ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রথম দিনে প্রায় ৭ শ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সীমান্তে সতর্কতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০
  • / ২০৭ বার পড়া হয়েছে

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দর্শনা চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ৬ সদস্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষা দল

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আসার সম্ভাবনা খুবই কম : সিভিল সার্জন ডা. মারুফ হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা দল’ গঠন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাকিল আরসালানকে প্রধান করে গঠন করা হয় ৬ সদস্যবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য পরীক্ষা দল। গতকাল সোমবার সকাল থেকে কাজ শুরু করে এ দলটি। তাঁরা চেকপোস্ট দিয়ে আসা-যাওয়া যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় রয়েছে আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ও জয়নগরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় দেড় হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে। গতকাল প্রায় ৭ শ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য পরীক্ষা দলটি। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দর্শনা সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারত থেকে আসা ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীরা বলেন, করোনা ভাইরাস বিষয়ে ভারতের চেকপোস্টে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশে প্রবেশের পর দেওয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
দর্শনা চেকপোস্টের পুলিশ ইনচার্জ এসআই রাশেদ জানান, ‘আজ সোমবার (গতকাল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫৯ জন যাত্রী বাংলাদেশ ও ভারতে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ৭১৭ জন বাংলাদেশি, ২ জন আমেরিকান ও ৭৫ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং ৭১ জন ভারতীয় ও ৪৯৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এদের প্রায় প্রত্যেককেই করোনা প্রতিরোধে গঠিত মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। তবে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো যাত্রী শনাক্ত হয়নি বলে জেনেছি। আর আমি এখানে যোগদানের পর এ সীমান্ত দিয়ে কোনো চীনা নাগরিক ভারতে কিংবা বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। এ সীমান্ত দিয়ে চীনা নাগরিকের যাতাযাত না থাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যাত্রী শনাক্তের সম্ভাবনা এখানে খুবই কম।’
স্বাস্থ্য পরীক্ষা দলের প্রধান ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাকিল আরসানাল বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আমরা দুই দেশের যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। কোনো রোগীর সন্ধান প্রথম দিনে পাইনি।’
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, ‘সড়ক ও রেলপথে দুই দেশের যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে আসা-যাওয়া করে। করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ জন্য যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা দল গঠন করা হয়েছে, তারা খুবই সতর্কতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। তবে আমাদের দেশে এ ভাইরাস আসার সম্ভবনা খুবই কম।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রথম দিনে প্রায় ৭ শ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সীমান্তে সতর্কতা

আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দর্শনা চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ৬ সদস্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষা দল

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আসার সম্ভাবনা খুবই কম : সিভিল সার্জন ডা. মারুফ হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা দল’ গঠন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাকিল আরসালানকে প্রধান করে গঠন করা হয় ৬ সদস্যবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য পরীক্ষা দল। গতকাল সোমবার সকাল থেকে কাজ শুরু করে এ দলটি। তাঁরা চেকপোস্ট দিয়ে আসা-যাওয়া যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় রয়েছে আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ও জয়নগরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় দেড় হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে। গতকাল প্রায় ৭ শ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য পরীক্ষা দলটি। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দর্শনা সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারত থেকে আসা ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীরা বলেন, করোনা ভাইরাস বিষয়ে ভারতের চেকপোস্টে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশে প্রবেশের পর দেওয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
দর্শনা চেকপোস্টের পুলিশ ইনচার্জ এসআই রাশেদ জানান, ‘আজ সোমবার (গতকাল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫৯ জন যাত্রী বাংলাদেশ ও ভারতে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ৭১৭ জন বাংলাদেশি, ২ জন আমেরিকান ও ৭৫ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং ৭১ জন ভারতীয় ও ৪৯৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এদের প্রায় প্রত্যেককেই করোনা প্রতিরোধে গঠিত মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। তবে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো যাত্রী শনাক্ত হয়নি বলে জেনেছি। আর আমি এখানে যোগদানের পর এ সীমান্ত দিয়ে কোনো চীনা নাগরিক ভারতে কিংবা বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। এ সীমান্ত দিয়ে চীনা নাগরিকের যাতাযাত না থাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যাত্রী শনাক্তের সম্ভাবনা এখানে খুবই কম।’
স্বাস্থ্য পরীক্ষা দলের প্রধান ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাকিল আরসানাল বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আমরা দুই দেশের যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। কোনো রোগীর সন্ধান প্রথম দিনে পাইনি।’
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, ‘সড়ক ও রেলপথে দুই দেশের যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে আসা-যাওয়া করে। করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ জন্য যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা দল গঠন করা হয়েছে, তারা খুবই সতর্কতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। তবে আমাদের দেশে এ ভাইরাস আসার সম্ভবনা খুবই কম।’