ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রথমবারের মতো পৃথিবীর বাইরে হোটেল!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৪:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৪৭৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : পৃথিবীর বাইরে প্রথমবারের মতো চালু করা হচ্ছে হোটেল। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অরিয়ন স্প্যান ঘোষণা করেছে, আগামী চার বছরের মধ্যেই পৃথিবীর কক্ষপথে থাকবে বিলাসবহুল হোটেল এবং পাঁচ বছরের মধ্যে সেখানে অতিথিদের স্বাগত জানানো সম্ভব হবে। কিন্তু এটি সস্তায় উপভোগ করা যাবে না। ১২ দিনের সফরের জন্য মহাকাশ হোটেলটির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৯.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকার হিসেবে ৭৮ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এই হোটেলটি অতিথিদের শূন্য মাধ্যাকর্ষণ অনুভব, পৃথিবীর অত্যাশ্চর্য দৃশ্যের দিকে তাকানো এবং প্রতিদিন গড়ে ১৬টি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা দেবে, পৃথিবীকে প্রতি ৩০ মিনিটে প্রদক্ষিণ করবে এ হোটেল।
গত বৃহস্পতিবার, ক্যালিফোর্নিয়ায় আয়োজিত স্পেস ২.০ সম্মেলনে এই প্রকল্পটির ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘অরোরা স্টেশন’ নামের এই মহাকাশ হোটেলটিতে একসঙ্গে ছয়জন মানুষ থাকতে পারবে- চারজন অতিথি এবং দুজন ক্রু।
অরিয়ন স্প্যান সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক বাঙ্গার দাবী করেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে মহাকাশে মানবসম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য টেকসই স্থাপনা নির্মাণ করা, যা সকলের ব্যবহার উপযোগী।
সম্মেলনে বাঙ্গার বলেন, ‘মহাকাশে ভ্রমণের গন্তব্য হিসেবে আমরা অরোরা স্টেশনকে উন্নত ভাবে তৈরি করছি। স্টেশনটি লঞ্চ করার পরে এটি দ্রুত সার্ভিস কার্যক্রম শুরু করবে, ভ্রমণকারীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছাতে পারবে এবং খুবই কম খরচে, যা এর আগে কোনো প্রতিষ্ঠান অফার করতে পারেনি।’
সংস্থাটি নিজেরাই স্পেস স্টেশনটি নির্মাণে মনস্থির করেছিল কিন্তু এখন অন্য সংস্থার সঙ্গে মিলে লঞ্চ করতে পারে বলে জানিয়েছে।
মহাকাশ হোটেলটি মডুলার ডিজাইনের হবে, যা পরবর্তীতে এটিকে লঞ্চ করার পর যুক্ত করাটা সহজ করতে তুলবে। থাকার অসাধারণ ব্যবস্থার পাশাপাশি গ্রাহকরা এখানে তাদের জীবনে নভোচারীর জীবনের অভিজ্ঞতা নিতেও সক্ষম হবে।
ফোর্বস ম্যাগাজিনকে বাঙ্গার বলেন, ‘সেখান থেকে অতিথিরা যখন পৃথিবীতে ফিরে আসবে তখন আমরা তাদেরকে নায়কের মতো স্বাগত জানাব।’
মহাকাশ হোটেল হিসেবে অরোরা স্টেশনটি নির্ধারিত হলেও, এটিকে অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করা যাবে। বহুমুখী সুবিধার স্টেশনটি হোটেল ছাড়াও আরো একাধিক কাজে ব্যবহারের উপযোগী। শূন্য মাধ্যাকর্ষণ গবেষণা, স্পেস ম্যানুফ্যাকচারিংয়েও এটিকে কাজে লাগানো যাবে। এটির ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যেন প্রয়োজনে খুব সহজেই আরো স্পেস যুক্ত করা যায়।
অরোরা মহাকাশ স্টেশনটির আকৃতি বড় প্রাইভেট জেট কেবিনের মতো হবে, যার দৈর্ঘ্য ৪৩.৫ ফুট (১৩.৩ মিটার) ও প্রস্থ ১৪.১ ফুট (৪.৩ মিটার) এবং ফিচার হিসেবে এতে ৫,৬৫০ ঘনফুট (১৬০ ঘনমিটার) চাপযুক্ত ভলিউম থাকবে। ভ্রমণকারীরা উচ্চগতির ওয়্যারলেস ইন্টারনেটের মাধ্যমে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার সুবিধা রাখা হয়েছে বিলাসবহুল অরোরা হোটেলটির ডিজাইনে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রথমবারের মতো পৃথিবীর বাইরে হোটেল!

আপলোড টাইম : ১০:১৪:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ এপ্রিল ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক : পৃথিবীর বাইরে প্রথমবারের মতো চালু করা হচ্ছে হোটেল। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অরিয়ন স্প্যান ঘোষণা করেছে, আগামী চার বছরের মধ্যেই পৃথিবীর কক্ষপথে থাকবে বিলাসবহুল হোটেল এবং পাঁচ বছরের মধ্যে সেখানে অতিথিদের স্বাগত জানানো সম্ভব হবে। কিন্তু এটি সস্তায় উপভোগ করা যাবে না। ১২ দিনের সফরের জন্য মহাকাশ হোটেলটির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৯.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকার হিসেবে ৭৮ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এই হোটেলটি অতিথিদের শূন্য মাধ্যাকর্ষণ অনুভব, পৃথিবীর অত্যাশ্চর্য দৃশ্যের দিকে তাকানো এবং প্রতিদিন গড়ে ১৬টি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা দেবে, পৃথিবীকে প্রতি ৩০ মিনিটে প্রদক্ষিণ করবে এ হোটেল।
গত বৃহস্পতিবার, ক্যালিফোর্নিয়ায় আয়োজিত স্পেস ২.০ সম্মেলনে এই প্রকল্পটির ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘অরোরা স্টেশন’ নামের এই মহাকাশ হোটেলটিতে একসঙ্গে ছয়জন মানুষ থাকতে পারবে- চারজন অতিথি এবং দুজন ক্রু।
অরিয়ন স্প্যান সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক বাঙ্গার দাবী করেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে মহাকাশে মানবসম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য টেকসই স্থাপনা নির্মাণ করা, যা সকলের ব্যবহার উপযোগী।
সম্মেলনে বাঙ্গার বলেন, ‘মহাকাশে ভ্রমণের গন্তব্য হিসেবে আমরা অরোরা স্টেশনকে উন্নত ভাবে তৈরি করছি। স্টেশনটি লঞ্চ করার পরে এটি দ্রুত সার্ভিস কার্যক্রম শুরু করবে, ভ্রমণকারীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছাতে পারবে এবং খুবই কম খরচে, যা এর আগে কোনো প্রতিষ্ঠান অফার করতে পারেনি।’
সংস্থাটি নিজেরাই স্পেস স্টেশনটি নির্মাণে মনস্থির করেছিল কিন্তু এখন অন্য সংস্থার সঙ্গে মিলে লঞ্চ করতে পারে বলে জানিয়েছে।
মহাকাশ হোটেলটি মডুলার ডিজাইনের হবে, যা পরবর্তীতে এটিকে লঞ্চ করার পর যুক্ত করাটা সহজ করতে তুলবে। থাকার অসাধারণ ব্যবস্থার পাশাপাশি গ্রাহকরা এখানে তাদের জীবনে নভোচারীর জীবনের অভিজ্ঞতা নিতেও সক্ষম হবে।
ফোর্বস ম্যাগাজিনকে বাঙ্গার বলেন, ‘সেখান থেকে অতিথিরা যখন পৃথিবীতে ফিরে আসবে তখন আমরা তাদেরকে নায়কের মতো স্বাগত জানাব।’
মহাকাশ হোটেল হিসেবে অরোরা স্টেশনটি নির্ধারিত হলেও, এটিকে অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করা যাবে। বহুমুখী সুবিধার স্টেশনটি হোটেল ছাড়াও আরো একাধিক কাজে ব্যবহারের উপযোগী। শূন্য মাধ্যাকর্ষণ গবেষণা, স্পেস ম্যানুফ্যাকচারিংয়েও এটিকে কাজে লাগানো যাবে। এটির ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যেন প্রয়োজনে খুব সহজেই আরো স্পেস যুক্ত করা যায়।
অরোরা মহাকাশ স্টেশনটির আকৃতি বড় প্রাইভেট জেট কেবিনের মতো হবে, যার দৈর্ঘ্য ৪৩.৫ ফুট (১৩.৩ মিটার) ও প্রস্থ ১৪.১ ফুট (৪.৩ মিটার) এবং ফিচার হিসেবে এতে ৫,৬৫০ ঘনফুট (১৬০ ঘনমিটার) চাপযুক্ত ভলিউম থাকবে। ভ্রমণকারীরা উচ্চগতির ওয়্যারলেস ইন্টারনেটের মাধ্যমে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার সুবিধা রাখা হয়েছে বিলাসবহুল অরোরা হোটেলটির ডিজাইনে।