেন শোক থামছেই না। সর্বক্ষন পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি করছে। সদ্য বিধবা স্ত্রী মিম আক্তার স্বামীর লাশের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় টোকন মিয়া রড কাটা মেশিনে গলা কেটে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর চার দিন পার হলেও টোকনের লাশ এখনো নিজ বাড়িতে পৌছায়নি। টোকন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শালিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল রশিদ মিয়া জানান, গত শনিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ওমানের নিজুয়া সোহারিয়া শহরে ড্রামের উপর দাড়িয়ে রড কাটছিলেন টোকন। এ সময় পা পিছলে রডকাটা মেশিন নিয়ে নিচে পড়ে যান। এতে তার গলার বাম পাশে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। দ্রুত তার সহকর্মীরা নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর কবীর হোসেন জানান, ২ বছর আগে টোকন মিয়া ওমানে যায় শ্রমিক হিসেবে। রডকাটা মেশিনে গলা কেটে তার মৃত্যু হয়। টোকনের মা নিলুফা বেগম ও স্ত্রী মিম আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা সংসারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তির অকাল মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ। মা নিলুফা বেগম সন্তানের লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।