ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৮
  • / ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

আ.লীগের মনোনয়ন প্রার্থী চার হাজার, আছে জোট শরিকদের চাহিদা
ডেস্ক রিপোর্ট: ১৪ দলীয় জোটকে সম্প্রসারণ করে মহাজোটগতভাবেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পুরনো মিত্র জাতীয় পার্টি ছাড়াও সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ও ইসলামী জোটও এবার মহাজোটে যুক্ত হচ্ছে। ১৪ দলের প্রত্যেক শরিক দল নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে। আর জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলগুলো নিজ প্রতীকে নির্বাচন করবে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কাছে জাতীয় পার্টির প্রত্যাশা ১০০ আসন, ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জেপি, তরিকত ফেডারেশনের দখলে বর্তমানে ১৫টি আসন থাকলেও এবার তা থেকে বেড়ে ২৫টির আসনের চাহিদা তারা দিতে পারে। এ ছাড়া যুক্তফ্রন্ট ১০টি, ইসলামী জোট ৫টির মতো আসন চাইতে পারে বলে জানা গেছে। সব মিলে আওয়ামী লীগের কাছে শরিকদের এবার প্রত্যাশা ১৪০ আসন। এবার ৩০০ আসনে শুধু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ হাজারের বেশি। গতকাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯০০। আরো বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ দুই অংশ, তরিকত ফেডারেশন, জেপি, সাম্যবাদী দল, ইসলামী জোট এবং যুক্তফ্রন্টের অন্যান্য শরিক রাজনৈতিক দল মিলিয়ে আরো ৫ শতাধিক মনোনয়ন ফরম বিক্রি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মহাজোটেই মনোয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এ বছর প্রতি আসনে আওয়ামী লীগের গড় প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে নিজ নিজ অবস্থানে যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে সক্ষম। সবার চাওয়া দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হওয়া। এই তালিকায় আছেন রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, ব্যবসায়ী, ক্রীড়া ও চলচ্চিত্র অঙ্গনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেখান থেকে একজনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হবে। অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীর অবস্থান কি হবে সেটিও ভাবিয়ে তুলেছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডকে। কারণ, মনোনয়ন নিয়ে আধিপত্য বিস্তারে কে কতটুকু সমর্থ তারই প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি আদাবরে ঘটে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্র”পের দ্বন্দ্বে ২ জনের নিহত হওয়ার ঘটনায়। ওই ঘটনার পর অবশ্য হার্ডলাইনে গিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্র”ত খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। এই পরিস্থিতি শুধু ঢাকার একটি আসনেই নয়, বলা যায় ৫ থেকে ৭টি বাদে প্রায় সব আসনেই এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা একে অপরকে সহ্য করতে পারেন না। তাদের কর্মীরাও জড়িয়ে পড়ছেন হানাহানিতে। অনেক আসনে দলের বর্তমান সংসদ সদস্যকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। অনেক জায়গায় পরিস্থিতি থানা ও আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। অসংখ্য মামলার বেড়াজালে ক্ষমতাসীন দলটির নেতাকর্মীরাও। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এক প্রার্থী, অপর প্রার্থীর বির”দ্ধে শুধু বিষোগারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে কিভাবে একক প্রার্থী নিশ্চিত করবে আওয়ামী লীগ।
আর দলীয় কোন্দলই বা মেটাবেন কিভাবে? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কর্নেল (অব.) ফার”ক খান বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল। এর সঙ্গে যুক্ত ১৪ দল ও জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। সে ক্ষেত্রে ৩০০ আসনে মনোনয়নের প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল। যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচন করতে ইচ্ছুক, তাদের আমাদের পক্ষে সংলাপে বলা হয়েছিল নির্বাচন জোট-মহাজোট যেভাবেই হোক না কেন প্রত্যেকটি আসনে উইনেবল প্রার্থী দেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কাউকে কোনো আসনের কথা বলা হয়নি। আমাদের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোকেও উইনেবল প্রার্থীর তালিকা করতে বলা হয়েছে। তারা সেটি করে জমা দেবেন। এরপর সিদ্ধান্ত হবে। সে ক্ষেত্রে আসন বণ্টনে খুব একটা সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
নিজ দলে ৩০০ আসনের বিপরীতে ৪০২৩টি মনোনয়ন ফরম জমা পড়েছে, সে ক্ষেত্রে নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রত্যাশা কিভাবে পূরণ করবেন- এ প্রশ্নের জবাবে ফার”ক খান বলেন, নিজ দলে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকবে। আমরা চাই নেতৃত্বের বিকাশ ঘটুক। ৩০০ আসনে ৪ হাজারের বেশি দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা হওয়ায় আমরা খুশি। অতীতের নির্বাচনগুলোতেও এ রকম মনোনয়ন ফরম জমা পড়েছে। আমরা সঠিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পেরেছি। ফলে কোনো সমস্যা হয়নি। এবার মনোনয়নের ক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। মোট কথা মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়াটা যদি সঠিক হয় তাহলে দলের প্রার্থীকে সবাই মেনে নেবে। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা কমে আসবে। যেমনটি সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে অনেক প্রার্থী থাকলেও যথাযথ প্রক্রিয়ায় ১ জনকে মনোনয়ন দেয়ার সবাই তার পক্ষে কাজ করেছেন। দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করে এনেছেন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে আরো জানা গেছে, এবার প্রথমে আওয়ামী লীগ নিজ দলের প্রার্থী তালিকা তৈরি করবে। এরপর জোটের শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় বসবে। আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য ২১০ থেকে ২২০টা আসন রেখে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। আর শরিক ও মিত্রদের জন্য ৮০-৯০টি আসন ছাড়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও মহাজোটে প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী নিশ্চিত করা কিছুটা কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে জোট-মহাজোটে আসন বণ্টন কি রকম হবে সে বিষয় নিয়ে গত রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রথমে আমরা নিজেদের প্রার্থীদের মনোনয়ন দেব। আসন ভাগাভাগি হলে আমাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ

আপলোড টাইম : ১১:০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

আ.লীগের মনোনয়ন প্রার্থী চার হাজার, আছে জোট শরিকদের চাহিদা
ডেস্ক রিপোর্ট: ১৪ দলীয় জোটকে সম্প্রসারণ করে মহাজোটগতভাবেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পুরনো মিত্র জাতীয় পার্টি ছাড়াও সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ও ইসলামী জোটও এবার মহাজোটে যুক্ত হচ্ছে। ১৪ দলের প্রত্যেক শরিক দল নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে। আর জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলগুলো নিজ প্রতীকে নির্বাচন করবে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কাছে জাতীয় পার্টির প্রত্যাশা ১০০ আসন, ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জেপি, তরিকত ফেডারেশনের দখলে বর্তমানে ১৫টি আসন থাকলেও এবার তা থেকে বেড়ে ২৫টির আসনের চাহিদা তারা দিতে পারে। এ ছাড়া যুক্তফ্রন্ট ১০টি, ইসলামী জোট ৫টির মতো আসন চাইতে পারে বলে জানা গেছে। সব মিলে আওয়ামী লীগের কাছে শরিকদের এবার প্রত্যাশা ১৪০ আসন। এবার ৩০০ আসনে শুধু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ হাজারের বেশি। গতকাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯০০। আরো বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ দুই অংশ, তরিকত ফেডারেশন, জেপি, সাম্যবাদী দল, ইসলামী জোট এবং যুক্তফ্রন্টের অন্যান্য শরিক রাজনৈতিক দল মিলিয়ে আরো ৫ শতাধিক মনোনয়ন ফরম বিক্রি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মহাজোটেই মনোয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এ বছর প্রতি আসনে আওয়ামী লীগের গড় প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে নিজ নিজ অবস্থানে যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে সক্ষম। সবার চাওয়া দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হওয়া। এই তালিকায় আছেন রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, ব্যবসায়ী, ক্রীড়া ও চলচ্চিত্র অঙ্গনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেখান থেকে একজনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হবে। অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীর অবস্থান কি হবে সেটিও ভাবিয়ে তুলেছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডকে। কারণ, মনোনয়ন নিয়ে আধিপত্য বিস্তারে কে কতটুকু সমর্থ তারই প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি আদাবরে ঘটে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্র”পের দ্বন্দ্বে ২ জনের নিহত হওয়ার ঘটনায়। ওই ঘটনার পর অবশ্য হার্ডলাইনে গিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্র”ত খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। এই পরিস্থিতি শুধু ঢাকার একটি আসনেই নয়, বলা যায় ৫ থেকে ৭টি বাদে প্রায় সব আসনেই এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা একে অপরকে সহ্য করতে পারেন না। তাদের কর্মীরাও জড়িয়ে পড়ছেন হানাহানিতে। অনেক আসনে দলের বর্তমান সংসদ সদস্যকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। অনেক জায়গায় পরিস্থিতি থানা ও আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। অসংখ্য মামলার বেড়াজালে ক্ষমতাসীন দলটির নেতাকর্মীরাও। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এক প্রার্থী, অপর প্রার্থীর বির”দ্ধে শুধু বিষোগারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে কিভাবে একক প্রার্থী নিশ্চিত করবে আওয়ামী লীগ।
আর দলীয় কোন্দলই বা মেটাবেন কিভাবে? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কর্নেল (অব.) ফার”ক খান বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল। এর সঙ্গে যুক্ত ১৪ দল ও জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। সে ক্ষেত্রে ৩০০ আসনে মনোনয়নের প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল। যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচন করতে ইচ্ছুক, তাদের আমাদের পক্ষে সংলাপে বলা হয়েছিল নির্বাচন জোট-মহাজোট যেভাবেই হোক না কেন প্রত্যেকটি আসনে উইনেবল প্রার্থী দেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কাউকে কোনো আসনের কথা বলা হয়নি। আমাদের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোকেও উইনেবল প্রার্থীর তালিকা করতে বলা হয়েছে। তারা সেটি করে জমা দেবেন। এরপর সিদ্ধান্ত হবে। সে ক্ষেত্রে আসন বণ্টনে খুব একটা সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
নিজ দলে ৩০০ আসনের বিপরীতে ৪০২৩টি মনোনয়ন ফরম জমা পড়েছে, সে ক্ষেত্রে নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রত্যাশা কিভাবে পূরণ করবেন- এ প্রশ্নের জবাবে ফার”ক খান বলেন, নিজ দলে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকবে। আমরা চাই নেতৃত্বের বিকাশ ঘটুক। ৩০০ আসনে ৪ হাজারের বেশি দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা হওয়ায় আমরা খুশি। অতীতের নির্বাচনগুলোতেও এ রকম মনোনয়ন ফরম জমা পড়েছে। আমরা সঠিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পেরেছি। ফলে কোনো সমস্যা হয়নি। এবার মনোনয়নের ক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। মোট কথা মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়াটা যদি সঠিক হয় তাহলে দলের প্রার্থীকে সবাই মেনে নেবে। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা কমে আসবে। যেমনটি সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে অনেক প্রার্থী থাকলেও যথাযথ প্রক্রিয়ায় ১ জনকে মনোনয়ন দেয়ার সবাই তার পক্ষে কাজ করেছেন। দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করে এনেছেন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে আরো জানা গেছে, এবার প্রথমে আওয়ামী লীগ নিজ দলের প্রার্থী তালিকা তৈরি করবে। এরপর জোটের শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় বসবে। আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য ২১০ থেকে ২২০টা আসন রেখে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। আর শরিক ও মিত্রদের জন্য ৮০-৯০টি আসন ছাড়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও মহাজোটে প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী নিশ্চিত করা কিছুটা কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে জোট-মহাজোটে আসন বণ্টন কি রকম হবে সে বিষয় নিয়ে গত রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রথমে আমরা নিজেদের প্রার্থীদের মনোনয়ন দেব। আসন ভাগাভাগি হলে আমাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করা হবে।