ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রথমবারের মতো গ্রহাণুতে অভিযান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: মহাকাশে গ্রহের চেয়ে ছোট যেসব মহাকাশীয় বস্তু ভেসে বেড়াচ্ছে, সেগুলো গ্রহাণু নামে পরিচিত। এমনই এক গ্রহাণুতে প্রথমবারের মতো একটি নভোযান পাঠিয়েছে জাপান। হায়াবুসা টু নামের ওই নভোযানটি পৃথিবী থেকে ২৮০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে গ্রহাণুটির ২০ কিলোমিটার উপরে গিয়ে পর্যবেক্ষণের কাজ শুরু করেছে। রুইগু নামের ওই গ্রহাণুর কাছে যেতে নভোযানটির সময় লেগেছে প্রায় ৪ বছর। ২০১৪ এর ডিসেম্বরে নভোযানটি মহাকাশে পাঠানো হয়। জাপানী রূপকথার এক প্রাসাদের নামে গ্রহাণুটির নাম দেয়া হয়েছে। দেখতে অনেকটা বর্গাকার ওই গ্রহাণুটির ব্যাস মাত্র ৩০০০ ফুট। আগামী দেড় বছর সময়ে নভোযানটি থেকে গ্রহাণুটির ওপর তিনবার রোবট পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করা হবে। এই অভিযান সফল হলে গবেষকরা জানতে পারবেন কিভাবে পৃথিবী ও সৌরজগতে প্রাণের বিস্তার ঘটেছে। তবে অভিযানটি খুব চ্যালেঞ্জিং। গ্রহাণুটির কোন স্থানে রোবট পাঠানো যাবে, সে বিষয়ে দুই মাস গবেষণা চালানো হবে। যেহেতু গ্রহাণুটির পৃষ্ঠভাগের তাপমাত্রা খুব বেশি, তাই যে তিনবার রোবট পাঠানো হবে সেখানে, ওই তিনবারই মাত্র কয়েক সেকেন্ড করে সেখানে অবস্থান করবে রোবটটি। প্রথমবারের মতো নভোযান থেকে গ্রহাণুতে রোবট পাঠানো হবে সামনের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে। ওই সময় গ্রহাণুটির আরেক প্রান্তে নিজেকে নিরাপদে রেখে তার ওপর একটি বিস্ফোরণ ঘটাবে নভোযানটি। এর ফলে সৃষ্ট গর্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে নভোযানের রোবট। অভিযানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা পাথর ও নমুনা নিয়ে নভোযানটি ২০২০ সালে পৃথিবীতে ফিরে আসবে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা একইভাবে বেননু নামের একটি গ্রহাণুর ওপর গবেষণা চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চলতি বছরের শেষ দিকে সংস্থাটির একটি নভোযান বেননু গ্রহাণুতে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে আবারো ২০২৩ সালে ফিরে আসবে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রথমবারের মতো গ্রহাণুতে অভিযান

আপলোড টাইম : ১০:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুলাই ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: মহাকাশে গ্রহের চেয়ে ছোট যেসব মহাকাশীয় বস্তু ভেসে বেড়াচ্ছে, সেগুলো গ্রহাণু নামে পরিচিত। এমনই এক গ্রহাণুতে প্রথমবারের মতো একটি নভোযান পাঠিয়েছে জাপান। হায়াবুসা টু নামের ওই নভোযানটি পৃথিবী থেকে ২৮০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে গ্রহাণুটির ২০ কিলোমিটার উপরে গিয়ে পর্যবেক্ষণের কাজ শুরু করেছে। রুইগু নামের ওই গ্রহাণুর কাছে যেতে নভোযানটির সময় লেগেছে প্রায় ৪ বছর। ২০১৪ এর ডিসেম্বরে নভোযানটি মহাকাশে পাঠানো হয়। জাপানী রূপকথার এক প্রাসাদের নামে গ্রহাণুটির নাম দেয়া হয়েছে। দেখতে অনেকটা বর্গাকার ওই গ্রহাণুটির ব্যাস মাত্র ৩০০০ ফুট। আগামী দেড় বছর সময়ে নভোযানটি থেকে গ্রহাণুটির ওপর তিনবার রোবট পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করা হবে। এই অভিযান সফল হলে গবেষকরা জানতে পারবেন কিভাবে পৃথিবী ও সৌরজগতে প্রাণের বিস্তার ঘটেছে। তবে অভিযানটি খুব চ্যালেঞ্জিং। গ্রহাণুটির কোন স্থানে রোবট পাঠানো যাবে, সে বিষয়ে দুই মাস গবেষণা চালানো হবে। যেহেতু গ্রহাণুটির পৃষ্ঠভাগের তাপমাত্রা খুব বেশি, তাই যে তিনবার রোবট পাঠানো হবে সেখানে, ওই তিনবারই মাত্র কয়েক সেকেন্ড করে সেখানে অবস্থান করবে রোবটটি। প্রথমবারের মতো নভোযান থেকে গ্রহাণুতে রোবট পাঠানো হবে সামনের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে। ওই সময় গ্রহাণুটির আরেক প্রান্তে নিজেকে নিরাপদে রেখে তার ওপর একটি বিস্ফোরণ ঘটাবে নভোযানটি। এর ফলে সৃষ্ট গর্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে নভোযানের রোবট। অভিযানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা পাথর ও নমুনা নিয়ে নভোযানটি ২০২০ সালে পৃথিবীতে ফিরে আসবে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা একইভাবে বেননু নামের একটি গ্রহাণুর ওপর গবেষণা চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চলতি বছরের শেষ দিকে সংস্থাটির একটি নভোযান বেননু গ্রহাণুতে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে আবারো ২০২৩ সালে ফিরে আসবে আশা করা হচ্ছে।